গতকাল ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের ৭১ বছর পূর্তি উদযাপিত হয়েছে বেশ নীরবেই। করোনা মহামারির দাপটে দেশ যখন অনেকটা পর্যুদস্ত, তখন স্বাভাবিক কারণে কারও ভাবনায় আনেনি যে সাড়ম্বরে এই প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালন করতে হবে।
প্রতিষ্ঠার লগ্ন থেকে বড় সময় গেছে লড়াই সংগ্রামে। হত্যা, ক্যু, ষড়যন্ত্র, সামরিক ও আধা সামরিকতন্ত্রকে মোকাবিলা করে এই দলেরই নেতৃত্বে স্বাধীন হওয়া দেশে আওয়ামী লীগ এখন টানা তৃতীয় মেয়াদে শাসক দলের ভূমিকায়। এখন আরেক লড়াই চলছে করোনা মহামারির বিরুদ্ধে। আওয়ামী মুসলিম লীগ থেকে আরও অসাম্প্রদায়িক হওয়ার জন্য মুসলিম শব্দটি বাদ দেওয়া, ভাষা আন্দোলন থেকে শুরু করে বাংলাদেশের বাঙালির সব আন্দোলন, সংগ্রামে নেতৃত্ব দেওয়া, মুক্তিযুদ্ধে নেতৃত্ব দেওয়া, স্বাধীন দেশ পরিচালনা, ১৯৭৫-এ জাতির পিতার হত্যা পরবর্তী দুঃসময় এবং তারই কন্যা শেখ হাসিনার হাত ধরে আবার রাষ্ট্রক্ষমতায় ফিরে আসা, সবই নানা স্তরে বিশ্লেষিত হয়েছে।
শেখ হাসিনার নেতৃত্বে চারবার ক্ষমতায় এসেছে দলটি। এবার টানা তৃতীয় মেয়াদে আছে রাষ্ট্র ও সরকার পরিচালনায়। এই তিন মেয়াদে সবচেয়ে বেশি উচ্চারিত শব্দ ‘উন্নয়ন’। বাংলাদেশের মতো দারিদ্র্যপীড়িত ও ভঙ্গুর গণতান্ত্রিক একটি দেশকে উন্নয়নের পথে নিয়ে যাওয়া, আবার মুক্তিযুদ্ধের রাজনৈতিক অঙ্গীকার বাস্তবায়ন করা – এ দুয়ের এক সমন্বয় করতে গিয়ে কঠিন বাস্তবতার ভেতর দিয়ে ২০০৯ সাল থেকে পথ চলছেন শেখ হাসিনা। রাজনৈতিক অঙ্গীকার হিসেবে যুদ্ধাপরাধের বিচার করতে গিয়ে সহিংস ও জঙ্গি পরিস্থিতি মোকাবিলা করেও তার সাফল্য ছিল উচ্চ প্রবৃদ্ধি অর্জনের পথে দেশকে নিয়ে যাওয়া।
বাংলাদেশের অর্থনীতি সংক্রান্ত ভাবনাটি কী হবে তার কোনও সুস্পষ্ট ধারণা রাজনৈতিক নেতৃত্ব থেকে পাওয়া বেশ কঠিন ছিল। একটা অংশ মনে করতো দেশ স্বাধীন হলে আধুনিক শিল্প নিয়ে মাথা না ঘামিয়ে গ্রামীণ অর্থনীতির উন্নয়নের ওপর জোর দিতে হবে। আরেকটি অংশ মনে করতেন, শিল্পায়নের পথই উন্নয়নের পথ। নতুন দেশে বাঙালি উদ্যোক্তা হাতো গোনা, আবার রাষ্ট্র ভাবনায় সমাজতন্ত্র। বঙ্গবন্ধু সব শিল্প ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান রাষ্ট্রায়ত্ত করেছিলেন মানুষের কল্যাণের কথা ভেবে। শিল্পের পথে এগোতে গেলে যে পরিকল্পিতভাবে যেতে হবে, রাষ্ট্রকে দায়িত্ব নিতে হবে, এই ধারণাটি বঙ্গবন্ধুর ছিল। কিন্তু শেষ পর্যন্ত অনিয়ম, দুর্নীতি আর অদক্ষতায় এই রাষ্ট্রায়ত্তকরণ আমাদের সফলতা দেয়নি।
১৯৭৫-এর পর ব্যক্তিখাতের বিকাশ হয়েছে প্রথমে সামরিক শাসকদের নেতৃত্বে, পরবর্তী সময়ে আধা-সামরিক নেতৃত্বে এবং সেই পথ চলায় দুর্নীতি, স্বজনপ্রীতি সবই প্রাতিষ্ঠানিকতা পেয়েছে ক্ষমতার কেন্দ্র থেকে। আমরা কি মিশ্র অর্থনীতির পথে চলব, নাকি কঠোরভাবে বাজারের দর্শনে এগিয়ে যাব সে নিয়ে সংশয় সবসময়ই ছিল। এমন বাস্তবতায় বর্তমান সরকার বড় অবকাঠামো প্রকল্পের ভাবনা যেমন ভেবেছে, তেমনি স্বয়ম্ভর গ্রামীণ অর্থনীতি, ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পই যে আমাদের যথার্থ ভবিষ্যৎ, সে ভাবনায়ও চলার চেষ্টা করছে।
সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন
We use cookies to ensure you get the best experience on our website.