কুইক লিঙ্ক : মুজিব বর্ষ | করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব | প্রিয় স্টোর

You have reached your daily news limit

Please log in to continue


মানবাধিকার নিয়ে রাজনীতি আছে, কিন্তু রাজনীতিতে মানবাধিকার নেই

জাতিসংঘ মানবাধিকার সংক্রান্ত হাইকমিশনার মিশেল বাশেলেটের বাংলাদেশ সফরটি রাজনৈতিক অঙ্গনকে বেশ খানিকটা নাড়িয়ে গেছে বলতে হবে। যাওয়ার আগে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি মানবাধিকার সংক্রান্ত এমন কিছু কথা বলেছেন, যা দেশের জন্য অস্বস্তিকর। তিনি বাংলাদেশে মানবাধিকার লঙ্ঘনের ব্যাপারে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেছেন, গুম, বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডসহ বাংলাদেশে মানবাধিকার লঙ্ঘনের নানা অভিযোগ তদন্তে একটি স্বাধীন কমিশন গঠন করা প্রয়োজন। এবং এ জন্য সহযোগিতা করতে তার বাংলাদেশ অফিস প্রস্তুত বলেও জানিয়েছেন তিনি।

জাতিসংঘের মানবাধিকার সংক্রান্ত হাইকমিশনার যেসব কথা বলেছেন, সেগুলোর সঙ্গে একমত বা দ্বিমত পোষণ করার চেয়ে বড় কথা হলো মেনে নেওয়া যে মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে আমাদের ভাবমূর্তির সংকট চিরদিনের। গুম ও বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড বহুল আলোচিত দুটি বিষয়। এসব বিষয়ে আমাদের সরকারি অবস্থানটা পরিষ্কার নয়। তবে এটাও ঠিক, এমন অনেক প্রমাণ পাওয়া গেছে, যেখানে গুম হওয়া ব্যক্তি স্বেচ্ছায় আত্মগোপন করেছিলেন এবং পরে ফিরে এসেছেন। অনেকে ফিরে এসে একদমই কথা বলছেন না, তথ্য দিচ্ছেন না এবং তাদের এই আচরণটাই বলে দেয় কোনও না কোনও জায়গা থেকে একটা ভয়ের সংস্কৃতি জিইয়ে রাখা আছে।

কিন্তু বড় যে নির্মম কথাটি বলতে হয়, মানবাধিকার নিয়ে রাজনীতি করলেও আমাদের রাজনৈতিক দলগুলোর এজেন্ডায় স্বাধীনতার এই ৫১ বছরেও মানবাধিকার কোনও বিষয় নয়। ক্ষমতায় থাকা দল আর ক্ষমতার বাইরের দল যতটা একে অপরকে দোষারোপের প্রচেষ্টায় লিপ্ত, যতটা বিদেশিদের কাছে অভিযোগ করতে তৎপর, ততটা সক্রিয় নয় বিভিন্ন জায়গায় অতি দরিদ্র মানুষ, শ্রমিক, কৃষক, ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী, সংখ্যালঘু মানুষ যেসব লড়াই লড়ছেন, সেগুলোর সাথে যোগ দিতে। এত মানুষের দেশে সরকারি ক্ষমতা পাওয়া যেকোনও রাজনৈতিক দলের কাছেই যে কতটা লোভনীয়, তা যে কারোই ভোটদাতার বুঝতে অসুবিধা নেই। আপাতভাবে যে রাজনৈতিক দর্শনেরই চর্চা করুক, নীতিগত কিছু ফারাক থাকলেও ক্ষমতা দখলের লড়াইয়ে পদ্ধতিগত কোনও মৌলিক তফাৎ নেই বড় দলগুলোর।  এরা সমান হিংস্রতা নিয়ে ভোটকেন্দ্র দখল করতে চায়, মানুষকে ভোট থেকে দূরে রাখতে চায় কিংবা সম্ভব হলে নির্বাচনি ব্যবস্থাকেই এমনভাবে সাজাতে চায় যেন কেবল তারাই জিতে। মানুষ তার অসহায় শিকার। এহেন রাজনৈতিক সংস্কৃতি যখন মানবাধিকার নিয়ে কথা বলে তখন মানুষ আরও একবার বুঝতে পারে যে তাদের নিয়ে মসকরা করছে রাজনীতি।

কোন সমস্যাকে তারা প্রাধান্য দেবেন, এমনকি তাদের সমস্যাগুলো ঠিক কী, সেটা ঠিক করে রাজনৈতিক দলের নেতৃত্ব এবং সেখানে মানুষের কোন অংশগ্রহণ নেই। এটা এক অদ্ভুত অবস্থা। জনগণ ভোট দেয়, না দিলেও ক্ষতি নেই, রাজনৈতিক দলের মধ্যে জোর যার ক্ষমতা তার। সেই রাজনৈতিক দলই আবার স্থির করে জনগণ কোন কোন সমস্যা নিয়ে ভাববে বা ভাববে না।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন