কুইক লিঙ্ক : মুজিব বর্ষ | করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব | প্রিয় স্টোর

You have reached your daily news limit

Please log in to continue


তাহলে তো ফরসা হওয়াও দোষের!

সাম্প্রতিক কিছু ঘটনায় বিশ্বজুড়ে ফের আলোচনায় মানুষের গায়ের রং। গায়ের রঙের কারণে বাংলাদেশের শোবিজে কি কেউ অসুবিধায় পড়েন বা সুবিধা পান?  সুবিধা যেমন পেয়েছি আবার অসুবিধাও পড়েছি তানভীন সুইটি আমি ডার্ক। এ জন্য প্রাউড ফিল করি। যাদের টোন একটু ডার্ক, টিভি পর্দায় তাদের দেখতে ভালো লাগে। আমাদের সমাজ বা মিডিয়ায় আগে হয়তো অনেকে অসুবিধায় পড়ত, এখন কেউ অসুবিধায় পড়ছে বলে খুব একটা শুনি না। অনেক পরিবার অবশ্য ছেলের বউ করার জন্য ফরসা মেয়ে খোঁজে। সেখানে যোগ্যতাটা অনেক সময় মুখ্য হয় না। তবে হ্যাঁ, অভিনয়জীবনের প্রথম দিকে মেকআপটা একটু বেশিই করতে হতো। সমাজে ফরসা মেয়েদের কদর, সেটার প্রতিফলন তো মিডিয়ায় পড়েই, তাই বেশি মেকআপ করে ফরসা হতে হতো। শুরুর দিকে  এ রকম টুকটাক সমস্যায় যে পড়িনি, তা নয়। আমার অভিনীত ‘রুপালি নদীর ঢেউ’ কমনওয়েলথ অ্যাওয়ার্ড পেয়েছিল। চা বাগানের ওপর নাটকটি যৌথভাবে নির্মাণ করেছে বাংলাদেশ টেলিভিশন ও কমনওয়েলথ। লন্ডন থেকে একজন মহিলা পরিচালক এসেছিলেন। সে সময়ের নামি শিল্পীরা ইন্টারভিউ দিয়েছিলেন। অনেক সিনিয়র-জুনিয়র ফরসা অভিনেত্রীও গিয়েছিলেন। কিন্তু নির্বাচিত হয়েছি আমি। একটা চা বাগানের মেয়ের ত্বক তো ডার্ক হবেই। সুবিধা যেমন পেয়েছি, আবার অসুবিধাও পড়েছি। ‘ও তো একটু ডার্ক’—এমন কথা শুনেছি। মন খারাপ হয়েছে। যখন নিজের যোগ্যতায় উঠে এসেছি তখন আবার মানুষ আমাকে আপন করে নিয়েছে। কালো হওয়া দোষের হলে ফরসা হওয়াও দোষের জ্যোতিকা জ্যোতি ছোটবেলায় অনেকবার শুনেছি আমি কালো, সে জন্য মনও খারাপ হতো। নিজের গায়ের রং আমার ভীষণ প্রিয়। আমার অভিনয় জীবনের শুরুর দিকে অনেকে বলেছেন, এ টোনটা ক্যামেরাবান্ধব। তবে কিছু মানুষ আছেন, যাঁরা মনে করেন নায়িকা মানেই তাকে ফরসা হতে হবে। সমাজের মতো মিডিয়াতেও আছে। আসলে গায়ের রং দিয়ে সৌন্দর্য যাচাই হয় না। কাজ পাওয়ার ক্ষেত্রে আমার গায়ের রং ওভাবে বাধা হয়ে দাঁড়ায়নি। টালিগঞ্জে ‘রাজলক্ষ্মী শ্রীকান্ত’ করলাম, ২০০৬-০৭-এর দিকে ঢালিউডের অনেক বাণিজ্যিক সিনেমার প্রস্তাব ছিল। তখন করিনি ছবির মান ভালো ছিল না বলে। হতে পারে অনেক পরিচালক গায়ের রঙের জন্য আমাকে নেননি। তবে আমি এমন ঘটনা খুব কম ফেস করেছি। আড়ালে-আবডালে হয়তো শুনেছি। কালো বলে আমাকে যদি কেউ রিজেক্ট করে তাতে আমি এক দিক দিয়ে খুশিই—এ রকম বুদ্ধিহীন মানুষের সঙ্গে কাজটা করতে হয়নি। কালো হওয়া যদি দোষের হয়, তাহলে অনেকের কাছে তো ফরসা হওয়াও দোষের হতে পারে। কবরী আপা একবার আমাকে বলেছিলেন, ‘তোমার চেহারার মধ্যেই বাংলাদেশ।’ বাংলাদেশের চলচ্চিত্র ও নাটকে যেসব অভিনেত্রী বা নায়িকা বিভিন্ন সময়ে প্রভাব বিস্তার করেছেন তাঁদের বেশির ভাগের গায়ের রংই কিন্তু ডার্ক।   শোবিজে আসার পর গায়ের রং নিয়ে দুঃখবোধটা কেটে গেছে প্রসূন আজাদ আমি যেখানেই শুটিং করতে যাই, ইউনিটের সবার সঙ্গে সম্পর্ক ভালো হয়ে যায়। আমার গায়ের রং এমন না হলে হয়তো সবার সঙ্গে মিশে যাওয়াটা এত সহজ হতো না। অভিনয় জানা থাকলে শোবিজে গায়ের রং খুব একটা সমস্যা নয়। গায়ের রঙের কারণে বরং অনেক সুবিধাই হয়েছে, অনেক ধরনের চরিত্রে সুযোগ পেয়েছি। সুন্দরী প্রতিযোগিতায় লড়েই আমি শোবিজে এসেছি। অনেকে হয়তো মনে করেন, গায়ের রং ফরসা না হলে সুন্দরী প্রতিযোগিতায় অংশ নেওয়া যায় না। ব্যাপারটা মোটেও এমন নয়। আমার যা যোগ্যতা, বুদ্ধিমত্তা ছিল আমি সে পর্যন্তই যেতে পেরেছি। ওখানেও এই গায়ের রঙের জন্য আমার সুবিধা হয়েছে। ফটোশুটে দেশি ফটোগ্রাফারদের পাশাপাশি বিদেশিও ছিলেন, তাঁরা আমাকে বলেছেন, ‘তোমার গায়ের রং অনেক সুন্দর।’ তখন থেকেই একটা আত্মবিশ্বাস তৈরি হয়েছে।
সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন