করোনাভাইরাসের (কোভিড-১৯) সংক্রমণ থেকে রক্ষা পেতে শুরু করা লকডাউন প্রায় দুই মাস পর শিথিল করা হয়েছে। পরিস্থিতির কোনো আশানুরূপ উন্নতি না হলেও প্রয়োজনীয় এই শিথিলতা নিয়ে নানা প্রশ্ন উঠেছে। সংক্রমণের ধারা ঊর্ধ্বমুখী হওয়ার এই সময়কালে বিধিনিষেধে শিথিলতাকে অনিরাপদ বলে ভাবছেন বিশেষজ্ঞরা।
হয়তো অর্থনৈতিক বা বাণিজ্যিক বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে শপিংমল, মার্কেট ও অন্যান্য প্রতিষ্ঠান সীমিত আকারে খোলা রাখার সিদ্ধান্ত দিয়েছে সরকার। অনেকেই ধারণা করছেন, করোনাভাইরাস সংক্রমণের ‘পিক টাইমে’ এমন সিদ্ধান্ত হীতে বিপরীত ফল বয়ে আনতে পারে। তবে পরিস্থিতি যাই হোক বা যেদিকে যাক, ব্যক্তিপর্যায়ে সচেতনতা ও সতর্কতা আমাদেরকে এই ভয়াবহ বিপদ থেকে রক্ষা করতে পারবে। সে জন্য নিজের নিরাপত্তা নিজেকেই নিশ্চিত করতে হবে।
ঈদ সামনে রেখে রাজধানীর বিভিন্ন শপিংমল বা মার্কেটে কমবেশি জনসমাগম লক্ষ করা যাচ্ছে। ক্রেতা বা দর্শণার্থীরা আসা-যাওয়া শুরু করেছেন সরকারি নিষেধাজ্ঞা শিথিল হওয়ার পর থেকে। স্বাস্থ্যনির্দেশিকা মানছেন না তারা। করোনার মতো মহামারিকালে আতঙ্কের মাঝেও মানুষের একাংশ ঈদ আনন্দকে উদযাপন করার জন্য কেনাকাটায় মেতে উঠেছেন। আবার কেউ কেউ বিভিন্ন মার্কেটে ঘুরে বেড়াচ্ছেন। এসব ক্ষেত্রে ন্যূনতম সতর্কতা লক্ষ করা যাচ্ছে না ক্রেতা-বিক্রেতা ও দর্শনার্থীদের ক্ষেত্রে। কোনো পক্ষই স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলছেন না। মাস্ক পরার বাধ্যবাধকতা থাকলেও অনেকে মাস্ক পরছেন না।
স্বাস্থ্যবিধি পরিপূর্ণভাবে পালিত হচ্ছে না সব মল বা মার্কেটে। ক্রেতা বা মার্কেটে আগমনকারীরা সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখছেন না। একাধিক ব্যক্তি একসঙ্গে হাত ধরাধরি করে বা গায়ে গা লাগিয়ে মল-মার্কেটে ঘুরছেন। বিক্রেতাদের অবস্থাও সে রকম। দোকানগুলোতে দাঁড়ানের জন্য বৃত্ত বা চারকোণাযুক্ত সাইন দেয়া থাকলেও সেগুলোর দিকে নজর নেই কারও। কে কার আগে তার কাজটি সারবেন তা নিয়ে ব্যস্ত। পণ্য দেখাদেখির ক্ষেত্রে নেই কোনো স্বাস্থ্যনিরাপত্তার ব্যবস্থা।
লোকদেখানো বা প্রশাসনের ভয়ে কিছু পদক্ষেপ নেয়া হলেও তা সার্বক্ষণিক কার্যকর নয়। যার যেমন খুশি আসছে-যাচ্ছে। কাপড়, জুতা বা পণ্য ঘাটাঘাটি করছে, পছন্দ হলে কিনছে না হলে চলে যাচ্ছে। এটা আমাদের জন্য নিরাপত্তাহীনতা তৈরি করছে। বাণিজ্যিক বিষয়টি মাথায় রেখে শপিংমল বা মার্কেট খোলা হলেও স্বাস্থ্যবিধি যথাযথভাবে এবং কঠোরতার সঙ্গে মানা হলে আমারা অনেক নিরাপদ থাকতাম। কিন্তু এ নিয়ে সবার মাঝে ঢিলেঢালা ভাব।
সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন
We use cookies to ensure you get the best experience on our website.