কুইক লিঙ্ক : মুজিব বর্ষ | করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব | প্রিয় স্টোর

You have reached your daily news limit

Please log in to continue


বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র রাজনীতি হবে আত্মঘাতী

ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের ইমেরিটাস অধ্যাপক ড. মনজুর আহমদ গণসাক্ষরতা অভিযানের (ক্যাম্প) ভাইস চেয়ারম্যান এবং বাংলাদেশ আর্লি চাইল্ডহুড ডেভেলপমেন্ট নেটওয়ার্কের চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। তিনি দুই দশকেরও বেশি সময়ে ইউনিসেফে কাজ করেছেন। কান্ট্রি ডিরেক্টর হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন চীন, ইথিওপিয়া ও জাপানে। এর আগে তিনি যুক্তরাষ্ট্রের কানেকটিকাটে ইন্টারন্যাশনাল কাউন্সিল ফর এডুকেশনাল ডেভেলপমেন্টের জ্যেষ্ঠ গবেষক হিসেবে কাজ করেছেন।

মনজুর আহমদ: সরকারি, বেসরকারি নির্বিশেষে আমাদের উচ্চশিক্ষা এখন সংকটে। যে কোনো নতুন পদক্ষেপের ফলাফল গভীরভাবে যাচাই করে দেখতে হবে। পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র রাজনীতির যে স্বরূপ; তার বিস্তার বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে হলে শঙ্কিত হওয়ার যথেষ্ট কারণ আছে। বর্তমান ছাত্র রাজনীতি মানে হচ্ছে, শিক্ষাঙ্গনে ক্ষমতাসীন রাজনৈতিক দলের ছাত্র শাখার একচ্ছত্র আধিপত্য। সংঘাত, ক্ষমতা প্রদর্শন, শিক্ষার্থীদের বলপূর্বক নিয়ন্ত্রণে রাখা, প্রশাসনে হস্তক্ষেপের চেষ্টা, নানা দুর্নীতি, চাঁদাবাজি- এসবই ছাত্র রাজনীতির বৈশিষ্ট্য হয়ে দাঁড়িয়েছে। শিক্ষাঙ্গনে শিক্ষার পরিবেশ রক্ষায় ছাত্র রাজনীতি প্রধান বাধা হিসেবে দেখা দিয়েছে। অভিভাবক ও শিক্ষার্থীদের কাছে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি বড় আকর্ষণ হচ্ছে- বিরাজমান ছাত্র রাজনীতি এখানে নেই। এ পরিস্থিতির পরিবর্তন তাঁরা চান না। এটাকে রাজনীতিভীতি না বলে বর্তমানে অপরাজনীতির প্রভাব থেকে দূরে থাকার চেষ্টা হিসেবে দেখাই সংগত।

ছাত্র রাজনীতির গৌরবের কথা বলতে গেলে বিভিন্ন ঐতিহাসিক সন্ধিক্ষণে জাতীয় গুরুত্বপূর্ণ সমস্যার ক্ষেত্রে ছাত্রদের অবস্থান, আন্দোলন ও অনেক ক্ষেত্রে অগ্রবর্তী ভূমিকার কথা স্মরণ করতে হয়। রাষ্ট্রভাষা আন্দোলন থেকে শুরু করে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার দাবি, শিক্ষা সংস্কার; সর্বোপরি স্বাধীন বাংলাদেশের অভ্যুদয়ে ছাত্ররা যোগ দিয়েছে, জীবন উৎসর্গ করেছে। সেই ঐতিহ্যের কতখানি অবশিষ্ট আছে এখন? অন্তত ক্ষমতাসীন রাজনৈতিক দলের ছাত্র শাখাকে এ ধরনের ভূমিকায় দেখা যায় না। সাম্প্রতিককালে আমরা দেখেছি শাহবাগ আন্দোলন, কোটাবিরোধী আন্দোলন, নিরাপদ সড়কের দাবি ইত্যাদিতে সাধারণ ছাত্রসমাজ স্বতঃস্ম্ফূর্তভাবে যোগ দিয়েছে; নিজেরা সংগঠিত হয়েছে। ক্ষমতাসীন রাজনৈতিক দলের ছাত্র শাখা এসবের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে। বিভিন্নভাবে এগুলোকে প্রতিরোধেরও চেষ্টা করেছে। মস্তান ও হেলমেট বাহিনী তৈরি করে সহিংসতা ও ভীতির পরিবেশ সৃষ্টি করেছে।

ছাত্র রাজনীতির ঐতিহ্যের এক বড় অংশ ছিল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে নির্বাচিত ছাত্র সংসদ। এটি ছিল নানা সাংস্কৃতিক, সৃজনশীল, বিনোদনমূলক কার্যকলাপের ব্যবস্থা; ছাত্রদের সমস্যা, দাবিদাওয়া তুলে ধরা ও সমাধানের জন্য আলোচনা এবং ছাত্রদের মধ্যে নেতৃত্বচর্চার ক্ষেত্র। প্রচলিত ছাত্র রাজনীতিতে এই প্রক্রিয়াকে বিসর্জন দেওয়া হয়েছে। আদালতের নির্দেশে দুই দশক পর ২০১৯ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ নির্বাচন হয়। নির্বাচনের ফলাফল দেশের ক্ষমতাধরদের মনঃপূত না হওয়ায় এই পথে আর তাঁরা পা বাড়াচ্ছেন না। আর কোনো বিশ্ববিদ্যালয়েও ছাত্র সংসদ নির্বাচনের কথা শোনা যাচ্ছে না।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন