একটা ভয়ের মাঝেই আছি। ছোটবেলায় শুনতাম মধ্যদুপুুরে জঙ্গলে তেঁতুল গাছের ধারেকাছে যাওয়া যাবে না। ভূত থাকে। গেলেই ভূত ঘাড় মটকে দেবে। কত দিন গোপনে তেঁতুল গাছের নিচে গিয়ে বসে থেকেছি ভূত দেখতে। পাইনি সেই ভূতের সন্ধান। বন্ধুদের পাল্লায় পড়ে অমাবস্যা রাতে শ্মশানঘাটে গেছি প্রেতাত্মা দেখতে। পাইনি খুঁজে।
পরীদের সন্ধানে হেঁটেছি পূর্ণিমা রাতে। কারও দেখা মেলেনি। এ কারণে ভয়ডরটা আমার কম। মিডিয়ায় কাজ করতে গিয়ে বিভিন্ন সময়ে প্রভাবশালীদের হুমকি দেখেছি। এখনো দেখছি। কিন্তু ভয়টা আমাকে খুব কাবু করতে পারে না। সাহসটা পেয়েছি পারিবারিকভাবেই। মুক্তিযুদ্ধ করেছেন ভাই, মামা, খালাতো ভাই। শহীদ হয়েছেন ফুপাতো বোনের স্বামী। বারবার মৃত্যুর চেয়ে একবারে চলে যাওয়াই ভালো। কিন্তু সেই যাওয়াটা কীভাবে হবে চিন্তা এখন সেখানেই। করোনাকাল আমাদের ভয় ধরিয়ে দিয়েছে। ডিসেম্বরে প্রথম করোনাভাইরাসের চ্যালেঞ্জে পড়েছি থাইল্যান্ড গিয়ে। সবাই মাস্ক পরে হাঁটছে। আমাকেও হাঁটতে হয়েছে। তারপর বাংলাদেশে এমন হবে সেই ভাবনা তখনো আসেনি। মার্চে সবকিছু বদলে গেল।
বাংলাদেশ প্রতিদিনের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অনুষ্ঠান বাতিল করলাম। কিন্তু শুরু থেকেই অফিস করছি। অফিসের বাইরেও বিভিন্ন মিটিংয়ে যোগ দিচ্ছি। বিভিন্নভাবে চেষ্টা করছি মানুষের পাশে দাঁড়াতে। নিকটজনদের পাশে থাকতে। তার পরও আমার একটা ভয় কাজ করছে পরিবার-পরিজন নিয়ে। মায়ের বয়স ৯৬ বছর। তাঁর শরীরটা ভালো যাচ্ছে না। মুক্তিযোদ্ধা ভাইটির দুটি কিডনি বিকল। সপ্তাহে তিন দিন ডায়ালাইসিস করাতে হয়। তিনি ভয়ে ভয়ে হাসপাতালে যান। আরেক ভাই হার্টের রোগী। কিছুদিন আগে রিং বসিয়েছেন দ্বিতীয় দফা। মা অসুস্থ হলে ইউনাইটেডে এসে ভর্তি হতেন।
সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন
We use cookies to ensure you get the best experience on our website.