কুইক লিঙ্ক : মুজিব বর্ষ | করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব | প্রিয় স্টোর

বাংলাদেশের রাজনৈতিক বিবাদে জাতিসংঘের সম্পৃক্ততা

বাংলা ট্রিবিউন মো. জাকির হোসেন প্রকাশিত: ১৩ জুলাই ২০২২, ২০:১১

গত ১২ জুলাই জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়কারী গোয়েন লুইসের সঙ্গে বিএনপির বৈঠককে কেন্দ্র করে বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে। গুলশানে দলের চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে বেলা ২টা থেকে দেড় ঘণ্টাব্যাপী এ বৈঠক হয়। বৈঠকে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, সাংগঠনিক সম্পাদক শামা ওবায়েদ উপস্থিত ছিলেন। বৈঠক শেষে আমীর খসরু বলেন, জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়ক সৌজন্য সাক্ষাৎ করতে এসেছেন। কী বিষয় নিয়ে কথা হয়েছে তা নিয়ে কোনও পক্ষই আনুষ্ঠানিকভাবে কথা বলতে রাজি হননি।  ‘ভাসুরে’র নাম মুখে নিতে লজ্জা হলেও এটি যে কেবল সৌজন্য সাক্ষাৎ ছিল না এবং আলোচনার বিষয়বস্তু যে পুরোমাত্রায় রাজনৈতিক তা সহজেই অনুমেয়। খবরে প্রকাশ, বিএনপির একটি সূত্র জানিয়েছে, জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়কারী গোয়েন লুইস ও প্রতিনিধি রেবেকা ভিকের সঙ্গে দেশের চলমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি ও আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন বিষয়ে তাদের মধ্যে কথা হয়েছে। এ ছাড়া দেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়েও তাদের মধ্যে আলোচনা হয়।


প্রশ্ন হলো, জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়কারী ও তার প্রতিনিধি কোনও রাজনৈতিক দলের অফিসে যেতে পারেন কিনা? এবং সৌজন্য সাক্ষাতের নামে কোনও দেশের অভ্যন্তরীণ রাজনীতি নিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে মতবিনিময় করতে পারেন কিনা? জাতিসংঘের গঠনতন্ত্র তথা জাতিসংঘ সনদের কোনও বিধানে জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়কারী কিংবা অন্য কোনও প্রতিনিধিকে এই ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে কিনা? উত্তর, অবশ্যই না। কোনও দেশের অভ্যন্তরীণ রাজনীতিতে জাতিসংঘের ভূমিকা রাখার কোনও সুযোগ নেই। কোনও দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে কারও অভিযোগের কারণে জাতিসংঘ একতরফাভাবে কোনও ভূমিকা রাখতে পারে না। এমনকি কোনও দেশের রাজনীতির ঘরোয়া বিবাদ মেটাতেও জাতিসংঘ ভূমিকা রাখতে পারে না। এরকম ভূমিকা পালনের কোনও এখতিয়ার জাতিসংঘের নেই।


ঢাকায় অবস্থিত জাতিসংঘ তথ্যকেন্দ্র ‘অল্প কথায় জাতিসংঘ সনদ’ নামে যে প্রকাশনা বের করেছে তার ৭ নম্বর পৃষ্ঠায় উল্লেখ করা হয়েছে ‘সনদের ২ ধারা অনুযায়ী সকল সদস্য রাষ্ট্রের সার্বভৌমত্ব ও সমতাই জাতিসংঘের ভিত্তি। সংস্থাটি বিশ্ব সরকার নয়।… সনদে এমন কিছু নেই যা জাতিসংঘকে কোনও দেশের অভ্যন্তরীণ ব্যাপারে হস্তক্ষেপের অধিকার দেয়। এরূপ বিষয়ের নিষ্পত্তির জন্য কোনও দেশকেও জাতিসংঘের দ্বারস্থ হতে হবে না। কোনও দেশের অভ্যন্তরীণ এখতিয়ারভুক্ত বিষয়ের ক্ষেত্রে সনদের ভাষা অত্যন্ত সতর্কতার সঙ্গে ব্যাখ্যা করা হয়ে থাকে। তবে নিরাপত্তা পরিষদের দৃষ্টিতে আন্তর্জাতিক শান্তি ও নিরাপত্তা বিঘ্নিত করতে পারে এমন যেকোনও বিষয় ওই পরিষদ বিবেচনা করতে পারে। অনুরূপভাবে মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনাগুলোও জাতিসংঘের উপযুক্ত সংস্থাসমূহ আলোচনা করতে পারে।’

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

এই সম্পর্কিত

আরও