ভদ্রলোকের বাড়ি বিক্রমপুর। তবে এখন জয়পুরহাটের স্থায়ী বাসিন্দা। স্বাধীনতার বছর পাঁচেক আগে ব্যবসার উদ্দেশ্যে সেখানে গিয়ে স্থায়ী হন। আমার সঙ্গে পরিচয় ১৯৭৯ সালে। পেশায় ব্যবসায়ী হলেও রাজনীতির প্রতি তাঁর আগ্রহ প্রচন্ড যদিও সক্রিয় রাজনীতি করেননি কখনই। বাংলাদেশ প্রতিদিনের নিয়মিত পাঠক। আওয়ামী লীগ ও বঙ্গবন্ধুর ভক্ত এই জয়নাল আবেদীন ধলু সাহেবের সঙ্গে আমার গুরু-শিষ্যের সম্পর্ক। রাজনীতি বিষয়ে তাঁর প্রজ্ঞা এবং পত্রিকার সংবাদ বিশ্লেষণের ক্ষমতায় অভিভূত আমি তাঁকে ওস্তাদ ডাকি। তিনিও আমাকে শিষ্য ডাকেন। সেদিন ফোন করে বললেন- ‘শিষ্য, একটা দোকান খুলতে চাই’। বললাম, আপনি তো দোকানদারি ছেড়েছেন সেই কবে। এখন আবার অবসরজীবন বাদ দিয়ে ব্যবসায় ব্যস্ত হওয়ার কুমতলব কেন? বললেন, ‘সারা জীবন দোকানদারি করে কত কামাইছি? তাই এখন একটা রাজনীতির দোকান খুলতে চাই। এতে অনেক লাভ।’ জিজ্ঞেস করলাম, কী রকম লাভ ওস্তাদ? বললেন, ‘এ লাভের কথা তোমাকে বলে দিতে হবে? দেখ না ওইসব দোকানের মালিকরা কত প্রভাবশালী? তাদের থানা-পুলিশ সমীহ করে, সরকারি অফিসের কর্তারা সসম্মানে চেয়ার এগিয়ে দেয়, ইঞ্জিনিয়াররা টেন্ডার দেয়, আবার নেতারাও তাদের বগলদাবা করে ঘোরে। এ দোকানদারি করলে রাতারাতি কোটিপতি হওয়া যায়। পত্রিকায় নাম ওঠে, ছবি ছাপা হয়। তাই ভাবছি একটা দোকান খুললে কেমন হয়?’ সবশেষে দীর্ঘশ্বাস ছেড়ে বললেন, ‘দিন দিন আগাছায় ভরে যাচ্ছে চারদিক। এসব আগাছা কোনো দিন পরিষ্কার হবে কি না কে জানে!’ জয়নাল আবেদীন ধলু ভাইয়ের মতো রাজনীতিসচেতন ব্যক্তিরা বিষয়টি নিয়ে উদ্বিগ্ন। তাদের উদ্বেগের কারণ নানা ধরনের আগাছা আমাদের রাজনীতি নামের শস্য ক্ষেত্রকে ক্রমেই ছেয়ে ফেলছে। এসব আগাছা-পরগাছার কারণে রাজনীতি এখন আর স্বাভাবিক পত্রপল্লবে বিকশিত হতে পারছে না।
You have reached your daily news limit
Please log in to continue
আমি রাজনীতির দোকান খুলতে চাই
সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন