রাশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মারিয়া জাখারভ বলেছেন, ইরানের পর্যটকদের জন্য ভিসামুক্ত ভ্রমণের সুবিধা শিগগিরই কার্যকর করা হবে। মস্কোয় এক সাংবাদিক সম্মেলনে তিনি এ ঘোষণা দেন। তিনি বলেন, ইরান এবং রাশিয়ার মধ্যে গত ২৭ মার্চ এ বিষয়ে একটি চুক্তি হয়েছে এবং রাশিয়ার পর্যটন সংস্থা এই চুক্তি বাস্তবায়নের কাজ করবে। -ফারস
তিনি জানান, ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোহাম্মাদ জাওয়াদ জারিফ এবং রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরভ ওই চুক্তিতে সই করেছেন। মারিয়া জাখারভ বলেন, চুক্তি অনুযায়ী ইরানের পাঁচ থেকে ৫০ জনের একটি পর্যটক দলকে ভিসা ছাড়াই ১৫ দিনের সফরের অনুমতি দেয়া হবে। তিনি বলেন, করোনাভাইরাস মহামারীর কারণে এই চুক্তি বাস্তবায়নের দেরি হয়েছে এবং এটি যৌক্তিকও বটে। রাশিয়ার পর্যটন সংস্থার নির্বাহী পরিচালক মায়া লোমিদজে বলেন, এই চুক্তি বাস্তবায়িত হলে দু দেশের মধ্যে পর্যটক বিনিময়ের সংখ্যা অনেক বেড়ে যাবে বলে আশা কঅস্ত্র নিষেধাজ্ঞা উঠে গেলে ইরান-রাশিয়া সামরিক সহযোগিতা বৃদ্ধি পাবে। জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের ২২৩১ নম্বর প্রস্তাব অনুসারে ইরানের ওপর আরোপিত পাঁচ বছরের অস্ত্র নিষেধাজ্ঞার মেয়াদ শেষ হতে যাচ্ছে ১৮ অক্টোবর। রুশ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মারিয়া জাখারোভা গতকাল বলেছেন ইরানের ওপর আরোপিত অস্ত্র নিষেধাজ্ঞার মেয়াদ শেষ হয়ে যাবার পর মস্কো তেহরানের সঙ্গে সামরিক সহযোগিতা চালিয়ে যাবে। জাখারোভা বলেন, ইরানের উপর চাপানো অস্ত্র নিষেধাজ্ঞার সঙ্গে ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচি সংক্রান্ত সমস্যা সমাধানের বিষয়টি সম্পর্কিত নয়। তবুও তেহরান স্বেচ্ছায় বাড়তি কিছু প্রটোকল মেনে নিয়েছিল। তাঁর মতে, পরমাণু বিষয়ক আলোচনা দ্রুত নিষ্পন্ন করা এবং একটা সমাধানে পৌঁছার জন্যই ওই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছিল। এটা পরমাণু সমঝোতার ব্যাপারে তেহরানের সদিচ্ছার বিষয়টি ফুটিয়ে তোলে। ইরানের ওপর অস্ত্র নিষেধাজ্ঞা উঠে যাবার পর রাশিয়া তাদের যে দ্বিপক্ষীয় সামরিক সহযোগিতার ওপর গুরুত্বারোপ করলো তা থেকে মস্কোর মৌলিক অবস্থান স্পষ্ট হয়ে যায়।
সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন
We use cookies to ensure you get the best experience on our website.