কুইক লিঙ্ক : মুজিব বর্ষ | করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব | প্রিয় স্টোর

You have reached your daily news limit

Please log in to continue


আওয়ামী লীগের ভাদু শেখেরা

পশ্চিমবঙ্গে ক্ষমতাসীন দলের ভাদু শেখের মৃত্যু এখন ভারতের ওই রাজ্যের খবরের প্রধান শিরোনাম। খবরের প্রধান শিরোনামের থেকেও বড় হলো, ‘ভাদু শেখের’ এই ‘ভাদু শেখ’ হয়ে ওঠা। এখন পশ্চিমবঙ্গে অনেকখানি কণ্ঠরোধ। তাছাড়া আগের মতো এখন আর সেখানকার বুদ্ধিজীবীরা নিজেদের মতো নিজেদের রাস্তায় হাঁটেন না। এমনকি রাজনীতির বিষয়ে হাঁটতে হলেও রাজনীতিবিদদের আগে হাঁটেন না। পিছে পিছেই হাঁটেন। বেশিরভাগ বুদ্ধিজীবী, কবি, সাহিত্যিক, সাংবাদিক বর্তে যান রাজনীতিবিদের বাহবা পেলে। ইতিহাসের বাস্তবতা হলো, বুদ্ধিজীবী, কবি, সাংবাদিকরা যখন রাজনীতিবিদদের সামনে না হেঁটে পেছনে হাঁটেন তখন ধরেই নিতে হয় সে দেশের আত্মা মারা গেছে।

তারপরও তাদের দেশের পত্রপত্রিকায় এই ভাদু শেখের ভাদু শেখ হয়ে ওঠার কাহিনি বড় করেই আসছে। তা নিয়ে মতামত কলামেও অনেক সত্য কথা বলছেন অনেকে। ভাদু শেখ জীবনের প্রথমে রিকশাভ্যান চালাতেন। তারপরে ট্রাক্টর চালাতেন। সেখান থেকে কীভাবে তিনি পড়ে যান স্থানীয় পুলিশের সুনজরে। পশ্চিমবঙ্গের পুলিশ অন্য অনেক দেশের মতো অনেকখানি ক্ষমতাসীন দলীয় কর্মী। তাই তাদের নজরে পড়ে যাওয়ায় দ্রুত ভাদু শেখের ভাগ্য বদলাতে থাকে। আর এটা আরও দ্রুত বদলানোর জন্যে ভাদু শেখ যোগ দেন রাজ্যের ক্ষমতাসীন রাজনৈতিক দল তৃণমূলে। তারপরে আর ভাদু শেখকে পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি। সাপ্লাইয়ের ব্যবসা, অটোমোবাইলের ব্যবসা থেকে পল্ট্রি সবই চলে এলো তার হাতে। আর ব্যবসার থেকে বড় যে বিষয়টি চলে এলো, সেটা ভাদু শেখের নিজস্ব রাজত্ব। ভাদু শেখ কয়েকটি গ্রামের একজন ভুইয়া হয়ে উঠলেন। তারপরে ক্ষমতার কোন্দল। ভাদু শেখের বাড়িতে বোমা। মৃত্যু। তার বিপরীতে তার প্রতিদ্বন্দ্বীদের বাড়িগুলো ইউক্রেনে রুশ হামলার মতো নারী, শিশু সবই আগুনে দগ্ধ হয়ে ভস্ম হয়ে গেলো।

পশ্চিমবঙ্গ ভারতীয় প্রজাতন্ত্রের একটা রাজ্য। তাই রাজ্যের ওপরও কেন্দ্র আছে। মানুষ বা বিরোধী দল দাবি তুললো কেন্দ্রের তদন্ত। তাদের সেন্ট্রাল গোয়েন্দারা তদন্তে নেমেছেন। আর এ সময়ে মোক্ষম সত্যটি বলেছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী। যে ভাদু শেখকে নিয়ে কেন্দ্রের এই তদন্ত- মূলত সিস্টেমের গায়ে হাত দেওয়া। তৃতীয় বিশ্বের গণতান্ত্রিক দেশগুলোর জন্যে একেবারে মোক্ষম সত্যটি বলেছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী। বাস্তবে তৃতীয় বিশ্বের গণতন্ত্রে পার্লামেন্ট, বিচার বিভাগ, নির্বাহী বিভাগ এমনকি মিডিয়াও মূলত গণতন্ত্রের সিস্টেম বা প্রতিষ্ঠান নয়। তৃতীয় বিশ্বের গণতন্ত্রের মূল প্রতিষ্ঠান বা সিস্টেম হলেন ভাদু শেখেরা। কারণ, ভাদু শেখেদের ওপর ভর করেই ভোট সংগ্রহ হয়, কেন্দ্র দখল বা মর্জি মাফিক ভোট হয়, ভাদু শেখরাই সরকারি দলের নামে নানান এলাকা দখল করে রাখে। তাদের কথামতোই এলাকা চলে। এমনিক নির্বাহী বিভাগেরও মূল চালিকা শক্তি এই সব ভাদু শেখরা। আর এই ভাদু শেখরা নানান কাজে, নানান বয়সের, চরিত্রের আছে। যেহেতু তারাই সিস্টেম, তাই তাদের কিছু হয় না। ওই পশ্চিমবঙ্গে আরও দুটো ঘটনা পরিচিত মানুষ নিয়ে ঘটেছিল বলেই এখানে উল্লেখ করছি– যে সিস্টেম নামক এই ভাদু শেখেরা কতটা শক্তিশালী! কয়েক ভাদু শেখের সেখানে একদিন মর্জি হয়েছিল, একজন সম্পাদকের বাড়ির গেটে বসে মদ খাবে। তারা শুরু করে দিলো। সত্তরোর্ধ্ব সম্পাদক নিজে হাতে বাধা দিতে গেলে, তাকে হাসপাতালে যেতে হলো। পুলিশ পরে এসে সিস্টেম অনুযায়ী কাউকে পায়নি। অমনি কলকাতার উপকণ্ঠে আরেক পরিচিতর বাড়িতে গিয়েছি, কোনও একটা ভোটের আগে আগে। দেখা গেলো বারো থেকে পনের বছরের বাচ্চারা সরকারি দলের পোস্টার লাগাচ্ছে। তাদের একজনের হাতের বালতিতে গাম অন্যজনের হাতের বালতিতে বরফের মধ্যে রামের (কম দামি হুইস্কি) বোতল। বয়স্ক লোকেরা পাশ দিয়ে হেঁটে যাচ্ছেন। তাদের কর্মক্লান্ত শরীর। কিন্তু কেউ ওদের ওই বালতির দিকে তাকাচ্ছে না। কিশোর তরুণগুলোকে কিছু বলছে না। বুঝলাম এটা সিস্টেম।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন