ওপরে উল্লিখিত কথাটি হাই কোর্ট বিভাগ ‘মো. আনোয়ার হোসেন এবং অন্যান্য বনাম বাংলাদেশ’ মামলার রায়ে উল্লেখ করেছিলেন ২০১১ সালের ২২ মার্চ। রায়ে হাই কোর্ট বিভাগ বলেছেন, ‘সেই ফাঁসির আদেশ কার্যকর করাকে কি ঠান্ডা মাথার খুন ছাড়া অন্য কিছু বলা যায়? আমাদের উত্তর হচ্ছে, তিনটি কারণে একে ঠান্ডা মাথার খুন বই কিছু বলা যায় না। প্রথমত, যখন আইনবহিভর্‚তভাবে কাউকে ফাঁসি দেওয়া হয়, সেটি অবশ্যই খুন, দ্বিতীয়ত, এটি খুন, কেননা যেদিন তথাকথিত ট্রাইব্যুনালে কর্নেল তাহেরের প্রহসনের বিচার হয়েছিল, এমনকি সেদিনও যে অভিযোগ তার বিরুদ্ধে আনয়ন করা হয়েছিল সে অভিযোগে ফাঁসির বিধান ছিল না, তৃতীয়ত, প্রহসনের বিচার শুরুর বহু আগেই জিয়াউর রহমান তাহেরের মৃত্যুদন্ড নির্ধারণ করেছিলেন, যে কথা জিয়ার অতি ঘনিষ্ঠজন ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ তার বইয়ে শুধু লিখেনই নি, বরং আমাদের সামনে হাজির হয়ে সাক্ষ্য দিয়ে বলেছেন, যে কথা আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন মার্কিন সাংবাদিক লরেন্স লিপসুলজ আমাদের সামনে প্রদান করা সাক্ষ্যে বলেছেন। তা ছাড়া ব্যারিস্টার মওদুদ এবং লরেন্স লিপসুলজের ভাষ্য অনুযায়ী, কর্নেল তাহেরের ফাঁসির আদেশ আগেই ধার্য করায় জিয়া এই ফাঁসির মূল কুশীলব হওয়াই সত্য, যেহেতু সে আর জীবিত নেই, এই হত্যাকান্ডসহ অজস্র হত্যাকান্ডে জিয়ার সম্পৃক্ততা যাচাই করা বাঞ্ছনীয়। তদুপরি ব্যারিস্টার মওদুদের বইয়ের ৩৩ পৃষ্ঠার লেখা অনুযায়ী জিয়া বঙ্গবন্ধুর খুনিদের সঙ্গে গভীর সম্পর্ক রাখতেন বলে যে দাবি করা হয়েছে, তা যাচাই করার জন্যও একটি শক্তিশালী তদন্ত কমিশন গঠন করা অপরিহার্য।’
You have reached your daily news limit
Please log in to continue
জিয়া ঠান্ড মাথার খুনি- হাই কোর্ট
সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন