বিতর্কিত ইসলামি চিন্তাবিদ ও জাকির নায়েককে আবার ফেরত চেয়েছে ভারত। বুধবার ভারতের একটি সংবাদ মাধ্যমে প্রকশিত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দিল্লি দাঙ্গার সন্দেহভাজন ইন্ধনদাতা খালিদ সাইফি নামের এক ব্যক্তির সঙ্গে দেশের বাইরে সাক্ষাৎ করেছিলেন জাকের নায়েক। সাইফি তার এজেন্ডা ছড়িয়ে দিতে নায়েকের সহযোগিতা চেয়েছিলেন। ১৫ জুন এই আবেদন দাখিল করে পুলিশ। এরই পরিপ্রেক্ষিতে মালয়েশিয়ায় অবস্থানরত জাকির নায়েককে ভারতে ফিরিয়ে আনতে চাইছে দেশটির সরকার।
এর আগে গত ১৪ মে ভারত জাকির নায়েককে মালয়শিয়ার কাছ থেকে ফেরত চায়। রক্ষণশীল এই ভারতীয় ইসলাম প্রচারক তিন বছরেরও বেশি সময় ধরে দক্ষিণপূর্ব এশিয়ার দেশটিতে অবস্থান করছেন। সেখানে তার স্থায়ীভাবে থাকার অনুমতি রয়েছে।২০১৬ সালের জুলাই মাসে ঢাকায় হলি আর্টিজানের ঘটনায় হামলাকারীদের দু'জন নিব্রাস ইসলাম ও রোহান ইমতিয়াজ তার বক্তব্যের দ্বারা প্রভাবিত ছিল বলে অভিযোগ রয়েছে। তবে এই অভিযোগও জাকের নায়েক বরাবরই অস্বীকার করে আসছেন।
এ ঘটনার পর তার প্রতি আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের নজর পড়ে। সে বছরই ভারত ও বাংলাদেশে তার মালিকানাধীন পিস টিভির সম্প্রচার বন্ধ করে দেয়া হয়। এরপরপরই তার বিরুদ্ধে আইনের ব্যত্যয় ঘটাবার অভিযোগ আনা হয়। ভারতীয় কাউন্টারটেররিজম এজেন্সি নায়েকের বিরুদ্ধে ধর্মীয় বিদ্বেষ ছড়ানোর অভিযোগ আনে। পরে জাকির পালিয়ে যান মালয়েশিয়ায়।
এদিকে ভারত বারবার চেষ্টা করেও জাকিরকে ফেরত আনতে পারছে না। ইন্টারপোল তাদের রেডনোটিশ জারির অনুরোধ তিনবার ফেরত দিয়েছে। এছাড়াও জাকির নায়েককে ভারতে ফেরত চাওয়ার সঙ্গে দেশটির সরকারের হিন্দু-জাতীয়তাবাদের এজেন্ডা আছে কিনা এমন প্রশ্ন তোলা হয়েছে। বিশ্লেষকেরা মনে করেন, ধর্মীয় ও রাজনৈতিক কারণে জাকির নায়েককে হয়ত ফেরত দেবে না মালয়েশিয়া।
সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন
We use cookies to ensure you get the best experience on our website.