কুইক লিঙ্ক : মুজিব বর্ষ | করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব | প্রিয় স্টোর

রেমিট্যান্স বাড়াতে হুন্ডি ঠেকাতে হবে

সমকাল ড. তাসনিম সিদ্দিকী প্রকাশিত: ০৮ অক্টোবর ২০২২, ১১:১৯

চলতি বছরের সেপ্টেম্বরে প্রবাসীরা যে রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন, তা গত সাত মাসের মধ্যে সর্বনিম্ন। ২ অক্টোবর প্রকাশিত বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতিবেদনের তথ্য বলছে, ২০২২-২৩ অর্থবছরের তৃতীয় মাস সেপ্টেম্বরে বৈধ চ্যানেলে ১৫৪ কোটি ডলার পাঠিয়েছেন প্রবাসী বাংলাদেশিরা। প্রবাসীদের এই আয় গত বছরের একই সময়ের চেয়ে ১৮ কোটি ৭২ লাখ ডলার বা ১০ দশমিক ৮৪ শতাংশ কম। এর আগে গত বছরের সেপ্টেম্বরে প্রবাসী আয় এসেছিল ১৭২ কোটি ৬৭ লাখ ডলার। এদিকে চলতি বছরের আগস্টে প্রবাসীদের কাছ থেকে বৈধ চ্যানেলে ২০৩ কোটি ডলার আসে। অর্থাৎ আগের মাসের তুলনায় আয় কমেছে প্রায় ২৫ শতাংশ। এ পরিসংখ্যান দেখে চিন্তিত হওয়ার কারণ নেই। মাসওয়ারি হিসাব ধরে রেমিট্যান্স হার বিবেচনা করা যায় না। কোনো মাসে কম আসবে, কোনো মাসে বেশি। দেখতে হবে বার্ষিক রেমিট্যান্সে তফাত হয় কিনা। দেশে যখন বন্যা বা অন্য কোনো প্রাকৃতিক দুর্যোগ হয়, তখন চালসহ অন্যান্য পণ্যের সংকট দেখা দেয়। দেশে থাকা স্বজনদের কষ্ট লাঘবে ধারদেনা করে কিংবা সঞ্চিত টাকা থেকে প্রবাসীরা বাড়িতে বেশি টাকা পাঠান। ফলে সে মাসে রেমিট্যান্স বেড়ে যায়। এক মাসে বেশি টাকা পাঠালে পরে সেই ধাক্কা সামাল দিতে গিয়ে কিছুটা কম টাকা পাঠাতে পারেন। বাংলাদেশ ব্যাংক যে পরিসংখ্যান দিয়েছে, এটা হচ্ছে বৈধ পথে রেমিট্যান্স পাঠানোর তালিকা। এর বাইরে হুন্ডির মাধ্যমে বিপুল পরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা দেশে আসছে। সুতরাং রেমিট্যান্স নিয়ে চিন্তিত হওয়ার কারণ নেই।


আমরা জানি, বাংলাদেশের অর্থনীতি মূলত কৃষি, রেমিট্যান্স ও তৈরি পোশাক শিল্পের ওপর নির্ভরশীল। আশির দশক থেকেই রেমিট্যান্স অর্থনীতিতে বড় ভূমিকা রাখতে শুরু করে। যখনই বৈদেশিক রিজার্ভে ঘাটতি দেখা দেয় তখন প্রবাসীরা সচল ভূমিকা রেখে সেই ঘাটতি পূরণ করে দেন। এ জন্য আমরা বলে থাকি- অভিবাসীর ঘামের টাকা সচল রেখেছে দেশের চাকা। অথচ এসব অভিবাসীর জন্য যেসব পদক্ষেপ হাতে নেওয়া প্রয়োজন, তা নিচ্ছি না। রেমিট্যান্স কমতে থাকলে সংবাদমাধ্যম সে তথ্য আমাদের সামনে তুলে ধরে। তখন আমরা এর কারণ ও সমাধান নিয়ে চিন্তাভাবনা শুরু করে দিই। কিন্তু যখন বাজেট প্রণয়ন করা হয়; পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয় কিংবা ডেলটা প্ল্যানের মতো বড় বড় কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়, তখন রেমিট্যান্স যোদ্ধাদের কথা ভুলে যাই।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

আরও