প্রাচীন ভারতের শিক্ষাভাবনার আদর্শ অনুসরণ মানে কি স্রেফ প্রাচীন ভারতের একটি দিক তুলে ধরা? ২০২০-র নতুন জাতীয় শিক্ষানীতি প্রসঙ্গে ওয়েবিনারের আসরে শনিবার সন্ধ্যায় এই প্রশ্নই ছুড়ে দিলেন অমর্ত্য সেন। প্রতীচী ট্রাস্টের উদ্যোগে আলোচনাচক্রে নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ বলেন, ‘‘প্রাচীন ভারতের আদর্শ বলতে শুধু সনাতন শিক্ষার কথা মনে রাখব, কিন্তু ভারতের সামগ্রিক ইতিহাসের ধারা উপেক্ষা করব, এটা ঠিক নয়!’’
ভারতের ভাবাদর্শের এই বহমানতা প্রসঙ্গে চার্বাক দর্শন থেকে মুসলিম প্রভাবের কথাও মনে করান অমর্ত্য। তিনি বলেন, ‘‘প্রাচীন ভারতে সনাতন ধর্ম যেমন ছিল, তেমনই লোকায়ত বা চার্বাকের পরম্পরাও ছিল। তার মধ্যে ঈশ্বরহীনতা, ধর্মহীনতা বা ধর্মবিরোধিতা এবং সম্পূর্ণ যুক্তিনিষ্ঠ বিশ্লেষণও গুরুত্বপূর্ণ। ভারতের আদর্শের প্রতি একনিষ্ঠ হওয়া কখনওই সেই আদর্শের একটি ধারার প্রতি একনিষ্ঠ থাকা নয়।’’ নয়া শিক্ষানীতির আদর্শে একদেশদর্শিতা প্রসঙ্গে অমর্ত্যের ব্যাখ্যা: পশ্চিমি দেশগুলির স্কুলশিক্ষা শুধু বাইবেলের গসপেল আঁকড়ে বসে থাকা নয়, গ্যালিলিয়োর মতো বিজ্ঞানীদের কথাও তাতে গুরুত্বপূর্ণ। এরই সূত্র ধরে ভারতের বিভিন্ন পরতকে পড়ার গুরুত্বের কথা বলেছেন প্রবীণ অর্থনীতিবিদ। তিনি বলেন, ‘‘এ দেশে মুসলিম প্রভাবও গুরুত্বপূর্ণ। আবার প্রাচীন হিন্দু ভারতেও গোটা দেশ, বিশেষত বাংলা বা অসম এক রকম ছিল না।’’
সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন
We use cookies to ensure you get the best experience on our website.