কুইক লিঙ্ক : মুজিব বর্ষ | করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব | প্রিয় স্টোর

২৬ বলে ৫১ রানের ইনিংস খেলার পথে জাকির হাসানের একটি শট। ছবি: প্রিয়.কম

সিলেটের বিপক্ষে জাকিরের স্বপ্নপূরণ

জুবায়ের আহমেদ তানিন
সহ-সম্পাদক
প্রকাশিত: ১৭ নভেম্বর ২০১৭, ২০:২৬
আপডেট: ১৭ নভেম্বর ২০১৭, ২০:২৬

(প্রিয়.কম) জয় থেকে তখনও ৬৩ রান দূরে রাজশাহী কিংস। ইনিংসের ১২তম ওভারের পঞ্চম বলে সিলেট সিক্সার্সের বাঁহাতি স্পিনার নাবিল সামাদকে উড়িয়ে মারতে গেলেন জাকির হাসান। ক্যাচ দিলেন মিড উইকেটে। অনফিল্ড আম্পায়ার সাহায্য নিলেন থার্ড আম্পায়ারের। দেখা গেল ওভারস্টেপিং করেছেন নাবিল সামাদ। ব্যক্তিগত ১৬ রানেই থেমে যেতে পারতো জাকিরের ইনিংস। নো বল হওয়ায় সেখান থেকে জীবন পেয়ে সিলেটের ছেলে জাকির সিলেটের বিপক্ষেই হাঁকালেন ঝড়ো এক হাফ সেঞ্চুরি। যা এই বাঁহাতি ব্যাটসম্যানের কাছে স্বপ্নপুরণ।  

জীবন পেয়ে পরের দুই বলেই হাঁকালেন বিশাল দুই ছয়। সেখান থেকেই শুরু। মাঠ ছেড়েছেন চার মেরে দলের জয় নিশ্চিত করে। চারটি চার ও তিন ছয়ের মারে ২৬ বলে ৫১ রান করে হয়েছেন ম্যাচসেরা। সংবাদ সম্মেলনেও ডাক পড়ল তারই।

সিলেটের ছেলে হলেও সিলেটের দলে জায়গা হয়নি জাকিরের। বিপিএলের গেল আসরে খেলেছেন চিটাগং ভাইকিংসের হয়ে। এবার চিটাগং ছেড়ে রাজশাহী কিংসে। জানালেন শুরু থেকেই ইচ্ছা ছিল সিলেটের বিপক্ষে ভাল একটা ইনিংস খেলার। তরুণ এই ব্যাটসম্যান বলেন, ‘জীবন পাবার পর মনে হয়েছে যে আজ আমার দিন। ভাগ্য আমার সাথে ছিল। সামনে এই ধারাবাহিকতা বজায় রাখার চেষ্টা করব। এটা একটা মজার বিষয় যে সিলেটের বিপক্ষেই এমন একটা ইনিংস খেললাম। এটা আমার একটা স্বপ্ন ছিল যে সিলেটের বিপক্ষে ভাল খেলব। সফল হয়েছি বলে খুব খুশি লাগছে।

এবারের বিপিএলে খেলতে নেমেই রাজশাহীর নায়ক বনে গেলেন উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান জাকির। বিপিএলের চতুর্থ আসরে চিটাগং ভাইকিংসের হয়ে খেলা জাকির জানালেন তার সফলতার নেপথ্যে কী আছে। বলেন, ‘গত বছর আমি খুব একটা ভাল খেলিনি। সেটা নিয়ে আমি আমার স্যারদের সাথে কথা বলেছি। ওনারা বলেছিলেন, আমার শক্তির জায়গা যেটা সেটা নিয়ে কাজ করতে। আমি সেটাই করেছি। এ কারণেই সফলতা পেয়েছি।

চলতি বিপিএলে শুরু থেকেই দাপট দেখিয়েছেন বিদেশি ক্রিকেটাররা। বিদেশিদের দাপটের মধ্যে ব্যতিক্রম ছিল রাজশাহী-সিলেট ম্যাচ। এই ম্যাচের দুই ইনিংসেই ছড়ি ঘুরিয়েছেন বাংলাদেশিরা। প্রথমে সাব্বির রহমান ও পরে মুমিনুল-জাকির শো।

দেশি ক্রিকেটারদের ভূমিকায় ম্যাচ জেতা নিয়ে জাকির বলেন, ‘আসলে এটা আসলে অনেক বড় একটা ব্যাপার। যদি আমরা স্থানীয় ক্রিকেটাররা ভাল করতে পারি, সাথে যদি বিদেশীরাও ভাল পারফর্ম করে তবে সেটা দলের জন্য অনেক কাজে লাগবে। এতে করে দল আরও ভাল অবস্থানে যেতে পারবে।

৬৬ রানে দুই উইকেট পড়ে যাওয়ার পর রাজশাহীর হয়ে সিলেটের বোলারদের কাউন্টার পাঞ্চ করেন জাকির। মুমিনুল হকের সঙ্গে ৩১ রানের জুটির পর মুশফিকুর রহিমের সঙ্গে গড়েন ৫৩ রানের জুটি। মুশফিকের সঙ্গে ব্যাটিং বেশ উপভোগ করেছেন বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ দলের সাবেক এই ক্রিকেটার, ‘খুব ভাল লেগেছে উনার সাথে ব্যাট করতে পেরে। উনি অনেক সাহায্য করেছেন। ভাল কিছু নির্দেশনা দিচ্ছিলেন। আমাকে নিজের মতো করেই খেলতে বলছিলেন।