কুইক লিঙ্ক : মুজিব বর্ষ | করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব | প্রিয় স্টোর

লক্ষ্যহীন জীবন-উদ্দেশ্যহীন শিক্ষা

www.ajkerpatrika.com মামুনুর রশীদ প্রকাশিত: ০৩ ফেব্রুয়ারি ২০২২, ১০:০০

নিরোদ সি চৌধুরী একবার বলেছিলেন, ছাত্রদের যদি জিজ্ঞেস করা হতো তোমরা কেন লেখাপড়া করছ? তখন একই উত্তর দিত সবাই। দেশের হয়ে কাজ করার জন্য। পাল্টা প্রশ্ন আসত, আচ্ছা, এ কথা না হয় বুঝলাম, যারা পড়ালেখা শেষে শিক্ষক হবে, তারা না হয় ছাত্রদের দেশপ্রেমের বাণী শেখাতে পারবে।


উকিল-মোক্তাররা রাজনীতি করে দেশ উদ্ধার করে দেন। কিন্তু একজন দোকানদার সে কীভাবে দেশের কাজ করবে? উত্তর এল, মাপে কম দেবে না, বেশি মুনাফা করবে না, খাবারে ভেজাল মেশাবে না, এসব করেও তো দেশের কাজ করা যায়; অর্থাৎ মোটকথা, ছোটবেলা থেকেই জীবনের একটা লক্ষ্য স্থির করে ফেলা। এই ছিল সেই সময়কার মানুষের লক্ষ্য উপার্জনের উপায়।


যখন ভারতবর্ষে সাম্প্রদায়িকতার উত্থান হচ্ছে, তখন কবি শঙ্খ ঘোষ বলছেন পাঠ্যপুস্তকগুলো ঠিকমতো দেখা দরকার। সেখানে কী সব পড়ানো হচ্ছে। যার মধ্য দিয়ে সাম্প্রদায়িকতার উত্থান হয়। এই যে লক্ষ্য ঠিক করা, এ বিষয়টা আমাদের দেশে ষাটের দশকে একটা ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছিল। সবারই লক্ষ্য ছিল লেখাপড়া শিখে দেশকে উদ্ধার করতে হবে; বিশেষ করে পাকিস্তানিদের হাত থেকে উদ্ধার করতে হবে। ওই সময় চীন, রাশিয়ায় সমাজতন্ত্র কায়েম হয়েছে, বাকি দেশগুলোতে যেখানে মানুষ মুক্তির জন্য লড়াই করছে, সেখানেও তারা এগিয়ে আসছে। আর তখন চীন রাশিয়া থেকে প্রচুর পরিমাণে আদর্শভিত্তিক বইপুস্তক এ দেশে সুলভ মূল্যে পাওয়া যেত। চিরায়ত রুশ সাহিত্যভান্ডার তখন বাংলাদেশের তরুণদের হাতের মুঠোয়। সে সময় নিকোলাই অস্ত্রভস্কির ‘ইস্পাত’ উপন্যাসের পাবেল চরিত্র সবার কাছে আদর্শ। সবাই পাবেল হতে চাইত; অর্থাৎ একটা মানুষের জন্য মানুষ—এ তত্ত্বটি কেমন করে অবলীলায় কিশোর বয়স থেকেই মাথায় ঢুকে গিয়েছিল। ওই সময়কার রুশ উপন্যাসের একটা বড় প্রভাব পড়েছিল তরুণদের মধ্যে। যে কারণে তরুণেরা ভবিষ্যতের যেকোনো সংগ্রামে যুক্ত হতে চাইত।


দেশ স্বাধীন হওয়ার পর কিছুদিন পর্যন্ত এই ভাবনাগুলো কাজ করেছিল। কিন্তু সাতচল্লিশে দেশভাগের পর যে ধরনের হতাশা তরুণদের গ্রাস করল, তাতে নানান ধরনের বিকৃত রাজনৈতিক দলের উত্থান হলো। এর মধ্যেই সামরিক শাসন এসে ষাটের দশকের তরুণদের সব স্বপ্ন ভেঙে চুরমার করে দিল। বইপুস্তক ক্রমেই পাল্টে যেতে থাকল। সেই যে বিশৃঙ্খলা শুরু হলো, তাতে বিশ্ববিদ্যালয়গুলো আর একাডেমি থাকল না। প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয় কখনো কখনো রণক্ষেত্রে রূপ নিল। এই সময় সামরিক স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনে যারা যুক্ত হলো, তারা নতুন করে একটা স্বপ্ন দেখল। সেই স্বপ্ন গণতন্ত্রের নতুন বিন্যাসে হারিয়ে যেতে থাকে। সংবিধানের নানান রকম কাটাছেঁড়া এবং পাঠ্যপুস্তকের নতুন বিষয়বস্তুর আবর্তে পড়ে প্রতিক্রিয়াশীল সম্পর্কে বেশি পরিশ্রম করতে হয় না।


শিক্ষাব্যবস্থাটাই নড়বড়ে হতে হতে গত ৩২ বছরে বিশ্ববিদ্যালয়, কলেজ, স্কুল কোথাও আর সেই ইস্পাত পড়ার তরুণদের খুঁজে পাওয়া যায় না।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

আরও