কুইক লিঙ্ক : মুজিব বর্ষ | করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব | প্রিয় স্টোর

You have reached your daily news limit

Please log in to continue


মূল্যস্ফীতিতে কার লাভ, কার ক্ষতি

সম্প্রতি ১২টা ডিমের দাম উঠেছিল ১৫০ টাকায়। এর আগের দিন ১৪০ টাকায়। কয়েকদিন আগে ডিমের দাম ডজনপ্রতি ১২০ টাকায় নেমে আসে। এই যে ১২০ থেকে ১৫০ টাকা অর্থাৎ ৩০ টাকা মূল্যবৃদ্ধি, সাধারণভাবে একেই বলে মূল্যস্ফীতি-মূল্যের স্ফীতি বা বৃদ্ধি। ইংরেজিতে বলা হয় ‘ইনফ্লেশন’। এর হিসাব সরকার প্রতি মাসে গড়ের হিসাবে দেয়। অনেক পণ্যের দামের গড় করে। এর হিসাব মাসিকও হয়, বাৎসরিকও হয়।

মূল্যস্ফীতি খুবই খারাপ জিনিস। এটা জনগণের শত্রু, উন্নয়নের শত্রু, অতএব সরকারেরও শত্রু। কেউ তাই মূল্যস্ফীতিকে পছন্দ করে না। সব দেশ, সব সরকারই মূল্যস্ফীতিকে ভয় পায়। আবার মূল্যস্ফীতি ‘টাকা-পয়সার’ও শত্রু, কারণ মূল্যস্ফীতি টাকা-পয়সা, ধাতব মুদ্রা এবং কাগুজে মুদ্রার দাম কমায়। অর্থাৎ এসব মুদ্রার ক্রয়ক্ষমতা (পারচেজিং পাওয়ার) কমায়। এক টাকার জিনিস দুই টাকা দিয়ে কিনতে হয়।

মূল্যস্ফীতি কি তাহলে সবারই শত্রু? না, মূল্যস্ফীতি কারও কারও ‘বন্ধু’। এটা কেমন কথা? মূল্যস্ফীতি আবার ‘বন্ধু’ হয় কীভাবে? হয়, আমরা টের পাই তা ধীরে ধীরে। যেমন, মূল্যস্ফীতি বৈষম্যের জন্ম দেয়। অর্থনৈতিক বৈষম্য, আঞ্চলিক বৈষম্য। মূল্যস্ফীতির সঙ্গে বৈষম্যের সম্পর্ক ওতপ্রোত। কেউ কাউকে ছাড়া চলতে পারে না। আবার ‘ইনফ্লেশন’ দৃশ্যত উন্নয়নের শত্রু হলেও কার্যত তারা সহযোগী। ‘উন্নয়ন’ ঘটবে কিন্তু মূল্যস্ফীতি হবে না-তা হবে না। দুজনে সহোদর। উন্নয়ন ঘটলে মূল্যস্ফীতি হবে-কম আর বেশি। কম হলে খুবই ভালো। বেশি হলেই ‘শত্রু’।

এদিকে মূল্যস্ফীতি আরেক পক্ষের বন্ধু। এরা কারা? এরা হচ্ছে ঋণগ্রহীতা। ঋণগ্রহীতারা আজ ১০০ টাকা ধার করল, দুই বছর পর তা ফেরত দিল। তখন টাকার ক্রয়ক্ষমতা কমে গেছে। এক টাকার জিনিসের দাম হয়েছে দেড় টাকা। তার মানে ১০০ টাকা ফেরত পাওয়া গেল না ক্রয়ক্ষমতার নিরিখে। আবার বিপরীতে মূল্যস্ফীতি আমানতকারীদের (ডিপোজিটর) শত্রু। কারণ ১০০ টাকা ব্যাংকে রেখে দুই বছর পর ১০০ টাকা ফেরত পাওয়া গেলে তার দাম/ক্রয়ক্ষমতাও কম হয়।

ঋণগ্রহীতা ও আমানতকারীদের এই দৃশ্যমান লাভ-লোকসানকে সমন্বয় করার জন্য সুদ আদায় ও সুদ প্রদানের ব্যবস্থা আছে। কিন্তু তাতেও ঠকে আমানতকারীরা। যেমন এ মুহূর্তে মূল্যস্ফীতির হার কমপক্ষে ৮ শতাংশ। অথচ ব্যাংকগুলো আমানতের ওপর সুদ দেয় ৪-৫-৬ শতাংশ। ঠিক বিপরীত চিত্র ঋণগ্রহীতাদের। তারা হয় লাভবান। এ এক মজার খেলা, মজার অর্থনীতি, মজার ব্যবসা-বাণিজ্য। এতে লাভবান হয় শুধু কারবারিরা, বণিকরা, ধনী ও অতিধনীরা। মূল্যস্ফীতিতে তাদের ধন বাড়ে।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন