মহান মুক্তিযুদ্ধে তাড়াশে পাক হানাদার বাহিনীর হাতে খুন হওয়া ২৫ জন শহীদ এখনও মুক্তিযোদ্ধার স্বীকৃতি পাননি। তালিকাভুক্তির জন্য বারবার তাদের নাম পাঠানো হলেও তাদের স্বীকৃতি দেওয়া হয়নি। সেসব শহীদ পরিবারের সদস্যরা মানবেতর জীবনযাপন করছেন। জানা গেছে, মুক্তিযুদ্ধে চলনবিল অঞ্চলে যুদ্ধ করতে তাড়াশের নওগাঁয় গড়ে উঠে মুক্তিযুদ্ধকালীন সংগঠন পলাশ ডাঙ্গা যুব শিবির। জেলার উল্লাপাড়া উপজেলার সাবেক সংসদ সদস্য প্রয়াত বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল লতিফ মির্জার নেতৃত্বে গড়ে ওঠা ওই সংগঠন এলাকায় পাক বাহিনীর সাথে সম্মুখ যুদ্ধে অংশ নেয় ।স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধারা জানান, ১৯৭১ সালের ১১ নভেম্বর পলাশ ডাঙ্গা যুব শিবিরের মুক্তিযোদ্ধাদের সাথে তাড়াশের পূণ্যভূমি হাজী শাহ শরীফ জিন্দানী (রঃ) মাজার এলাকার নওগাঁয় পাক হানাদার বাহিনীর সাথে সম্মুখ যুদ্ধে পাক হানাদার বাহিনীর ক্যাপ্টেন সহ শতাধিক সদস্য নিহত হয়।
প্রতিশোধ হিসেবে পাক হানাদার বাহিনী তাড়াশের মাগুড়াবিনোদ ইউনিয়নের আমবাড়িয়া গ্রামের জনবসতিতে আগুন দিয়ে জ্বালিয়ে দেয়। এতে ওই গ্রামের মুক্তিযোদ্ধাদের সহায়তাকারী ইয়ার মাহমুদ মাস্টারসহ ১৫ জন মুক্তিকামী মানুষকে আগুনে পুড়িয়ে তারা হত্যা করে। এছাড়া তাড়াশ থানা সদরে পাক বাহিনী তাণ্ডব শুরু করে। তারা মুক্তিযোদ্ধা হিরা লাল গোস্বামীর বাড়িতে হানা দেয়। সে সময় অকুতোভয় হিরা লাল গোস্বামী নিজেই একা পাক হানাদার বাহিনীর ৩ জন সদস্যকে কুপিয়ে হত্যা করেন। এক পর্যায়ে আহত মুক্তিযোদ্ধা হিরা লাল গোস্বামী (প্রতুল চন্দ্র গোস্বামী) সেখান থেকে চলে যাওয়ার সময় স্থানীয় রাজাকাররা তাকে আটক করে পাক হানাদার বাহিনীর হাতে তুলে দেন। এরপর তার আর কোনো খোঁজ মেলেনি।
পাক বাহিনীর হাতে নিহত এমন ২৫ জন শহীদ মুক্তিযোদ্ধারা আজও সরকারিভাবে স্বীকৃতি পাননি। এ প্রসঙ্গে তাড়াশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদের কমান্ডার গাজী আরশেদুল ইসলাম আরশেদ বলেন, শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকা বার বার মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হলেও আজ পর্যন্ত তাদের তালিকাভুক্ত করা হয়নি। স্বীকৃতি না পাওয়া অনেক শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের পরিবারের সদস্যরা কষ্টে জীবনযাপন করছেন।
সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন
We use cookies to ensure you get the best experience on our website.