কুইক লিঙ্ক : মুজিব বর্ষ | করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব | প্রিয় স্টোর

একবছরে ২২১ কোটি টাকার মামলা, ট্রাফিক পুলিশের ভাগে কত?

জাগো নিউজ ২৪ প্রকাশিত: ১২ আগস্ট ২০২২, ০৮:৪২

চলতি বছরের ১৮ জানুয়ারি রাজধানীর রাওয়া ক্লাবের সামনের রাস্তায় একটি গাড়ি থামিয়ে চালকের কাছে কাগজপত্র দেখতে চান কর্তব্যরত ট্রাফিক সার্জেন্ট। চালক কাগজ দেওয়ার পর সার্জেন্ট তা পরীক্ষা করে দেখছিলেন। এর মধ্যেই এক চীনা নাগরিক ওই গাড়ি থেকে নেমে উত্তেজিত হয়ে ট্রাফিক সার্জেন্টের দিকে টাকা ছুড়ে মারেন। পাশ থেকে কেউ ঘটনাটির ভিডিও ধারণ করে ছড়িয়ে দেন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। মুহূর্তেই ভিডিওটি ভাইরাল হয়ে যায়।


ভিডিওটিতে দেখা যায়, চীনের ওই নাগরিক ট্রাফিক পুলিশকে লক্ষ্য করে বারবার বলছেন, ‘ইউ ওয়ান্ট মানি, আই গিভ ইউ দিস...মানি’ (তুমি টাকা চাচ্ছ, আমি তোমাকে টাকা দিচ্ছি)। এই বলে তিনি টাকা ছুড়ে মারেন এবং অশ্লীল ভাষায় কথা বলেন। তবে এ ঘটনার তদন্তে সার্জেন্টের কোনো দোষ খুঁজে পাওয়া যায়নি। ওই চীনা নাগরিক বিনা কারণে মেজাজ হারিয়ে এ ঘটনা ঘটিয়েছিলেন বলে তদন্তে উঠে আসে। পরে ওই চীনা নাগরিক ট্রাফিক সার্জেন্টের কাছে ক্ষমাও চান। চীনা নাগরিকের ধারণা ছিল ট্রাফিক পুলিশ টাকার জন্য গাড়ির কাগজপত্র চেক করেন। এ কারণে তিনি পুলিশের দিকে টাকা ছুড়ে মেরেছিলেন। শুধু বিদেশি নাগরিক নন, দেশের বেশিরভাগ মানুষও মনে করে ট্রাফিক পুলিশ যত মামলা দেবে তত বেশি তাদের আয় (জরিমানার ভাগ পান)। কিন্তু জনগণের এ ধারণাটি ভুল বলছে ট্রাফিক বিভাগ।


ট্রাফিক বিভাগ বলছে, সড়কে শৃঙ্খলা ফেরাতে ও মোটরযান আইন যথাযথ বাস্তবায়নে ট্রাফিক আইন ভঙ্গকারী চালক ও গাড়ির বিরুদ্ধে মামলা-জরিমানা হয়ে আসছে অনেক আগে থেকেই। সড়কে আইন অমান্যকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে গিয়ে অকারণেই ট্রাফিক পুলিশ সদস্যদের দোষী হতে হচ্ছে। চালকরা ভাবেন, ট্রাফিক পুলিশের সদস্যরা জরিমানার ভাগের জন্য তাদের বিরুদ্ধে মামলা দেন। জানা যায়, হাইড্রোলিক হর্ন ব্যবহার, ট্রাফিক পুলিশের আদেশ অমান্য করা, বাধা সৃষ্টি ও তথ্য দিতে অস্বীকৃতি জানানো, উল্টো পথে গাড়ি চালানো, বেপরোয়া গতিতে গাড়ি চালানো, হেলমেট না পরে মোটরসাইকেল চালানো, ড্রাইভিং লাইসেন্স না থাকা- এসব অপরাধে মোটরযান আইনে মামলা হয়। এছাড়া গাড়ি চলন্ত অবস্থায় কালো ধোঁয়া বের হলে ভ্রাম্যমাণ আদালত ওই গাড়ির চালকের বিরুদ্ধে জেল-জরিমানা করতে পারেন। পুলিশ সদর দপ্তর সূত্র জানায়, সারাদেশে ২০২১ সালে মোটরযান আইনে মোট ৯ লাখ ৫৫ হাজার ৯১২টি মামলা হয়। এসব মামলায় ২২১ কোটি ৭ লাখ ৩১ হাজার ৪১৪ টাকা জরিমানা আদায় করা হয়। ২০২১ সালে সর্বোচ্চ মামলা হয় ডিএমপিতে। মামলার সংখ্যা ছিল ২ লাখ ৫৫ হাজার ৯১১টি। এসব মামলায় জরিমানা আদায় হয় ৫০ কোটি ৯৩ লাখ ৩৩ হাজার ৩০৩ টাকা। 

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

আরও