পরিবার ছাড়া পালিয়ে আসা রোহিঙ্গা শিশু। ছবি: সংগৃহীত
পরিবার ছাড়াই বাংলাদেশে এসেছে ১১০০ রোহিঙ্গা শিশু!
আপডেট: ১৫ সেপ্টেম্বর ২০১৭, ১০:১৩
(প্রিয়.কম) মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে সেনাবাহিনীর গণহত্যা আর ভয়ংকর নির্যাতনের হাত থেকে বাঁচতে ১১শ’র বেশি রোহিঙ্গা শিশু পরিবার ছাড়া অচেনাদের সঙ্গে পালিয়ে বাংলাদেশে এসেছে।
জাতিসংঘের শিশুবিষয়ক সংস্থা ইউনিসেফের পরিসংখ্যান অনুযায়ী বার্তা সংস্থা এএফপি এর এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
পরিবার ছাড়া পালিয়ে আসা এ সব শিশুর বেশির ভাগেরই বাবা-মাকে হত্যা করা হয়েছে। আবার অনেকে পালানোর সময় তাদের স্বজনকে হারিয়ে ফেলেছে। পরে অপরিচিত লোকজনকে অনুসরণ করে বাংলাদেশে এসেছে।
রাখাইন রাজ্য থেকে পালিয়ে আসা শিশুরা। ছবি:ফোকাস বাংলা
মোহাম্মদ রমিজ নামের ১২ বছর বয়সী রোহিঙ্গা শিশু জানায়, মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে যে গ্রামে তারা বাস করত তা আক্রান্ত হলে, সে অচেনা একদল মানুষের সঙ্গে পালিয়ে বাংলাদেশে আসে। তার বাবা-মা কোথায় সে তা জানে না।
রমিজ বলে, ‘আমি গাছের পাতা এবং পানি খেয়ে বেঁচে ছিলাম।’
এসব শিশুর অনেকেরই চোখের সামনে তাদের পরিবারের সদস্যদের মিয়ানমারের সেনাবাহিনী এবং বৌদ্ধ জনগোষ্ঠী নৃশংসভাবে হত্যা করেছে। এ ধরনের হত্যাকাণ্ডকে জাতিসংঘের মানবাধিকার কমিশনের প্রধান জেইদ রাদ আল হাসান ‘জাতিগত নিধন’ বলে উল্লেখ করেছেন।
এদিকে একা একা বাংলাদেশে পাড়ি জমানো শিশুরা যৌন হয়রানি, মানব পাচার এবং মানসিক আঘাতের ঝুঁকিতে রয়েছে বলে জানায় ইউনিসেফ। এসব শিশুর অনেকের শরীরে বুলেটের আঘাত এবং বিস্ফোরণের ক্ষতচিহ্নও রয়েছে।
জাতিসংঘের হিসাব অনুযায়ী, মিয়ানমারের নিরাপত্তা বাহিনীর নির্যাতনের ভয়ে এ পর্যন্ত ৩ লাখ ৭০ হাজারের বেশি রোহিঙ্গা বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে। এদের মধ্যে অর্ধেকের বেশি শিশু বলে উল্লেখ করেছে সংস্থাটি। এছাড়া সেপ্টেম্বরের শুরুর দিকে বাংলাদেশে নতুন আসা ১ লাখ ২৮ হাজার রোহিঙ্গা শরণার্থীর মধ্যে শতকরা ৬০ ভাগই শিশু ছিল। এদের মধ্যে ১২ হাজার এক বছরের কম বয়সী শিশু।
দাতব্য সংস্থা সেভ দ্য চিলড্রেনের শিশু মানবাধিকার বিশেষজ্ঞ জর্জ গ্রাহাম নিঃসঙ্গ এই শিশুদের ব্যাপারে এক বিবৃতিতে বলেন, এটা বড় উদ্বেগের বিষয়।
প্রিয় সংবাদ/শিরিন