কুইক লিঙ্ক : মুজিব বর্ষ | করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব | প্রিয় স্টোর

You have reached your daily news limit

Please log in to continue


ভালো ফলনে চাই পরিমিত সারের প্রয়োগ

সারা পৃথিবীতেই চলছে অর্থনৈতিক মন্দা। প্রতিদিন বেড়ে চলেছে জিনিসপত্রের দাম। আন্তর্জাতিক বাজারে বেড়েছে সারের মূল্য। তার প্রভাব পড়েছে আমাদের কৃষি খাতেও। জ্বালানির দাম বেড়েছে, বেড়েছে ইউরিয়া সারের দাম, বেড়েছে লোডশেডিং। ফলে স্বাভাবিক সময় থেকে একটা বাজে সময়ের ভেতর দিয়ে যেতে হচ্ছে আমাদের। দুর্মূল্যের বাজারে হিসেবি হতে হয়। কমাতে হয় অপচয়। সারের ক্ষেত্রেও আমাদের অপচয় কমাতে হবে। ফসলে প্রয়োজনের চেয়ে বেশি সার প্রয়োগে ফলন কমে। মাটির উর্বরতা শক্তি নষ্ট হয়।

কবি কাজী নজরুল ইসলাম বলেছিলেন, ‘খাঁটি সোনার চেয়েও খাঁটি আমার দেশের মাটি...’। সত্যি, আমার দেশের মাটি সোনার চেয়ে খাঁটি। এ মাটির উর্বরতা শক্তি বিশ্বের বিস্ময় ছিল। নদীবিধৌত পলি জমা উর্বর মাটিতে সহজেই ফলত সোনার ফসল। কিন্তু আমরাই দিন দিন মাটিকে দূষিত করে তুলেছি, নষ্ট করে ফেলেছি এর উর্বরতা শক্তি। বর্ধিত জনসংখ্যার মুখে খাদ্য তুলে দিতে অধিক ফসল ফলানোর জন্য জমিতে প্রয়োগ করতে হচ্ছে রাসায়নিক সার। অন্যদিকে অধিক কর্ষণে মাটি হারিয়েছে তার উর্বরতা শক্তি, নষ্ট হয়েছে জৈবগুণ। সময়ের সঙ্গে বেড়েছে ফসলবৈচিত্র্য। কিন্তু কোন জমিতে কোন ফসল চাষ করলে কী পরিমাণ সার প্রয়োগ করতে হবে, সে-সম্পর্কে কৃষকের তেমন জানা-বোঝা নেই। সত্যি বলতে, সরকারের কৃষি বিভাগের লোকজনও এ বিষয়ে সচেতন ছিলেন না।

কয়েক বছর ধরেই ‘কৃষি বাজেট কৃষকের বাজেট’-এর অনুষ্ঠানগুলোতে আমি কৃষকের কাছে জানতে চেয়েছি তাঁরা মাটি পরীক্ষা করেন কি না। ১ শতাংশের কম কৃষক বলেছেন তাঁরা মাটি পরীক্ষা করেন। সবচেয়ে হতাশার বিষয়, মাটি পরীক্ষার বিষয় সম্পর্কে ধারণা রাখেন—এমন কৃষকের সংখ্যা শতকরা ৫ জনও পাইনি। অথচ এই মানুষগুলোরই জানা দরকার ছিল জৈব পদার্থই হলো মাটির প্রাণ। শস্য উৎপাদন এবং উৎপাদনশীলতা রক্ষার্থে প্রয়োজন মাটিতে শতকরা ৫ ভাগ জৈব সার থাকা। এই না জানার ফলে তাঁরা বছরের পর বছর ধরে অতিরিক্ত সার আর কীটনাশক ব্যবহার করেছেন। এতে অধিকাংশ এলাকার মাটির জৈব পদার্থ নেমে এসেছে শতকরা ১ ভাগের নিচে—যা ক্রমবর্ধমান জনগোষ্ঠীর খাদ্য উৎপাদনের ক্ষেত্রে এক বিরাট হুমকিস্বরূপ। আমি আশাবাদী মানুষ, আমি জানি আর সব সংকটের মতো এই সংকট থেকেও আমাদের কৃষকেরা ক্রমে বের হয়ে আসবেন। এর জন্য চাই উদ্যোগ। যাঁরা এই সংকট থেকে বেরিয়ে আসতে ভেতরে-ভেতরে কাজ করছেন, তাঁদের আমরা হৃদয়ে মাটি ও মানুষের নিয়মিত অভিযান গ্রো-গ্রিনে অনেকবার তুলে ধরেছি; যা দেশের বহু কৃষক, কৃষি উদ্যোক্তা, তরুণকে অনুপ্রাণিত করেছে। তাঁদের বুঝতে শিখিয়েছে, আজকের দিনে উন্নত প্রযুক্তিসম্পন্ন কৃষিচর্চার বিকল্প নেই। উপায় নেই মাটিকে বাঁচানোর চিন্তা থেকে দূরে সরে আসার। টেলিভিশনের কৃষিবিষয়ক অনুষ্ঠানগুলো অনুপ্রাণিত করেছে অসংখ্য তরুণকে। তাঁরা কৃষির পরিবর্তনে নিয়েছেন নানা রকম উদ্যোগ।

ফসল পেতে হলে সার প্রয়োগ করতেই হবে। কিন্তু বেশি ফলন পেতে বেশি বেশি রাসায়নিক সার প্রয়োগ করে আমরা কি মাটির স্বাস্থ্য ভালো রাখতে পারছি? মাটির স্বাস্থ্য সুরক্ষা, ফসলের বেশি ফলনের প্রশ্নে সার প্রয়োগের আধুনিক অনুশীলনগুলো নিয়ে বেশ কিছুদিন আগে কথা বলেছিলাম বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের মৃত্তিকাবিজ্ঞান বিভাগের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. সোহেলা আখতারের সঙ্গে। তিনি বলেছেন, একটি গাছ বেড়ে ওঠা থেকে শুরু করে ফল দেওয়া পর্যন্ত জীবনচক্রে মাটি থেকে ১৭টি উপাদান গ্রহণ করে। এর কোনো উপাদান কম হলেই স্বাভাবিক বৃদ্ধি ব্যাহত হয়। আবার কোনো উপাদান বেশি হলেও উদ্ভিদের জন্য ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়ায়। ফলে মাটির স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা জরুরি।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন