নাব্যতা সংকট প্রকট আকার ধারণ করায় দেশের ব্যাস্ততম শিমুলীয়া-কাঁঠালবাড়ি নৌরুটে দিনের বেলা খুঁড়িয়ে খুড়িয়ে ফেরি চলাচল সচল থাকলেও সন্ধ্যা হতেই বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। এ রুটের লৌহজং টার্নিং পয়েন্টটি ডুবোচরে বন্ধ হয়ে যাওয়ায় বিকল্প চ্যানেল চালু হলেও তীব্র স্রোত ও নাব্যতা সংকটে এ চ্যানেল দিয়েও ফেরি চলাচল চরমভাবে ব্যহত হচ্ছে। ১১ ঘণ্টা বন্ধ থাকার পর বৃহস্পতিবার সকাল থেকে সীমিত আকারে ফেরি চলাচল শুরু হলেও সন্ধার পর আবারও বন্ধ হয়ে গেছে। ফেরি চলাচল অচলাবস্থার কারণে উভয় ঘাটে যানবাহনের দীর্ঘ লাইন সৃষ্টি হয়েছে।
বিআইডব্লিউটিসিসহ একাধিক সূত্রে জানা যায়, গত কয়েকদিনে শিমুলীয়া-কাঁঠালবাড়ি নৌরুটের পদ্মা নদীতে হু হু করে পানি বাড়ছে। গত ২৪ ঘণ্টায় পানি বৃদ্ধি পায় ৫ সেন্টিমিটার। পদ্মা নদীতে সৃষ্টি হয়েছে তীব্র স্রোত। স্রোতের সাথে ভেসে আসা পলি পড়ে নৌ চ্যানেলের লৌহজং টার্নিং পয়েন্টটি গত ২৯ জুন বন্ধ হয়ে যায়। সেদিনই প্রায় ৫ কিলোমিটার ভাটিতে গিয়ে একটি বিকল্প চ্যানেল চালু করে বিআইডব্লিউটিএ। ৫ কিলোমিটার দীর্ঘ পথ ঘুরে প্রায় দ্বিগুন সময় ব্যয় করে চলছিল ফেরি। তবে নদীতে তীব্র স্রোত অব্যাহত থাকায় বিকল্প চ্যানেলেরও বিভিন্ন পয়েন্টে ডুবোচর সৃষ্টি হয়ে চরম অচলাবস্থা দেখা দিয়েছে। মঙ্গলবার রোরো ফেরি বীরশ্রেষ্ট জাহাঙ্গীর-২৮ টি যানবাহন নিয়ে আটকে পড়ে ডুবোচরে। ২০ ঘণ্টা বন্ধ থাকে ফেরি চলাচল। বিআইডব্লিউটিএর শক্তিশালী আইটি দূর্বারসহ কয়েকটি আইটি দিয়ে দীর্ঘ প্রায় ২৪ ঘণ্টা পর বুধবার বিকালে ফেরিটি উদ্ধার করা হয়।
তবে দুর্ঘটনা এড়াতে বুধবার সন্ধ্যা ৭টা থেকে এ রুটের ফেরি সার্ভিস বন্ধ করে দেওয়া হয়। বৃহস্পতিবার সকাল ৭টা থেকে ৩টি রোরো ও ৪টি কেটাইপ ফেরি ধারণ ক্ষমতার কম যানবাহন নিয়ে কোনমতে চলাচল শুরু করে। তবে মূল পদ্মা ও বিকল্প চ্যানেলের মুখে প্রবল স্রোতে ফেরি চালাতে হিমশিম খায় চালকরা। দুর্ঘটনা এড়াতে আবারও বৃহস্পতিবার সন্ধা থেকে ফেরি চলাচল বন্ধ করে দেয় বিআইডব্লিউটিসি। ফেরি চলাচল অচলাবস্থার কারণে উভয় ঘাটে ৭ শতাধিক পন্যবাহী ট্রাক আটকে পড়েছে। সংকট নিরসনে নদীতে ৫টি ড্রেজার দিয়ে ড্রেজিং চালিয়ে যাচ্ছে বিআইডব্লিউটিএ।
বিআইডব্লিউটিসি কাঁঠালবাড়ি ঘাট সহকারী ম্যানেজার আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, নদীতে তীব্র স্রোতে ফেরি চলাচল ব্যহত হচ্ছে। বিভিন্ন পয়েন্টে ডুবোচর সৃষ্টি হয়েছে। দিনের বেলা কয়েকটি ফেরি দিয়ে জরুরী যানবাহন পারাপার করা হলেও দুর্ঘটনা এড়াতে সন্ধ্যা থেকে বন্ধ রাখা হয়েছে।
সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন
We use cookies to ensure you get the best experience on our website.