কুইক লিঙ্ক : মুজিব বর্ষ | করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব | প্রিয় স্টোর

You have reached your daily news limit

Please log in to continue


জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধি : পুনর্বিবেচনার অবকাশ আছে

জ্বালানি তেলের দামের সঙ্গে সামগ্রিক অর্থনীতি জড়িত। তাই উল্লেখযোগ্য মাত্রায় জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধি ঘটলে অর্থনীতির সব খাত আঘাতপ্রাপ্ত হয়। এতে মানুষের চলাফেরা বা কর্মতৎপরতা কমে যায়। চলাফেরা কমে গেলে অনিবার্যভাবেই মানুষের উৎপাদনশীলতা কমে যায় এবং অর্থনৈতিক তৎপরতায় শিথিলতা নেমে আসে। এবার তেলের মূল্যবৃদ্ধির পর এক মাননীয় মন্ত্রী বলেছেন জ্বালানি ব্যবহার কম করতে। কিন্তু জ্বালানির ব্যবহার কম করার মানে কী? জ্বালানি কম ব্যবহার মানেই অর্থনৈতিক তৎপরতা কমে যাওয়া, যার অর্থ হচ্ছে অর্থনীতির গতি হারানো।

প্রকৃতপক্ষে জ্বালানি বিষয়ে সরকারের যেটা করা উচিত ছিল সেটা হচ্ছে বিদ্যুেকন্দ্রগুলো বসিয়ে রেখে টাকা দেওয়ার ব্যবস্থাটি বন্ধ করা এবং জ্বালানি খাতে সিস্টেম লস ও অনিয়ম বন্ধ করা। সেটা না করে সাধারণ মানুষকে বলা হচ্ছে জ্বালানি কম ব্যবহার করতে। এর মধ্যে এলাকাভিত্তিক কারখানা বন্ধ রাখার সিদ্ধান্তটিও নেতিবাচক প্রভাব  ফেলবে। তিন-চার বছর আগে যখন তেলের দাম ৬০ টাকা থেকে বাড়ানো হয়, তখন বিশ্ববাজারে তেলের দাম এখনকার দামের সমান ছিল। এরপর তেলের দাম ব্যারেলপ্রতি ৪০ ডলারের নিচে নেমে এসেছিল। কিন্তু দাম কমানো হয়নি। ফলে পেট্রোলিয়াম করপোরেশন (বিপিসি) বিপুল লাভ করে। পরে সরকার উদ্বৃত্ত অর্থ সরকারি কোষাগারে নেওয়ার একটি আইন করে বিপিসির মুনাফার সব টাকা নিয়ে যায়। সংবাদমাধ্যমে আমরা এ খবর জানতে পারি।

এখন পেট্রোলিয়াম করপোরেশন বলছে, বিশ্ববাজারে তেলের অতিরিক্ত দামের কারণে দেশের বর্তমান দরে পোষানো যাচ্ছে না। কিন্তু তারা যে আগে মুনাফা করল, অর্থাৎ যখন ব্যারেলপ্রতি ৪০ ডলারে ক্রয় করে দেশের মানুষের কাছে ১০০ ডলারে বিক্রি করল, সেই মুনাফার সুবিধা কেন মানুষ পাবে না?

বিষয়টা হচ্ছে, তেলের মূল্য বিশ্ববাজারে মাত্র কয়েক দিনের জন্য ১৩০ ডলারের ওপরে ছিল। এরপর কমতে থাকে এবং এখনো কমার প্রবণতার মধ্যেই আছে। এমনকি রাশিয়া থেকে তেল আনতে পারলে আরো কম দামে আনা যেত। কিন্তু বিশ্ববাজারে দাম কমার অপেক্ষা না করে হঠাৎ করে তেলের দাম ৫০ শতাংশ বাড়ানোর কী কারণ? আদৌ কি ৫০ শতাংশ বাড়ানোর মতো কিছু হয়েছে? প্রকৃতপক্ষে এই হারে তেলের দাম বাড়ানোর কোনো যুক্তি নেই। আমি কোনো যুক্তি খুঁজে পাই না। হ্যাঁ, সরকার বলতে পারত যে টাকা মূল্য হারিয়েছে। কিন্তু টাকা মূল্য হারিয়ে ৮৫ থেকে ৯৫ হয়েছে। বলা যেতে পারত যে যেহেতু ডলারের বিপরীতে টাকা মূল্য হারিয়েছে, তাই তেল আমদানিতে দাম বেশি পড়বে। সে হিসাবে বড়জোর ১০ থেকে ১৫ শতাংশ বাড়ানো যেতে পারত।

এটা ভাবাটা অস্বস্তিকর, তবু বলা দরকার যে সরকারের কিছু লোক সাধারণ মানুষকে বোকা মনে করেন। তাঁরা বিভিন্ন দেশের তুলনা করে বলছেন যে আমাদের দেশে তেল সস্তা। কিন্তু তাঁদের একই সঙ্গে ওই সব দেশের মানুষের ক্রয়ক্ষমতার কথাটাও বলা দরকার। আমাদের দেশের তুলনায় ওই সব দেশের মাথাপিছু আয় পাঁচ থেকে সাত গুণ বেশি। ক্রয়ক্ষমতা তাদের অনেক বেশি। ফলে মূল্যস্ফীতি ঘটলেও তাদের কাছে সহনীয় হয়। কিন্তু এটা না বলে দেশের মানুষকে বোকা বানানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। আমি মনে করি, দেশের মানুষ এখন অতটা বোকা নয়।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন