সঙ্কট মোকাবেলা ও ভবিষ্যত নিরাপত্তায় বিশিষ্টজনদের সুপারিশ
কভিট-১৯ এ সমগ্র বিশ্ব বিপর্যস্ত। বাংলাদেশে করোনা আক্রান্ত এবং মৃত্যুর সংখ্যা ক্রমে বাড়ছে। অন্যদিকে করোনা প্রতিরোধে গৃহীত নানা ব্যবস্থায় সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষের জীবন ও জীবিকা বিপন্ন। ক্ষুধা, অনিশ্চয়তা, চিকিৎসাহীনতার ভয় ক্রমে বাড়ছে। সামনে আরও বিপদের ঘনঘটা। এ পরিস্থিতিতে দেশের বিশিষ্টজনেরা সঙ্কট মোকাবেলা ও নিরাপদ ভবিষ্যত গড়ার লক্ষ্যে কিছু সুপারিশ তুলে ধরেছেন।
সুপারিশকারীরা হলেন: আনু মুহাম্মদ, অর্থনীতি বিভাগ, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়; ডা. মনিরুল ইসলাম, বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক ও লেখক; মোহাম্মদ তানজীম উদ্দীন খান, আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়; মোশাহিদা সুলতানা, অ্যাকাউন্টিং বিভাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়; মাহা মির্জা, গবেষক। ফিরোজ আহমদ, প্রাবন্ধিক, সংগঠক; মাহতাব উদ্দিন আহমদ, প্রাবন্ধিক, সংগঠক; মিজানুর রহমান, সর্বজন আন্দোলন সংগঠক; সামিনা লুৎফা নিত্রা, সমাজবিজ্ঞান বিভাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়; সায়েমা খাতুন, নৃবিজ্ঞান বিভাগ, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়; প্রকৌশলী অনুপম সৈকত শান্ত, লেখক ও গবেষক; বীথি ঘোষ, শিল্পী ও লেখক; চৌধুরী মুফাদ আহমদ, লেখক।
তারা বলেছেন, আমরা লক্ষ্য করছি যে, যেসব দেশের সরকার এই ভাইরাস মোকাবিলায় ত্বরিৎ পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে, দেশের নাগরিকদের ন্যূনতম খাদ্য, আশ্রয়ের সুরক্ষায় যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে এবং যেসব দেশে স্বাস্থ্যসেবা ব্যবস্থার দৃঢ় ভিত্তি আছে এই সঙ্কট মোকাবিলায় তারাই সাফল্য দেখিয়েছে। এই তিনটি ক্ষেত্রেই দুর্বলতা, শৈথিল্য, অমনোযোগ ও যথাযথ প্রাতিষ্ঠানিক ভূমিকার অভাবে বাংলাদেশ অনেক বেশি হুমকির সম্মুখীন।
এই পরিপ্রেক্ষিতে আমরা শিক্ষক, চিকিৎসক, গবেষক, লেখক, শিল্পী ও সংগঠকদের একটি দল সংশ্লিষ্ট বিষয়ে বিস্তারিত অনুসন্ধান, মতবিনিময়, দেশ-বিদেশের পরিস্থিতি ও গৃহীত পদক্ষেপ পর্যালোচনা করে, সতর্কতামূলক বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণের পাশাপাশি, স্বল্প ও দীর্ঘমেয়াদে করণীয় বিষয়গুলো নির্ধারণ করে তা দেশের সর্বস্তরের মানুষ ও সরকারের কাছে উপস্থিত করছি।
করণীয় -১: কর্মহীন, স্বল্প আয়ের মানুষদের (মজুর, বেকার, ক্ষুদে ব্যবসায়ী) ঘরে ঘরে খাদ্যসামগ্রী, নগদ অর্থ ও ত্রাণ পৌঁছানো।
বাংলাদেশে প্রায় ২ কোটি পরিবার বর্তমানে ভয়াবহ খাদ্য সংকটে। এসব পরিবার প্রতি খাদ্য সামগ্রী (তিন মাস ধরে প্রতিমাসে ৫০০০ টাকার খাদ্যসামগ্রী) এবং নগদ অর্থ (প্রতিমাসে ৫০০০ টাকা ধরে নিত্য প্রয়োজনীয় সামগ্রী ও ওষুধ কেনা বাবদ) সরবরাহ করতে হবে।
গ্রাম পর্যায় পর্যন্ত এদের তালিকা তৈরি করতে স্থানীয় সরকারের প্রতিনিধিদের নির্দেশ দিতে হবে। অনিয়ম বা ভ্রান্তি রোধ করার জন্য তালিকা ওয়েবসাইটে প্রকাশ করতে হবে।
সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন
We use cookies to ensure you get the best experience on our website.