কুইক লিঙ্ক : মুজিব বর্ষ | করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব | প্রিয় স্টোর

ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক ফজলে হোসেন বাদশা: সংগৃহীত ছবি

ওয়ার্কার্স পার্টি প্রত্যাশা আগামী নির্বাচনে ১৫ আসন

জানিবুল হক হিরা
সহ-সম্পাদক
প্রকাশিত: ১৭ জুলাই ২০১৭, ১৩:৫৪
আপডেট: ১৭ জুলাই ২০১৭, ১৩:৫৪

(প্রিয়.কম) আসন্য জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ১৪ দলের শরিক ওয়ার্কার্স পার্টি কমপক্ষে ১৫টি আসন চায়। তবে দলীয় প্রতীক না-কি নৌকা প্রতীক নিয়ে দলের প্রার্থীরা লড়বেন তার সিদ্ধান্ত এখনো হয়নি।

একটি জাতীয় দৈনিক পত্রিকাকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক ফজলে হোসেন বাদশা একথা জানান।

বাদশা বলেন, ‘আমরা দেশের অত্যন্ত প্রতিকূল মুহূর্তে জোটের একটি অংশীদার হিসেবে ৫ জানুয়ারি নির্বাচন করেছিলাম। ৫ জানুয়ারির নির্বাচন না হলে দেশের সংবিধান, দেশের গণতন্ত্র, আজকের সরকারের ক্ষমতায় থাকা কোনো কিছুই বাস্তব রূপ লাভ করত না। সেই প্রতিকূল অবস্থায় আমরা মাঠে থেকে নির্বাচন করেছিলাম বলেই আজকে সংসদে আমরা ৭টি আসন পেয়েছি। ২০০৮ সালের নির্বাচনে দুটি আসন ছিল আমাদের।

তিনি বলেন, এখন ৭টি আসনের নিচে নেমে আসার কি কোনো কারণ আছে? ওয়ার্কার্স পার্টি রাজনৈতিক ও সাংগঠনিকভাবে যে দায়-দায়িত্ব পালন করেছে, তাতে সরকারের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করার ক্ষেত্রে আমাদের ভূমিকা ছিল একেবারে নিরবচ্ছিন্ন। প্রত্যেক এমপি তার নিজ এলাকার কর্মকাণ্ড এবং এই সরকারের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করার ক্ষেত্রে ইতিবাচক ভূমিকা পালন করেছেন। সে কারণে আগামী নির্বাচনে আমরা ১৫টি আসন চাই। ’

বিএনপি নির্বাচনে এলে ওয়ার্কার্স পার্টির প্রত্যাশিত আসনগুলোতে কোনো প্রভাব পড়বে না দাবি করে এই নেতা বলেন, ‘বিএনপির সঙ্গে নির্বাচনী লড়াইয়ে ওয়ার্কার্স পার্টির জন্য কোনো এলাকা ঝুঁকিপূর্ণ না। বরং কোনো এলাকায় ওয়ার্কার্স পার্টির প্রার্থী থাকাটা বিএনপির জন্য ঝুঁকিপূর্ণ। আমরা অত্যন্ত স্বচ্ছতার সঙ্গে নির্বাচনী এলাকায় কাজ করেছি’।

তবে দলীয় প্রতীক, না-কি নৌকা নিয়ে আগামীর নির্বাচন তা নিয়ে এখনো আলোচনা হয়নি জানিয়ে দলটির কেন্দ্রীয় এই নীতি নির্ধারক বলেন, ‘২০০৮ সালের নির্বাচনে আমরা নৌকা প্রতীক নিয়েছিলাম, তখন একটি রাজনৈতিক সিদ্ধান্তের ভিত্তিতে নিয়েছিলাম। বলা হয়েছিল জোটের প্রতীক হোক নৌকা, যাতে সবাই একটা প্রতীকে নির্বাচন করে আমরা বিএনপি-জামায়াতকে ক্ষমতা থেকে সরাতে পারি। গতবারও সেগুলোতে সমঝোতা হয়েছিল, সেগুলোতে আমাদের নৌকা দেওয়া হয়েছিল। তারপরেও আমরা নিজস্ব প্রতীকে নির্বাচন করি। দুটি আসনে আমরা নিজস্ব প্রতীকে জিতে আসি। আগামী সংসদ নির্বাচন কী প্রতীকে হবে, তা নিয়ে আমাদের নিজেদের মধ্যে আলোচনা হবে। এক্ষেত্রে আমাদের মধ্যে এমন কোনো চিন্তা নেই যে নৌকা প্রতীকে নির্বাচন করব না বা হাতুড়ি প্রতীকে নির্বাচন করব। এটা জোটের মূল দল আওয়ামী লীগের সঙ্গে বৈঠক করেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

সূত্র: বাংলাদেশ প্রতিদিন

প্রিয় সংবাদ/কামরুল