আমাদের দেশে পানের বেশ কদর রয়েছে। দেশের বিভিন্ন স্থানে পানের চাষ করা হয়। দেশে উত্পাদিত পানের মধ্যে রয়েছে ঢলপান বা বাংলাপান, মিষ্টিপান, ছাঁচিপান, লালিপান, কপুরিপান, গাছপানসহ বিভিন্ন ধরনের পান। বাংলাদেশের বিভিন্ন জেলার মধ্যে চট্টগ্রাম, খুলনা, বরিশাল, পটুয়াখালী, সিলেট এবং রাজশাহী জেলায় ব্যাপকভাবে পানের চাষ করা হয়।
আদিকাল থেকেই আমাদের দেশে পানের কদর রয়েছে। ব্যাপক চাহিদার কারণে দেশে ব্যাপকভিত্তিতে পানের চাষ করা হয়। পান বিদেশে রপ্তানিও হচ্ছে। ছায়াযুক্ত স্থানে পানের চাষ করা হয়। গ্রীষ্মকালে পানের আকার ছোট হয় তবে স্বাদ ভালো হয়। বর্ষাকালে পানের ফলন ভালো হলেও অধিক বৃষ্টিপাত এবং গাছের গোড়ায় পানি জমে থাকা পানের জন্য ক্ষতিকর। বাংলাদেশের উত্তরবঙ্গের জেলাগুলোতে কৃত্রিম পরিবেশের মাধ্যমে পানের চাষ হচ্ছে। সাধারণত পানের খেতে চারিদিকে এবং ওপরে গাছ-গাছড়া অথবা পাটখড়ি ইত্যাদির দ্বারা ঢেকে ছায়াচ্ছন্ন পরিবেশ তৈরি করা হয়। এ ধরনের পরিবেশকে বর বা বরজ বলা হয়।
বরজগুলো এমনভাবে তৈরি করা হয় যেন গাছের জন্য প্রয়োজনীয় আলো-বাতাসে বিঘ্ন না ঘটে। জৈব সারে সমৃদ্ধ এবং পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা আছে এমন বেলে দো-আঁশ, দো-আঁশ ও এঁটেল মাটি পান চাষের জন্য খুবই উপযোগী। পাহাড়ি এলাকায় মাটির গর্ত করে পানের চারা লাগানো যায়। বর্ষা শুরুর সঙ্গে সঙ্গেই রোপণ করার উপযুক্ত সময়। চারা রোপণের পূর্বে প্রয়োজন হলে জমিতে সেচ দেওয়া আবশ্যক। যেসব অঞ্চলে ‘ঢলে পড়া’ রোগের প্রাদুর্ভাব বেশি সেসব অঞ্চলে প্রতিষেধক হিসেবে সেচের পানির সঙ্গে কপার সালফেট মিশিয়ে দিলে সুফল পাওয়া যায়। পানের চারা রোপণের সময় এক চারা হতে অপর চারার দূরত্ব ২৫-২৬ সেন্টিমিটার রাখতে হয়।
সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন
We use cookies to ensure you get the best experience on our website.