কুইক লিঙ্ক : মুজিব বর্ষ | করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব | প্রিয় স্টোর

জিম্বাবুয়ের সাবেক প্রেসিডেন্ট রবার্ট মুগাবে ও তার স্ত্রী। সংগৃহীত ছবি

দায়মুক্তি পেলেন মুগাবে ও তার স্ত্রী

জাহিদুল ইসলাম জন
জ্যেষ্ঠ সহ-সম্পাদক, নিউজ এন্ড কারেন্ট অ্যাফেয়ার্স
প্রকাশিত: ২৩ নভেম্বর ২০১৭, ২১:৩৮
আপডেট: ২৩ নভেম্বর ২০১৭, ২১:৩৮

(প্রিয়.কম) জিম্বাবুয়ের সাবেক প্রেসিডেন্ট রবার্ট মুগাবে এবং তার স্ত্রী গ্রেস মুগাবেকে দায়মুক্তি দিয়েছে দেশটির সেনাবাহিনী। ফলে তারা কোনো বিচারের মুখোমুখি হওয়া ছাড়া নিরাপদে দেশেই বসবাস করতে পারবেন।

২৩ নভেম্বর বৃহস্পতিবার জিম্বাবুয়ের প্রতিরক্ষা বাহিনীর মুখপাত্র কর্নেল ওবারসন মুগওয়াইসি মুগাবের সঙ্গে একটি চুক্তি স্বাক্ষরের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। ওই চুক্তিতে মুগাবে ও স্ত্রী গ্রেসকে দায়মুক্তি দিয়ে দেশে নিরাপদে বসবাসের নিশ্চয়তা দেওয়া হয়েছে।

আশা করা হচ্ছে, সাবেক ভাইস প্রেসিডেন্ট এমারসন মানগাগওয়া আগামী শুক্রবার প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব নেবেন।

৩৭ বছর ধরে জিম্বাবুয়ে শাসন করার পর সেনা হস্তক্ষেপে গত মঙ্গলবার পদত্যাগের ঘোষণা দেন মুগাবে। সেনাবাহিনী তাকে গৃহবন্দী করার পর আট দিন ধরে পদত্যাগে অস্বীকৃতি জানিয়ে আসলেও পার্লামেন্ট তাকে অভিশংসনের প্রক্রিয়া শুরু করলে পদত্যাগ করেন মুগাবে।

সরকারি একটি সূত্র সংবাদ সংস্থা রয়টার্স-কে জানিয়েছেন, আলোচনায় মধ্যস্থাকারীদের কাছে মুগাবে অনুরোধ করেছিলেন জিম্বাবুয়েতেই যেন তিনি মরতে পারেন। পরবাসী হয়ে তিনি বাঁচতে চান না।

ওই সূত্রটি জানিয়েছে, দেশে মুগাবের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। একইসঙ্গে যখন ইচ্ছা তিনি যেন বাইরে যেতে পারেন, তা দেখাও জরুরি ছিল।

মুগাবের রাজনৈতিক দল জানু-পিএফ পার্টির পক্ষ থেকেও তাকে নিরাপদে বসবাস করতে দেওয়ার বিষয়ে নিশ্চয়তা দেওয়া হয়েছে। সাবেক মন্ত্রী এবং জানু-পিএফ দলের এমপি জিয়াম্বি জিয়াম্বি গার্ডিয়ান-কে বলেন, মুগাবে এবং তার স্ত্রীর দায়মুক্তি নিশ্চিত করা হবে। তাদের নিরাপত্তার বিষয়টিও খেয়াল রাখা হবে।

তিনি বলেন, ‘একজন বয়োজ্যেষ্ঠ নাগরিক হিসেবে তাকে সম্মান দেখানো হবে। তিনি (মুগাবে) আমাদের প্রেসিডেন্ট ছিলেন আর পদত্যাগে সম্মতি দিয়েছেন, সুতরাং সকল বকেয়াসহ সাবেক প্রেসিডেন্ট হিসেবে তার সব প্রাপ্য সুবিধাও নিশ্চিত করা হবে।’

জিম্বাবুয়েতে মুগাবের পরিবারের সদস্যদের গরুর খামারের ব্যবসা রয়েছে। এ ছাড়া দেশীয় ও আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমের খবরে বলা হয়, গ্রেস মুগাবে দক্ষিণ আফ্রিকায় বিপুল পরিমাণ সম্পত্তি আর গাড়ি কিনে রেখেছেন।

প্রিয় সংবাদ/শান্ত