কুইক লিঙ্ক : মুজিব বর্ষ | করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব | প্রিয় স্টোর

You have reached your daily news limit

Please log in to continue


বঙ্গ বাহাদুরের বিদায়

‘আসামের আবাসস্থল ছেড়ে কোন কুলক্ষণে সে পথে বেরিয়েছিল জানে না হাতিটির জাতিগোষ্ঠীর কেউ। তার খেয়ালই ছিল না সাম্প্রতিক সময়ে আন্তর্দেশীয় আতিথেয়তায় আদর আপ্যায়নে সম্মান সমীহে সমস্যা বিস্তর। সার্কভুক্ত দেশের একজনকে এভাবে বন্যার তোড়ে পাহাড়, দেশ, নদী সাঁতরে ঘুরে বেড়াতে হবে সে ভাবেনি। তার ভিসা ছিল না ঠিকই কিন্তু সীমান্ত পাড়ি দিতে সমস্যা হয়নি, সে ভেবেছিল একই ভূমিতে তার যাতায়াতে বাধা হবে কেন। র‌্যাডক্লিফ সাহেব কি খেয়ে যে মাতালের মতো ভারতবর্ষের দেশ ও মাটিকে ভাগ করেছিলেন! মুহূর্তের মধ্যে নিজের দেশ পর হয়ে গেল। আজ বিদেশবিভুঁইয়ে হাতিটিকে বিদায় নিতে হলো প্রবাসীর পরিচয়ে। অথচ এই জামালপুরে এমনকি এই সরিষাবাড়ীতে তার পূর্বপুরুষরা আগে এমনি বেড়াতে আসত। এমনকি নতুন জামাই হয়েও। র‌্যাডক্লিফ সাহেব এসব বুঝতে চাননি, তাহলে আজ এমনভাবে ডোবায় পড়ে, চেতনানাশক ওষুধ খেয়ে (হয়তোবা) হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে সহস্রজনের কৌতূহলের মাথায় মারা যেতে হতো না তাকে।’

সুন্দরবনের বাঘ, বানর, হরিণ ও কুমির (বাবাহকু) পর্ষদের কেন্দ্রীয় প্রচার দপ্তর থেকে সেদিন সন্ধ্যায় একটি প্রেসনোটে উপরিউক্ত কথাগুলো বলা হয়। কচিখালিতে প্রচার মন্ত্রকের শীর্ষ কর্মকর্তা হরিণা হাপানের স্বাক্ষরে প্রেসনোটটিতে লোকালয়ের একটি মফস্বল গ্রামে ‘বঙ্গ বাহাদুর’ খ্যাতিপ্রাপ্ত একটি আন্তর্জাতিক হাতির অকালমৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করা হয়। বাবাহকুর প্রেসিডিয়াম প্রধান সুন্দর মিয়া সে সময় কটকায় তার বর্ষা অবকাশ কেন্দ্রে অবস্থান করছিলেন। বার্তা সংস্থা উবিসসের সঙ্গে এক তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় প্রাণিসম্পদ সম্প্রদায়ের এই বর্ষীয়ান নেতা ‘বঙ্গ বাহাদুরের’ মৃত্যুতে তার সমাজ ও সংস্কৃতি একজন প্রজ্ঞাবান পরিব্রাজক হারাল বলে মন্তব্য করেছেন। ইতিহাসের সূত্র টেনে সুন্দর মিয়া বলেন, ‘সংস্কৃতি ও ব্যবসা-বাণিজ্যের বনেদি সিল্ক রুট নামে খ্যাত পথেই বেড়াত বেরিয়েছিলেন বঙ্গ বাহাদুর। তিনি লোকালয়ে বিশেষ করে কয়েক দিন আগে আসামে, লোকালয়ের রাজধানীতে, পাশের জেলার উৎসব সম্মেলনের প্রাক্কালে যে জঙ্গি আক্রমণ হয় সম্ভবত তার উত্তেজনা প্রশমনে কিংবা কৌতুকপ্রদ আগ্রহ সৃষ্টির উদ্দেশ্যে দুর্গম পথযাত্রা (রোড মার্চ) শুরু করেছিলেন।’ সুন্দর মিয়া শ্রদ্ধা নিবেদন করে বলেন, “বাবাহকু পর্ষদের প্রভাবশালী ঐরাবত গ্রুপের সম্মানীয় সদস্য ‘বঙ্গ বাহাদুর’ প্রজ্ঞাবান ও ইতিহাস সচেতন ছিলেন। ইবনে বতুতা ও হিউয়েন সাঙের একজন অনুরক্ত ভক্ত ছিলেন তিনি। আসামের পাহাড় থেকে অসম্ভব পানি গড়িয়ে কিংবা ফারাক্কার পানি লোকালয়ের ভরাট হয়ে যাওয়া নদ-নদীগুলো উপচে ছাপিয়ে চারদিকে যে বন্যা ও বেদনার পরিবেশ সৃষ্টি করেছে তা দেখতে, ক্ষতিগ্রস্তদের প্রতি সমবেদনা জ্ঞাপন করতে লালমনিরহাট, কুড়িগ্রাম, গাইবান্ধা, সিরাজগঞ্জ এবং জামালপুরে পা রেখেছিলেন তিনি। এ ধরনের সংকটময় মুহূর্তে মহাত্মা গান্ধীও ভারতবর্ষ চষে বেড়াতেন।”

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন