কুইক লিঙ্ক : মুজিব বর্ষ | করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব | প্রিয় স্টোর

You have reached your daily news limit

Please log in to continue


মুক্তিযুদ্ধে জর্জ বাহিনীর অবিস্মরণীয় অবদান

১৯৭১ সালের ২৫ মার্চের ক্র্যাকডাউনের পর পাকিস্তানি হানাদারদের বিরুদ্ধে ধীরে ধীরে প্রতিরোধযুদ্ধ শুরু হলেও মুক্তিযোদ্ধারা আগস্টের আগে নিজেদের পূর্ণাঙ্গরূপে সংগঠিত করতে পারেননি। প্রবাসী সরকার গঠনের পর সমগ্র বাংলাদেশকে ১১টি সেক্টরে ভাগ করে সেক্টরভিত্তিক যুদ্ধ শুরু হলেও দেশের বিভিন্ন অংশে স্থানীয় পর্যায়ে মুক্তিযোদ্ধারা নিজেরা সংগঠিত হয়ে পাকিস্তানিদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করেছিলেন। এলাকাভিত্তিক গড়ে ওঠা মুক্তিযোদ্ধাদের এসব দল আঞ্চলিক বাহিনী হিসেবেই পরিচিত। এসব বাহিনী ভারত সরকার, বাংলাদেশ সরকার কিংবা সেক্টর হেডকোয়ার্টার্সের নিয়ন্ত্রণের বাইরে থেকে এবং তাদের কাছ থেকে কোনো ধরনের সমর্থন বা সাহায্য ছাড়াই নিজ উদ্যোগে গড়ে উঠেছিল। মুক্তিযুদ্ধকালীন এসব বাহিনীর সদস্যরা স্থানীয় লোকজনকে মোটিভেট করে, তাঁদের মনোবল চাঙা করে আঞ্চলিক বাহিনীতে যোগদানে উৎসাহিত করেছিলেন। সম্পূর্ণ ব্যক্তি-প্রচেষ্টায় স্থানীয় লোকজনের প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ সহযোগিতায় এসব বাহিনী শুধু গড়েই ওঠেনি; মুক্তিযুদ্ধের শুরু থেকে দেশ স্বাধীন না হওয়া পর্যন্ত দেশের মাটিতে থেকেই পাকিস্তানি হায়েনা ও এ-দেশীয় দালালদের বিরুদ্ধে তারা যুদ্ধ চালিয়ে গেছে। এই বাহিনীর প্রশিক্ষণ, অস্ত্র ও যুদ্ধের রসদ স্থানীয়ভাবেই জোগান বা সংগ্রহের ব্যবস্থা করা হয়েছিল। হানাদারদের সঙ্গে যুদ্ধ করে দখল করা অস্ত্র ও রসদই ছিল তাদের অস্ত্র জোগানের মূল উৎস। এসব আঞ্চলিক বাহিনীর মধ্যে কাদেরিয়া বাহিনী, হেমায়েত বাহিনী, আকবর বাহিনী, লতিফ মির্জা বাহিনী, জিয়া বাহিনী ও বাতেন বাহিনীর নাম বেশি শোনা যায়। এ ছাড়াও অনেক ক্ষুদ্র মুক্তিযোদ্ধা গ্রুপ ছিল, যারা সেক্টর বা সাব-সেক্টরের বাইরে থেকে পাকিস্তানিদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে গেছে।

ভারতে প্রশিক্ষণ নিয়েছেন এবং তাদের দেওয়া অস্ত্র নিয়ে সেক্টরের অধীন থেকেই যুদ্ধ করেছেন—এমন অনেক মুক্তিযোদ্ধা আছেন, যাঁরা নিজ গুণাবলি ও সাহসিকতার সঙ্গে যুদ্ধ করে পাকিস্তানি বাহিনী ও স্থানীয় দালালদের নাস্তানাবুদ করে তুলেছিলেন। উপর্যুপরি আক্রমণ করে শত্রুর অপারেশনাল ও লজিস্টিকস মুভমেন্টও বিপজ্জনক করে তুলেছিলেন। মুক্তিযুদ্ধকালে সুনামগঞ্জে বীর মুক্তিযোদ্ধা জগৎজ্যোতি দাসের ‘দাস পার্টি’ এবং দিনাজপুরের ‘জর্জ বাহিনী’ এর মধ্যে অন্যতম। মুক্তিযুদ্ধের বীর মুক্তিযোদ্ধা জগৎজ্যোতি দাস বীর বিক্রম ১৯৭১ সালের ১৬ নভেম্বর পাকিস্তান সেনাবাহিনীর সঙ্গে সম্মুখ সমরে নিহত হয়েছিলেন। মৃত্যুর পর তাঁর মৃতদেহের ওপর যে পৈশাচিক আচরণ করা হয়েছিল, তা সত্যিই অবর্ণনীয়। জগৎজ্যোতি প্রকৃত অর্থেই একজন সাহসী বীর মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন