কুইক লিঙ্ক : মুজিব বর্ষ | করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব | প্রিয় স্টোর

You have reached your daily news limit

Please log in to continue


দুই দেশের ঐক্য বিপন্ন করা চলবে না

তখন সবে সাংবাদিকতায় এসেছি। প্রবীণ এক সাংবাদিক বলেছিলেন, পেট্রোপণ্যের মূল্যবৃদ্ধি সব সময়ই বিরোধীদের রাজনৈতিক হাতিয়ার। শাসকদলকে সব সময় সেটা রক্ষণাত্মক ভঙ্গিতে মোকাবেলা করতে হয়। শুধু পেট্রোপণ্যের মূল্যবৃদ্ধি নয়, যেকোনো জিনিসের দাম বাড়া মানেই সেটা প্রতিষ্ঠানবিরোধী জনমত পাবে। অর্থাৎ দাম বাড়াকে কোনোভাবেই কোনো শাসকদল জাস্টিফাই করতে পারে না। আবার যখন যারা বিরোধী দল হয়, তখন মূল্যবৃদ্ধি কেন হচ্ছে তার জন্য তারা শাসকদলকে দোষারোপ করে। এমনটাই দস্তুর।

১৯৪৭ সালে ভারত স্বাধীন হওয়ার পর জওয়াহেরলাল নেহরু তৎকালীন বিভিন্ন প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রীদের চিঠি লিখতেন। সেই সব চিঠিতে বহু জায়গায় তিনি লিখেছেন, এই মুহূর্তে দেশের সবচেয়ে বড় সমস্যা হচ্ছে মূল্যবৃদ্ধি ও মুদ্রাস্ফীতি। আজ ২০২২ সালে দাঁড়িয়েও দেখা যাচ্ছে, শুধু ভারত নয়, উপমহাদেশের সর্বত্রই একটা বড় সমস্যা হলো এই মূল্যবৃদ্ধি ও মুদ্রাস্ফীতি।

সম্প্রতি বাংলাদেশে পেট্রল ও ডিজেলের মূল্যবৃদ্ধি নিয়ে দেশজুড়ে দেখলাম নানা রকমের জনবিক্ষোভের ছবি। আবার এটাও দেখলাম, সরকারের পক্ষ থেকে সবিস্তার ব্যাখ্যা দিয়ে বোঝানো হলো, কেন এত দিন পর এই মূল্যবৃদ্ধি করতে তারা বাধ্য হয়েছে। এই মূল্যবৃদ্ধির ফলে ভর্তুকির যে লাগাতার সমস্যা, সেই সমস্যার সমাধান হবে। অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে বিশ্বজুড়ে যে এই আর্থিক সংকট, তাতে স্বাবলম্বী অর্থনীতির জন্যই এই অর্থ রাজস্ব সংগ্রহ করা প্রয়োজন।

এখন বাংলাদেশের পরিস্থিতি অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে। এমনটাই সংবাদমাধ্যম থেকে জানা যাচ্ছে। তবে ভারতের সাংবাদিক হিসেবে দীর্ঘ ৪০ বছরের অভিজ্ঞতা থেকে বুঝতে পারছি যে শুধু বাংলাদেশ নয়, আজ গোটা দুনিয়ার অর্থনীতি বিপর্যস্ত। অনেক সময় রাজনৈতিক ক্ষেত্রে শাসকদল অর্থনৈতিক সংকটগুলো ধামাচাপা দিয়ে অন্যান্য বিষয়ে অগ্রাধিকার দেয়, যেটা ভারতে খুব বেশি করে দেখতে পাচ্ছি। অর্থনৈতিক বৃদ্ধির সমস্যা, কর্মহীনতা, বেকারত্ব, আর্থিক ঘাটতি, জিডিপির পতন—সব একটা ভয়াবহ জায়গায় পৌঁছে গেছে, যেটা কমবেশি সব অর্থনীতিবিদই স্বীকার করছেন। অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন সংসদে দাঁড়িয়ে এই সংকটজনক পরিস্থিতি স্বীকার করে বলেছেন, এই সংকট থেকে উদ্ধারের রাস্তাও ভারত দিতে পারছে।

আমি এ কথা নিশ্চয়ই মানব, শ্রীলঙ্কার যে অর্থনৈতিক পরিস্থিতি, আজ যেভাবে শ্রীলঙ্কার অর্থনীতি চোরাবালিতে ঢুকে গেছে, সে সমস্যা ভারতেরও নেই, বাংলাদেশেরও নেই। কাজেই আজ যাঁরা বাংলাদেশের পেট্রোপণ্যের মূল্যবৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে চিৎকার জুড়ে দিয়েছেন যে বাংলাদেশটা শ্রীলঙ্কার অর্থনীতিতে পর্যবসিত হলো, তাঁরা মনে হয় ভাবের ঘরে চুরি করছেন। কেননা বাংলাদেশের অর্থনীতি আর শ্রীলঙ্কার অর্থনীতি যে এক নয়, সেটা অমর্ত্য সেন ও অভিজিৎ বিনায়ক বন্দ্যোপাধ্যায় শুধু নয়, গোটা পৃথিবীর অর্থনীতিবিদরা স্বীকার করছেন। বরং বিশ্বব্যাংক ও আইএমএফ, তারা মানছে বাংলাদেশ অনেক বেশি আর্থিক শৃঙ্খলার মধ্য দিয়ে গেছে। আর্থিক শৃঙ্খলার মধ্য দিয়ে যায়নি বলেই আইএমএফ পাকিস্তানকে ঋণ দিতে রাজি নয়। পাকিস্তান এখনো চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে এবং আমেরিকার মাধ্যমে দৌত্য করছে। বাংলাদেশকে আইএমএফ সব সময় ঋণ দিতে এ জন্য প্রস্তুত যে ঋণটা কাজে লাগিয়ে, ঋণের অর্থ ফেরত দেওয়ার প্রক্রিয়ায় বাংলাদেশ যথেষ্ট ভালো রেকর্ড দেখিয়েছে।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন