ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার প্রধান নির্বাহী পদে ইংল্যান্ডের স্ট্রাউস!
করোনাভাইরাসে ওলটপালট ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া (সিএ)। খরচ বাঁচাতে ছাঁটাই করা হয়েছে ৪০ জনকে। তারও আগে আর্থিক অবস্থা সামলাতে না পেরে পদত্যাগ করেছেন প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) কেভিন রবার্টস। আপাতত অন্তর্বর্তীকালীন নিয়োগ দিয়ে খোঁজা হচ্ছে স্থায়ী কাউকে। আর এই জায়গায় তাদের পছন্দের তালিকায় এক সাবেক ইংলিশ ক্রিকেটার! ইংল্যান্ডকে নেতৃত্ব দেওয়া অ্যান্ড্রু স্ট্রাউসকে নাকি এই পদের জন্য আবেদন করতে বলা হয়েছে সিএ থেকে।এমন খরবই দিয়েছে অস্ট্রেলিয়ায় সংবাদমাধ্যম ‘দ্য অস্ট্রেলিয়ান’।
ইংল্যান্ডের হয়ে লম্বা সময় খেললেও চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী শিবিরের সাবেক সৈন্যকে নিজেদের ক্রিকেটের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ পদে বসাতে চাইছে অস্ট্রেলিয়া। এর কারণ স্ট্রাউসের বোর্ড সামলানোর সামর্থ্য। ইংল্যান্ড ও ওয়েলস ক্রিকেট বোর্ডের (ইসিবি) ক্রিকেট পরিচালকের দায়িত্ব সাফল্যের সঙ্গে পালন করেছেন ৪৩ বছর বয়সী সাবেক এই অধিনায়ক। ২০১৫ সালে দায়িত্ব নেওয়ার পর আমূল পাল্টে দেন ইংল্যান্ডের ক্রিকেট।
২০১৮ সালে স্ত্রীর অসুস্থতার কারণে ইসিবির ক্রিকেট পরিচালকের দায়িত্ব থেকে সরে দাঁড়ালেও ইংল্যান্ডের ক্রিকেটের সাফল্যের ভিত তৈরি করে গিয়েছিলেন তিনি। যে ভিতের ওপর দাঁড়িয়ে ২০১৯ সালে নিজেদের ক্রিকেট ইতিহাসে প্রথমবারের মতো বিশ্বকাপ জয়ের উল্লাসে মাতে ইংল্যান্ড।জন্ম দক্ষিণ আফ্রিকায় হলেও স্ট্রাউস আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলেছেন ইংল্যান্ডের জার্সিতে। অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে অ্যাশেজে গুরত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন ২০০৫, ২০০৯ ও ২০১০-১১ সিরিজে।
চিরশত্রু শিবিরের একজনকে ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার গুরুত্বপূর্ণ পদের জন্য চিন্তা করা কতটা যুক্তিপূর্ণ সেই আলোচনা শুরু হয়ে গেছে। যদিও ইসিবির ক্রিকেট পরিচালকের পদ তিনি যেভাবে সামলেছেন, তাতে অনেকেই ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার প্রধান নির্বাহী হিসেবে যোগ্য মনে করছেন স্ট্রাউসকে।সিএ অবশ্য প্রধান নির্বাহী নিয়োগ দিতে তাড়াহুড়ো করতে চায় না। আপাতত ইংল্যান্ডে জন্ম নেওয়া নিক হকলিকে অন্তর্বর্তীকালীন নিয়োগ দিয়েছে তারা। সংস্থাটির চেয়ারম্যান আর্ল এডিংস জানিয়েছেন, ‘বোর্ডের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ পদ হলো সিইও। আমরা এটার জন্য সময় নিতে চাই এবং ভালোভাবে খুঁজতে চাই দেশ-বিদেশ থেকে।’
সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন
We use cookies to ensure you get the best experience on our website.