গত সপ্তাহটা ছিল চরম উত্তেজনা ও অস্বস্তিতে ভরা। একদিকে পরীমণি, অন্যদিকে আবু ত্ব-হা আদনান। পরীমণি একজন চলচ্চিত্রশিল্পী। ভালো-মন্দ মিলিয়েই সে। কিন্তু তাকে শারীরিক নির্যাতনের কোনো সুযোগ কারও নেই। কেউ কেউ বলতে শুরু করেছে, প্রধানমন্ত্রীকে মা ডেকে কান্নাকাটি চিৎকার-চেঁচামেচি করায় নাসির উদ্দিন, তুহিন সিদ্দিকী অমিসহ কয়েকজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। আসলে ক্লাব কী, ক্লাবের জীবন কী, ক্লাবের চালচলন কী খুব একটা জানি না। ভারতে এক যুগের বেশি নির্বাসিত জীবন কাটিয়েছি। কোনো দিন কোনো ক্লাবে যাইনি। ১৯৭৩-’৭৪ সালে কলকাতা গড়ের মাঠে এক ফুটবল ক্লাবে গিয়েছিলাম। সেখানে দেবদুলাল বন্দ্যোপাধ্যায়, অন্নদাশঙ্কর রায়, মনোজ বসু ছিলেন, ছিলেন তখনকার পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী সিদ্ধার্থশঙ্কর রায়। তবে ভারতে কোনো নাইটক্লাব দেখিনি। টিভিতে দেখা ছাড়া নাইটক্লাবের ছবি আমার চোখে নেই। রাজধানীর ঢাকা ক্লাবে দুবার গিয়েছি, দুবার গুলশান ক্লাবে। ঢাকা ক্লাবে প্রথম গিয়েছিলাম ’৭২ সালে আনোয়ারুল আলম শহীদের বিয়েতে, একেবারে শেষ ২০০০ কয়েক সালে ভারতের কংগ্রেস নেতা সোমেন মিত্রের সঙ্গে দেখা করতে। কলকাতায় থাকতে সোমেন মিত্র থাকা-খাওয়া-চলাফেরা সব ব্যাপারে সহযোগিতা করেছেন, ভাইয়ের মতো পাশে দাঁড়িয়েছেন। অন্যদিকে গুলশান ক্লাবে প্রথম গিয়েছিলাম ভারতের সাবেক রাষ্ট্রপতি শ্রী প্রণব মুখার্জির স্ত্রী শুভ্রা মুখার্জি-গীতা এসেছিলেন ভরতনাট্যমের দল নিয়ে বিএনপি সরকারের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এম মোরশেদ খানের আমন্ত্রণে। সেই আমার গুলশান ক্লাব প্রথম দেখা। মিনিট ১৫ ছিলাম। দিদি শুভ্রা মুখার্জিকে নিয়ে মোহাম্মদপুরের বাবর রোডের বাড়ি এসেছিলাম। দুপুরে খাবার কথা। বাড়িতে ঢুকেই রান্নাঘরে গিয়ে আমার স্ত্রীর হাতে ইলিশ মাছ ভাজা খেয়েছিলেন। যা তাঁর খুব ভালো লেগেছিল। আমৃত্যু আমার স্ত্রীর সেই ইলিশ মাছ ভাজার কথা বলতেন। দ্বিতীয়বার গুলশান ক্লাবে গিয়েছিলাম ভারতীয় এক প্রবীণ নেতা এবং কূটনীতিকের সঙ্গে দুই দেশের সম্পর্ক নিয়ে আলোচনা করতে। রাতে এসব ক্লাবগুলো কী রং ধরে, কেমন হয় তার বিন্দুবিসর্গও জানি না। আর যে কদিন বেঁচে থাকব জানতেও চাই না।
You have reached your daily news limit
Please log in to continue
কেন এমন হচ্ছে- এসবের কি কোনো প্রতিকার নেই?
সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন