কুইক লিঙ্ক : মুজিব বর্ষ | করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব | প্রিয় স্টোর

You have reached your daily news limit

Please log in to continue


পোশাকের স্বাধীনতা ও নারীর সমতায়ন

হালের ফ্যাশন—বাড়িতে, রাস্তাঘাটে হাফপ্যান্ট পরা যুবা বয়সী ছেলেদের রোমশ মাংসল ঊরু ও পা দেখে কারও ভালো লাগে কি না, জানি না। আমার ভালো লাগে না। তাই বলে আমি ওদের কিছু বলতেও যাই না। এমনকি ইজিবাইকে চলার সময় তাদের কেউ লাফ দিয়ে উঠে পাশের সিটে বসে পড়লেও কিছু বলি না। কেবল তার অভিব্যক্তিতে যদি অসভ্যতা থাকে চুপচাপ নেমে পড়ি। সম্ভবত কেউই কিছু বলে না ওদের। বলা ঠিকও না। বললে সেটা অবশ্যই অনাধিকারচর্চা হবে। পরিচিত বা অপরিচিত মানুষের সামনে যদি কারোর নিজের শরীরের কিছু অংশ অনাবৃত রেখে চলতে লজ্জাবোধ না হয়, আমাদের তাতে কী বলার আছে? বিষয়টা হচ্ছে দেখার অভ্যাস ও দৃষ্টিভঙ্গির।

নইলে আমরা তো জন্ম থেকেই দেখেছি উদোম গায়ে কৃষক-জেলে-মাঝিসহ বিভিন্ন ধরনের শ্রমজীবী পুরুষ মানুষেরা নিম্নাঙ্গে গামছা বা লুঙ্গি ভাঁজ করে হাঁটুর ওপরে তুলে কোমরে গুঁজে নেংটি পরে কাজ করছেন। জন্ম থেকে দেখছি বলে তাতে আমাদের অস্বস্তি লাগেনি। মনে হয়েছে এটাই স্বাভাবিক। কাজ শেষে গোসল সেরে তাঁরা যখন হাঁটুর নিচে নামিয়ে লুঙ্গি বা ধুতি ঊর্ধ্বাঙ্গে হাতাওয়ালা গেঞ্জি, হাফহাতা শার্ট বা ফতুয়া পরেছেন, সেটাও স্বাভাবিক লেগেছে। যদিও হাল আমলের অনেক যুবক সে কৃষিকাজ বা যেকোনো ধরনের শ্রমের কাজ জিনসের প্যান্ট পরেও করে থাকে। কিন্তু আমাদের ছোটবেলায় এবং বছর বিশেক আগেও শ্রমজীবী নারীরাও (গ্রামীণ নারীরা তো সবাই শ্রমজীবী ছিলেন) কাজের সময় উদয়াস্ত পেটিকোট ও ব্লাউজবিহীন শাড়ি কোমরে কষে দুই প্যাঁচ দিয়ে পরে ঘরে-বাইরে কাজ করছেন দেখে দেখে শিশু-কিশোরেরা বড় হয়েছে। ঘরের পুরুষ, পরের পুরুষ সবাই নারীদের এভাবেই দেখেছেন। কিন্তু নারী-পুরুষ কেউ কারও পোশাক পরা নিয়ে কথা তোলেননি। অবশ্য আজও পুরুষের পোশাক পরা নিয়ে কেউ কথা তোলে না। যত কথা হয় সব নারীর পোশাক নিয়ে।

শুরু করেছিলাম যুবা বয়সী ছেলেদের হাফপ্যান্ট পরা ও ঊরু প্রদর্শনীটা অস্বস্তিকর ঠেকার কথা বলে। আসলে অস্বস্তিকর ঠেকে এত দিন আমরা এটা দেখিনি বলে। এত দিন শিক্ষিত বা আধা শিক্ষিত শহুরে ছেলেরা প্যান্ট, পায়জামা বা লুঙ্গি পরে তার সারা শরীর ঢেকেই বাইরে বেরিয়েছে। সেটা দেখেই আমরা অভ্যস্ত। তাই হঠাৎ অনভ্যস্ত চোখে সেটা দেখতে অস্বস্তি। কিন্তু আমরা কথা বলি না নিজেদের শিষ্টাচার থেকে অথবা কিছু বললে উল্টো আমাদের মানসম্মানে আঘাত লাগবে বলে। কিন্তু বর্তমান সময়ে অধিকাংশ লোকের মনকে ও তাদের অনুভূতির তারকে এমন একটা জায়গায় পৌঁছে দেওয়া হয়েছে যে কোনো নারী আর তাঁর নিজের পছন্দের পোশাক পরতে পারবেন না। তাঁকে তাঁর সমাজের ও ধর্মের ছকে বেঁধে দেওয়া পোশাক পরতে হবে। তা না পরলেই পুরুষ এমনকি নারীও তাঁকে আক্রমণ করবেন। কিছুদিন আগে ঢাকায় বাসে এবং নরসিংদীতে রেলস্টেশনে এমন দুটি ঘটনা ঘটল।

যদিও ঘটনার পর নানাভাবে প্রতিবাদ হয়েছে। অফলাইনে মানুষের সক্রিয় উপস্থিতিতে মানববন্ধন, বিক্ষোভ সমাবেশের মাধ্যমে প্রতিবাদ করেছে মানুষ। বেশি প্রতিবাদ হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। তবে সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রতিবাদের পক্ষে যেমন অনেক মানুষ আছেন, তেমনি বিপক্ষেও আছেন। আসলে একজন নারীর পোশাকের জন্য হেনস্তার ঘটনাকে কেন্দ্র করে নেটিজেনদের পরস্পরবিরোধী বক্তব্য দেখে সমাজ মানসটাও খুব ভালোভাবে জরিপ করা যাচ্ছে। দেখা যাচ্ছে সমাজ ও তার মানুষের মনোজগৎ কত খারাপভাবে বদলে গেছে। একটা বড় অংশের লোক কেউ সরাসরি আক্রমণে আর কেউ একটু ইনিয়ে-বিনিয়ে নারীদের সেই মোড়কের ভেতরেই ঢোকাতে বদ্ধপরিকর।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন