নারী নির্যাতনের মতোই শিশু নির্যাতন অবশ্য নতুন কোনো ঘটনা নয়। উন্নতির স্তরে স্তরে শিশুশ্রমের ক্রন্দন ও ঘাম চাপা দেওয়া রয়েছে। কিন্তু নতুন যা যোগ হয়েছে তা হলো শিশু ধর্ষণ। ধর্ষণ করছে এবং সাক্ষী না রাখার জন্য ধর্ষিত শিশুটিকে হত্যা করছে। বাংলাদেশে এ জিনিস কিছুদিন আগেও অজানা ছিল; এখন এটা নিত্যদিন যখন-তখন, যেখানে-সেখানে ঘটছে। এই লেখাটি তৈরি করতে করতেই খবর দেখলাম টাঙ্গাইলে ১০ বছরের একটি শিশুকে প্রথমে ধর্ষণ ও পরে হত্যা করে ঝোপের মধ্যে ফেলে দেওয়া হয়েছে। এরই মধ্যে সেপ্টেম্বরের ১০ তারিখে কাগজে খবর এসেছে যে কিশোরগঞ্জে রাতের বেলা সিঁধ কেটে একটি শিশুকে অপহরণ ও ধর্ষণ করা হয়েছে। এই দরিদ্র দেশে সাহসী চোরদের টাকা-পয়সা, সোনা-গয়না অপহরণের জন্য সিঁধ কাটাটা অপরিচিত ঘটনা নয়, দিনাজপুরের ঘোড়াঘাটে যুবলীগ নেতা নাকি সিঁধ কেটে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের ঘরে ঢুকেছিল চুরির উদ্দেশ্যে, চুরি কিছুই করেনি, মোবাইল ফোনটাও নয়, নিদ্রিত অফিসারকে হত্যা করার জন্য শুধু হাতুড়ি ব্যবহার করেছে; তবে সিঁধ কেটে ধর্ষণের জন্য শিশু অপহরণের রোমাঞ্চকর অ্যাডভেঞ্চারের খবর এর আগে শুনিনি। উন্নতি ঘটছে বৈকি।
বাংলাদেশে মানুষের জন্য নিরাপত্তা আজ কোথাও নেই। পথে-ঘাটে সড়ক দুর্ঘটনা নিত্যনৈমিত্তিক, অনেক মানুষেরই ঘর নেই, যারা ঘরে থাকে তারাও নিরাপদে ঘুমাতে পারে না। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি এলাকায় ফুল বিক্রি করত গৃহহীন যে শিশুটি তাকে পাচারের জন্য যে সুশিক্ষিত মহিলা তৎপর হয়েছিলেন, তিনিও তাঁর কাজের মধ্য দিয়ে জানিয়ে দিয়েছেন যে উপার্জনের জন্য শিশু নির্যাতন খারাপ পন্থা নয়।
সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন
We use cookies to ensure you get the best experience on our website.