কুইক লিঙ্ক : মুজিব বর্ষ | করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব | প্রিয় স্টোর

বন বিভাগের সতর্কতামূলক সাইনবোর্ড। ছবি: সংগৃহীত

চলাচলের পথ সঙ্কীর্ণ হওয়ায় রোহিঙ্গা ক্যাম্পে বন্য হাতির হামলা

আয়েশা সিদ্দিকা শিরিন
সহ-সম্পাদক
প্রকাশিত: ১৫ অক্টোবর ২০১৭, ১১:০৪
আপডেট: ১৫ অক্টোবর ২০১৭, ১১:০৪

(প্রিয়.কম) ১৪ অক্টোবর শনিবার দুপুরে কক্সবাজারের উখিয়ায় বন্য হাতির আক্রমণে ৩ শিশুসহ মোট ৪ জন রোহিঙ্গা নিহত হয়েছে বলে জানা গেছে। হাতি চলাচলের পথে স্থাপিত হয়েছে রোহিঙ্গা আশ্রয় শিবির। ফলে চলাচলের পথ সংকীর্ণ হওয়ায় রোহিঙ্গা শিবিরে বন্য হাতি আক্রমণ করছে বলে জানিয়েছেন বন কর্মকর্তারা।

উখিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবুল খায়ের বিবিসি বাংলা’কে বলেন, ‘বালুখালির একটি শরণার্থী শিবিরে শুক্রবার রাত দেড়টার একদল বন্য হাতি ঢুকে পড়ে। সে সময় ঘুম থেকে উঠে আতঙ্কে দিশেহারা হয়ে ছুটাছুটি করতে থাকে রোহিঙ্গা নারী পুরুষরা। এরই এক পর্যায়ে একজন নারী ও চার জন শিশুর মৃত্যু হয়। আহত হয় আরও তিনজন। হতাহতদের সবাই একই পরিবারের সদস্য বলে জানা গেছে।’

তিনি আরও বলেন, হাতির বিচরণের জায়গা সব মানুষ দখল করে ফেলেছে। রামু এবং উখিয়ার মধ্যে দিয়ে যে সড়ক গেছে, তাতে একটু পরপরই রয়েছে বন বিভাগের সতর্কতামূলক সাইনবোর্ড। চার মাস আগেও এখানে মধুরছড়া এলাকায় হাতির পায়ে পিষ্ট হয়ে একজন মারা গেছেন। গত বছর ফেব্রুয়ারি মাসে রামুতে একদল উম্মত্ত হাতি এক ব্যবসায়ীকে তাড়া করে পদপিষ্ট করে মারে।’

এক জরিপের বরাত দিয়ে উখিয়ায় বন বিভাগের রেঞ্জ কর্মকর্তা মনিরুল ইসলাম বিবিসি বাংলা’কে বলেন, ‘‘কুতুপালং এবং বালুখালি শরণার্থী শিবির যেখানে রয়েছে, সেটা মূলত ‘মাকড়শার জালের’ মতো বন্য হাতি চলাচলের পথ। এই পথে রাতের বেলায় মাঝে মাঝেই ফিরে আসে বন্য হাতির দল। ফলে ভবিষ্যতে ওই এলাকায় এ ধরণের দুর্ঘটনা বাড়তে পারে।’’

প্রসঙ্গত, গত ২৫ আগস্ট মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে রোহিঙ্গা নিধন অভিযান শুরুর পর প্রাণ বাঁচাতে বাংলাদেশে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গাদের সংখ্যা ইতোমধ্যে ৫ লাখ ২৩ হাজার ছাড়িয়ে গেছে বলে জানিয়েছে জাতিসংঘ। তবে বেসরকারি হিসাবে এ সংখ্যা ৬ লাখেরও বেশি

এদিকে পালিয়ে আসার হার আগের চেয়ে কিছুটা কমলেও, তা পুরোপুরি বন্ধ হয়ে গেছে বলার সময় এখনও হয়নি বলে জানান সংস্থাটির মুখপাত্র। জাতিসংঘ আরও জানায়, মিয়ানমার সেনাবাহিনী রাখাইনে জাতিগত নিধনে নেমেছে

অভিযানের নামে মিয়ানমারের সেনাবাহিনী খুন, ধর্ষণ, ঘরবাড়ি পুরিয়ে দেওয়া, কুপিয়ে হত্যাসহ বর্বরতার চূড়ান্ত সীমাও অতিক্রম করেছে বলে অভিযোগ নিউইয়র্ক ভিত্তিক মানবাধিকার সংস্থা হিউম্যান রাইচ ওয়াচের।

স্যাটেলাইট থেকে প্রাপ্ত ছবি বিশ্লেষণের মাধ্যমে সংস্থাটি বলেছে, ইতোমধ্যে প্রায় ২১৪টি রোহিঙ্গা অধুষ্যিত গ্রাম পুরোপুরি ধ্বংস করে দেওয়া হয়েছে। রাখাইন রাজ্যে রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর বিরুদ্ধে মিয়ানমারের সেনাবাহিনী মানবতাবিরোধী অপরাধ করছে।

সূত্র: বিবিসি বাংলা

প্রিয় সংবাদ/আশরাফ