কুইক লিঙ্ক : মুজিব বর্ষ | করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব | প্রিয় স্টোর

You have reached your daily news limit

Please log in to continue


বেপরোয়াই থেকে গেল গণপরিবহন

যতবার জ্বালানি তেলের দাম বাড়ে ততবার এই পরিবহন মালিকরা মানুষকে জিম্মি করে, সরকারকে জিম্মি করে এবং সড়কে নৈরাজ্য সৃষ্টি করে। এবারও তার ব্যতিক্রম হয়নি। প্রতিটি ইস্যুতে মানুষ বিরোধী গণপরিবহন খাতের ব্যাপারে সরকারের নমনীয় মনোভাব ও তাদের প্রতি সব ধরনের প্রশ্রয় লক্ষ্যণীয়। এবং এ কারণেই তারা জেলা শহরে সরকারি বাস কোম্পানি বিআরটিসির গাড়ি আটকে যাত্রীদের পথের মাঝে নামিয়ে দিতে পারে, সরকারি গাড়ির চালকদের হুমকি দিতে পারে।

সম্প্রতি ফরিদপুরে এই ঘটনা ঘটেছে এবং সড়ক পরিবহন ও মন্ত্রণালয়, সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ এই পরিবহন দুর্বৃত্তদের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা নেয়নি। বাংলাদেশে পরিবহন খাত একমাত্র ব্যবসা যার কোন লোকসান নেই, কারণ পথে নামলেই অসংখ্য মানুষ। একমাত্র ব্যবসা যেখানে মালিক শ্রমিক ভয়ংকর ঐক্য বিরাজমান নৈরাজ্য আর উচ্ছৃঙ্খলতার পক্ষে এবং তাদের প্রতি ক্ষমতা কাঠামোর ভেতর অবস্থানকারী বড় মানুষরা বরাবরই নমনীয় মনোভাব দেখিয়ে আসছেন।

সরকার হঠাৎ করে জ্বালানি তেলের দাম অস্বাভাবিক হারে বাড়িয়েছে। এর প্রভাব জনজীবনের প্রতিটি স্তরে পড়েছে। জিনিসপত্রের দাম বড়েছে, সেবার মূল্য এখন হাতছাড়া। চিকিৎসা ব্যয় মানুষের আয়ত্বের বাইরে চলে গেছে। পড়ালেখার খরচও আকাশ ছোঁয়া। তবে কোথাও কোন নৈরাজ্য হয়নি। হয়েছে পরিবহন খাতে। জ্বালানি তেলের দাম বাড়ার স্বল্পতম সময়ে সরকার বাস ভাড়া বাড়িয়েছে।

জ্বালানি তেলের দাম বাড়ানোর আগে জ্বালানি মন্ত্রণালয় বাস ভাড়া সম্ভাব্য কত বাড়তে পারে, তার একটা হিসাব দিয়েছিল। তাতে মহানগরে ১৩ ভাগ এবং দূরপাল্লায় ১৬ ভাগ ব্যয় বাড়বে বলে ধারণা দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু ভাড়া বেড়েছে যথাক্রমে ১৬ ও ২২ শতাংশ। কিন্তু বাস মালিকরা নিচ্ছেন তার চেয়ে বেশি আর পরিবহন শ্রমিকরা মানুষের পকেট থেকে ছিনিয়ে নিচ্ছে তার চেয়েও বেশি।

তেলের দাম বাড়লেই মালিকরা নানান আজগুবি খরচের হিসাব নিয়ে আসেন। টায়ার-টিউব, রক্ষণাবেক্ষণের বিশাল খরচের বহর দেখিয়ে বাস ভাড়া বাড়িয়ে নিতে চান মালিকরা। অথচ ঢাকাসহ বড় শহরগুলোর বাসের চেহারা দেখলে কেউ বলবে না এরা বাসের কোন যত্ন নেয়। অবস্থাটা এমনই যে, সিএনজির দাম না বাড়লেও এই সুযোগে সিএনজিচালিত বাস ও স্কুটারের ভাড়াও বেড়েছে। এরা এত নির্লজ্জ যে সিএনজির দাম বাড়লে ডিজেলচালিত বাসের ভাড়াও বাড়িয়ে দেয়।

সরকার যে ভাড়া নির্ধারণ করে দিয়েছেন, সেটা কার্যকর হলো না, অথচ মন্ত্রণালয় ও বিআরটিএ কিছুই বলছে না। এ কারণেই অনেকে বলেন, পরিবহন খাত হলো বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় মাফিয়া। তারা বারবার জনগণকে জিম্মি করে দাবি আদায় করে, সেটা ভাড়ার ক্ষেত্রেই হোক আর নতুন আইনের ক্ষেত্রেই হোক।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন