কুইক লিঙ্ক : মুজিব বর্ষ | করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব | প্রিয় স্টোর

You have reached your daily news limit

Please log in to continue


ছাত্র-শিক্ষক মুখোমুখি, জিম্মি শিক্ষা

একসময় অভিভাবকরা সন্তানকে স্কুলে বা পাঠশালায় দিয়ে শিক্ষককে বলতেন, মাংস আপনার, হাড্ডি আমার। এই গাধাকে পিটিয়ে মানুষ বানিয়ে দেন। শিক্ষকরাও মনের সুখে ছাত্রদের পেটাতেন। আমাদের ছেলেবেলায় অবস্থা অতটা খারাপ ছিল না। তবে শিক্ষকরা কারণে-অকারণে শিক্ষার্থীদের নানারকম শাস্তি দিতেন।

ছাত্রের পিঠে বেত ভাঙা তো আছেই; বেঞ্চের ওপর দাঁড়িয়ে থাকা, ব্যাঙ হয়ে বসে থাকা, কপালে চাড়া নিয়ে সূর্যের দিকে মুখ করে দাঁড়িয়ে থাকা, কান টানা, চুল টানা, পেটের চামড়া টেনে ধরা, ডাস্টার ছুঁড়ে মারা; অভিনব সব শাস্তি আবিষ্কার করতেন আমাদের শিক্ষকেরা। কারণে তো শাস্তি দিতেনই, অকারণেও মারতেন।

তবে আমরা চেষ্টা করতাম, সে মারের দাগ লুকিয়ে রাখতে। কারণ শিক্ষক নিশ্চয়ই কোনো অপরাধের কারণেই মেরেছে। তাই বাড়িতে আরেক দফা মার খাওয়ার ঝুঁকি ছিল। তা মার খেয়েও সেটা হজম করে নিতাম। এখনও প্রাইমারি স্কুল বা হাইস্কুলের শিক্ষকদের ভয় পাই। কদিন এক শিল্পপতির ছেলের সাথে পরিচয় হলো। সেই ছেলেও এখন বাবার ব্যবসায় গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করছেন।

পরিচয়ের পর্বে হাত মেলানোর সময় নাম শুনে চমকে উঠলেন। বললেন, আমি তো শুধু চমকে উঠেছি। আপনার নাম শুনলে আমার ছোট ভাই ভয়ে পালিয়ে যেতো। কারণ হিসেবে বললেন, তাদের এক গৃহশিক্ষক ছিলেন, যার নাম প্রভাষ, ছেলেবেলায় তারা দুই ভাই মানুষ হয়েছেন সেই শিক্ষকের কড়া শাসনে। শিল্পপতি পিতারও সমর্থন ছিল সেই শিক্ষকের প্রতি।

সেই দিন গত হয়েছে অনেক আগেই। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে এখন আর শারীরিক শাস্তি দেয়ার কোনো সুযোগ নেই। মাদ্রাসায় এখনও কিছু নির্মমতা ঘটে বটে, তবে সাধারণ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থীদের শারীরিক শাস্তির চল নেই। আমিও শিক্ষার্থীদের শুধু শারীরিক নয়, মানসিক শাস্তিরও বিপক্ষে। পড়ালেখাটা যেন আনন্দের হয়, ভয়ের নয়। আমাদের ছেলেবেলায় শিক্ষকরা আমাদের শাস্তি দিয়ে ভালো করেননি।

এখন যত সহজে বলছি, তখন এটা বলার মত সাহস ছিল না। তবে ছেলেবেলায় এত শাস্তি দেয়ার পরও শিক্ষকদের যেমন ভয় পেতাম, তেমন শ্রদ্ধাও করতাম, ভালোওবাসতাম। পঞ্চাশ পেরিয়েও স্কুল-কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের সামনে শ্রদ্ধায় নত হয়ে যাই। কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ে রাজনীতি করেছি; তবুও শিক্ষকদের সামনে নতমুখেই দাঁড়াতাম।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন