দেশের ৮৬ শতাংশ নার্সের করোনাভাইরাস সংক্রম রোধ ও নিয়ন্ত্রণ বিষয়ক ‘আইপিসি’ প্রশিক্ষণ নেই বলে জানিয়েছে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)। বিবিজিএনএস ও এসএনএসআর নামক নার্সদের দু’টি সংগঠনের জরিপের ভিত্তিতে দুর্নীতি বিরোধী সংগঠনটি এই তথ্য জানিয়েছে। এছাড়া করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত রোগীদের সেবা দেয়ার ক্ষেত্রে ৭৪ দশমিক ৫০ শতাংশ দক্ষ জনবলের ঘাটতি রয়েছে এবং প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি ও উপকরণের ৫৯ দশমিক ৬০ শতাংশ ঘাটতি রয়েছে বলে জানিয়েছে টিআইবি। সোমবার ‘করোনা ভাইরাস সংকট মোকাবেলায় সুশাসনের চ্যালেঞ্জ শীর্ষক প্রতিবেদন প্রকাশ’ উপলক্ষে আয়োজিত এক ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানানো হয়।
টিআইবি জানিয়েছে, প্রত্যক্ষভাবে সারা দেশের সকল বিভাগের ৩৮টি জেলা থেকে ৪৭টি হাসপাতাল থেকে স্বাস্থ্যসেবা সংক্রান্ত তথ্য নেয়া হয়েছে। এর মধ্যে ৯টি মেডিকেল কলেজ, ৩৩টি উপজেলা পর্যায়ের হাসপতাল, ৫টি অন্যান্য হাসপাতাল রয়েছে। প্রতিবেদনের তথ্য তুলে ধরে টিআইবি বলেছে, গবেষণার অন্তর্ভুক্ত হাসপাতালগুলোর ২২ দশমিক ২০ শতাংশের সকল স্বাস্থ্যকর্মী প্রশিক্ষণ পেয়েছেন। শুধু চিকিৎসক ও নার্স প্রশিক্ষণ পেয়েছেন ২০ শতাংশ হাসপাতালের। শুধু চিকিৎসক প্রশিক্ষণ পেয়েছেন ২০ শতাংশ হাসপাতালের।
শুধুমাত্র কোভিডের জন্য নির্ধারিত কর্মীরা প্রশিক্ষণ পেয়েছেন ১৩ দশমিক ৩০ শতাংশ হাসপাতালের। এছাড়া অল্প সংখ্যক কর্মী প্রশিক্ষণ পেয়েছেন ৬ দশমিক ৭০ শতাংশ, অল্পসংখ্যক চিকিৎসক ও নার্স প্রশিক্ষণ পেয়েছেন ৬ দশমিক ৭০ শতাংশ, একজন করে চিকিৎসক প্রশিক্ষণ পেয়েছেন ৬ দশমিক ৭০ শতাংশ এবং কেউ প্রশিক্ষণ পাননি ২ দশমিক ২০ শতাংশ হাসপাতালে।
ফেব্রুয়ারির শুরুতে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার পক্ষ থেকে সতর্ক করা হলেও ‘বাংলাদেশে কোভিড-১৯ এর জন্য জাতীয় প্রস্তুতি ও সাড়া দান পরিকল্পনা’ প্রণয়নে প্রায় দেড় মাস বিলম্ব করা হয়েছে। এর কারণে সংক্রমণ প্রতিরোধ ও চিকিৎসা ব্যবস্থাপনায় বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হয়েছে বলে জানিয়েছে টিআইবি। চিকিৎসা ব্যবস্থার ঘাটতির তথ্য তুলে ধরে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত রোগীদের সেবা দেয়ার ক্ষেত্রে ৭৪ দশমিক ৫০ শতাংশ দক্ষ জনবলের ঘাটতি রয়েছে।
সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন
We use cookies to ensure you get the best experience on our website.