কুইক লিঙ্ক : মুজিব বর্ষ | করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব | প্রিয় স্টোর

You have reached your daily news limit

Please log in to continue


ভুলতে চাইলেও ভোলা যাবে না সেই ভয়াবহতার কথা

ছয় বছর খুব বেশি সময় নয়, আবার একেবারে কমও নয়। কিছু ঘটনা আছে, যা ভুলতে চাইলেও ভোলা যায় না। বিশেষ করে তা যদি হয় মানুষের সভ্যতার চাকা পেছনে ঘোরানোর মতো কোনো ভয়াবহ ঘটনা। মানুষ আদিম যুগ পেরিয়ে সভ্যতার যুগে প্রবেশ করেছে। শিক্ষা, বিজ্ঞান ও নতুন নতুন আবিষ্কারের মাধ্যমে মানুষ ক্রমাগত সামনেই হেঁটেছে। মানুষের চোখ সামনে, তাই সম্ভবত পেছনে হাঁটে না। বিজ্ঞান মানুষের স্থবিরতা কেড়ে নিয়ে তাকে গতি দিয়েছে। এই গতির ঘূর্ণি কখনো কখনো মানুষকে যে দিশাহীন করে না, তা নয়। ‘সু’ এবং ‘কু’ দুই মিলেই তো মানুষ। তাই ভালো ও খারাপের দ্বন্দ্বও চিরকালের বিষয়। এই যে বিজ্ঞান মানুষকে আবিষ্কারের নেশা দিয়েছে, এই আবিষ্কার যেমন ভালোর জন্য, আবার তা খারাপ কাজেও ব্যবহার হয় না, তা তো নয়! যে অস্ত্র আত্মরক্ষার জন্য, তা যেমন অন্যের জীবন বিপন্ন করতে পারে, তেমনি তা আত্মঘাতীও করতে পারে।


না, কোনো গুরুগম্ভীর আলোচনা করে পাঠকদের ভারাক্রান্ত করা আমার উদ্দেশ্য নয়। আমি ছয় বছর আগে আমাদের দেশের একটি ঘটনার কথা সবাইকে স্মরণ করিয়ে দিতে চাই। অনেকের স্মৃতিতেই হয়তো ২০১৬ সালের ১ জুলাই রাতে গুলশানের হোলি আর্টিজান রেস্তোরাঁয় ভয়াবহ জঙ্গি হামলার ঘটনাটি জ্বলজ্বল করছে। হোলি আর্টিজান রেস্তোরাঁয় যখন দেশি-বিদেশি অনেকেই রাতের খাবার খাচ্ছিল, গল্পগুজবে মেতে উঠেছিল, ঠিক তখনই ওখানে আক্রমণ চালিয়েছিল একদল সশস্ত্র তরুণ। কী চেয়েছিল ওই তরুণেরা? তারা কি ভেবেছিল, ওই রেস্তোরাঁয় অবস্থানকারীদের হত্যা করলে রাষ্ট্রক্ষমতায় পরিবর্তন আসবে, অথবা কায়েম হবে ইসলামি হুকুমত? নিশ্চয়ই এতটা আশা তাদের ছিল না। তারা আসলে মানুষকে ভয় দেখাতে চেয়েছিল এবং এটাও সবাইকে জানাতে চেয়েছিল যে, দেশে এমন একদল তরুণ আছে, যারা হাতে অস্ত্র তুলে নিয়েছে ইসলামি বিপ্লব ঘটানোর জন্য।


ওদের মনে আবেগ ছিল, কিন্তু ইতিহাসজ্ঞান ছিল না। ওরা জানতে চেষ্টা করেনি এটা যে, হাতে অস্ত্র তুলে নিয়ে রোমান্টিক ভাবালুতায় কিছু মানুষ খুন করা যায় ;কিন্তু কোনো বিপ্লব ঘটানো যায় না। বিপ্লব কোনো ভাববিলাসিতা নয়। ওটা আসলে মৌলিক পরিবর্তন। সেটা রাতারাতি হয় না, অস্ত্র দিয়ে তো নয়ই। পরিবর্তন ঘটাতে হয় মনোজগতে। মানুষের প্রচলিত বিশ্বাস, ধ্যানধারণার পরিবর্তন একটি ধারাবাহিক প্রক্রিয়া। এটা জোর করে চাপিয়ে দেওয়ার বিষয় নয়। বিপ্লবের কোনো শর্টকাট পথ নেই। এটা ধৈর্য ধরে করতে হয়। তাই এটা কষ্টের পথ।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন