কুইক লিঙ্ক : মুজিব বর্ষ | করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব | প্রিয় স্টোর

You have reached your daily news limit

Please log in to continue


এমন আরেকটি সেতু আর হবে না

সেতু চালু হলে বিভিন্ন এলাকার প্রবৃদ্ধি বিভিন্ন পরিমাণে বৃদ্ধি পাবে, যাতে নাকি সার্বিক জিডিপিতে ১.২ ভাগ প্রবৃদ্ধি যোগ হবে। বাংলাদেশের সামগ্রিক উন্নয়নে এই প্রবৃদ্ধি অবশ্যই আমাদের স্মরণ রাখা দরকার যে প্রকৃত পরিকল্পনা এবং দূরদর্শীতার কারণেই এই সেতু নির্মাণ সম্ভব হয়েছে।

পদ্মা সেতু বাঙালি জাতির সমৃদ্ধির পথে যোগ করল এক নতুন মাত্রা। আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত খরস্রোতা ও স্রোতস্বিনী নদীগুলোর মধ্যে আমাজনের পরেই পদ্মার নাম। সেতু নির্মাণের ক্ষেত্রে বিশ্বে যত রকমের জটিল ও সূক্ষ্ম প্রযুক্তি রয়েছে, তার বেশির ভাগ কৌশল গ্রহণ করা হয়েছে এবং নতুন কিছু পরীক্ষামূলক পদ্ধতিও গ্রহণ করা হয়েছে নির্মাণের ক্ষেত্রে। বিশেষজ্ঞ পর্যায়ে বলা হয়েছে এমন আরেকটি সেতু হয়তো আগামী ১০০ বছরেও নির্মিত হবে না।

এই সেতু নির্মাণের পূর্বের ঘটনাসমূহে আমরা বিব্রত হয়েছি। জাতি হিসেবে বাঙালিদের মুখে চুনকালি পড়ার মতো অবস্থা সৃষ্টি হয়েছিল। মিথ্যা অভিযোগের ওপর ভিত্তি করে বিশ্বব্যাংক এই সেতুর জন্য অর্থায়ন না করেও দুর্নীতির অভিযোগ উত্থাপন করেছিল। তারা দুর্নীতির গন্ধ পেয়ে এই সেতুর অর্থায়নে শুধু নিজেদের গুটিয়ে নেয়নি, বরং দুর্নীতির মতো স্পর্শকাতর বিষয় নিয়ে রাজনীতি করেছে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে। তথাকথিত অভিযোগ নিয়ে আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোতে কূটকৌশল করেছে আর সেই সুযোগে অভ্যন্তরীণ রাজনীতিতে বিভ্রান্তি ছড়ানোর সুযোগ ত্বরান্বিত হয়েছে। দেশের উন্নয়নকে বাধাগ্রস্ত করার জন্য কতিপয় স্বার্থান্বেষী ব্যক্তি ও গোষ্ঠী বিশ্বের প্রভাবশালী রাষ্ট্র ও বহুপক্ষীয় ঋণ দানকারী সংস্থাগুলোকে লবিস্ট নিয়োগ করে বিরুদ্ধাচারণ করেছে। বিশ্বব্যাংকের সঙ্গে ১১ এপ্রিল ২০১১ সালে স্বাক্ষরিত ঋণচুক্তি দুর্নীতির অভিযোগে ৩০ জুন ২০১২ সালে বাতিল করে বিশ্বব্যাংক। এসব কাহিনি আমাদের সবার জানা।

দেশের সম্মান রক্ষা করার অদম্য উৎসাহ এবং দেশের স্বনির্ভর অর্থনীতি গড়ে তোলার লক্ষ্যে জননেত্রী শেখ হাসিনা দেশের নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতু নির্মাণের অভিপ্রায় ব্যক্ত করেন। এই ঐতিহাসিক ঘোষণা দেশের মানুষের কাছে ব্যাপক সাড়া ফেলে। জনগণ নতুন উৎসাহ খুঁজে পায় কিন্তু কিছু স্বার্থান্বেষী ব্যক্তি ও রাজনৈতিক দল তাদের হীনস্বার্থে পদ্মা সেতু নির্মাণে অপপ্রচার করে। পদ্মা সেতু নির্মিত হওয়ার পরও কোনো কোনো রাজনৈতিক দল এই সেতু সম্পর্কে তাদের ভুলভ্রান্তি বুঝতে চাইছে না, বরং অতিমাত্রায় প্রতিক্রিয়া দেখাচ্ছে। তাদের উচিত ছিল উদার মন নিয়ে জাতীয় উন্নয়নের ধারাবাহিকতায় পদ্মা সেতুর মতো এমন সফল একটি প্রকল্পের শুভ উদ্বোধনে এগিয়ে আসা। এখনো সময় আছে আপনারা আপনাদের ক্ষুদ্র দলীয় স্বার্থের কথা ভুলে জাতীয় স্বার্থে আত্মনিয়োগ করুন, রাজনীতির আধুনিক ধারায় ফিরে আসুন। তাতে আপনাদের জন্য যেমন ভালো হবে, সেই সঙ্গে জাতীয় স্বার্থও রক্ষিত হবে।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন