গল্পটি বেশ পুরনো। অনেকেই জানেন। তবু আরেকবার বলি। পৌষের রাতে এক গ্রামে ওয়াজ মাহফিল হচ্ছিল। মৌলভি সাহেব ওয়াজে বললেন, ‘পরস্ত্রীর পরনের কাপড় দিয়ে তৈরি কাঁথা গায়ে দেওয়া পুরুষের জন্য নাজায়েজ’। ওয়াজ শেষ হলো গভীর রাতে। অত রাতে মৌলভি সাহেব তার বাড়িতে যেতে পারবেন না। তাই সে গ্রামেই থেকে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিলেন। কিন্তু গোল বাধল শোয়ার সময়। ওয়াজের আয়োজকরা বললেন, ‘হুজুর, আমাদের গ্রামের মানুষ খুব গরিব। তাদের কারোরই লেপ নাই। আর মেয়েদের কাপড়ের তৈরি কাঁথাও তো আপনি গায়ে দেবেন না। এখন তো ভারি বিপদ হলো।’ মৌলভি সাহেব বললেন, ‘না না, সমস্যা নাই। আমি আমার চাদর গায়ে দিয়েই রাত পার করে দিতে পারব।’ কিন্তু গ্রামের টিনের ঘরে প্রচন্ড শীতে হুজুর সারা রাত কাঁপলেন, তার জ্বর এসে গেল। সকালে উঠেই তিনি কাঁপতে কাঁপতে চলে গেলেন তার ওস্তাদের কাছে। বললেন, ‘হুজুর, এ আপনি আমাকে কী ওয়াজ শিখাইলেন। আমি যে এখন জ্বরে মরি।’ সব শুনে ওস্তাদ হুজুর বললেন, ‘আরে বোকা! এটা তো চৈত্রের ওয়াজ, যখন কাঁথার দরকার হয় না। এ ওয়াজ তুই পৌষে করতে গেলি ক্যান?’ গল্পটির একটি মোজেজা আছে। তা হলো, সব কথা সব সময় বলতে নেই। বললে হিতে বিপরীত হতে পারে।
You have reached your daily news limit
Please log in to continue
চৈত্রের ওয়াজ পৌষে নয়
সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন