কুইক লিঙ্ক : মুজিব বর্ষ | করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব | প্রিয় স্টোর

ছবি সংগৃহীত

দ্য নিউজ মিডিয়া: হোয়াট এভরিওয়ান নিডস টু নো || সংবাদ প্রতিষ্ঠানের আয়ের উৎস কী?

মিজানুর রহমান
সহ-সম্পাদক
প্রকাশিত: ২৪ এপ্রিল ২০১৭, ১৩:৫২
আপডেট: ২৪ এপ্রিল ২০১৭, ১৩:৫২

নিউ ইয়র্কের সিটি ইউনিভার্সিটির সহযোগী অধ্যাপক সি. ডব্লিউ. অ্যান্ডারসন, অ্যারিজোনা স্টেট ইউনিভার্সিটির জার্নালিজম বিভাগের অধ্যাপক লিওনার্ড ডাউনি জুনিয়র এবং কলম্বিয়া ইউনিভার্সিটির জার্নালিজমের অধ্যাপক মাইকেল শাডসন দ্য নিউজ মিডিয়া: হোয়াট এভরিওয়ান নিডস টু নো নামের একটি বই লিখেছেন। ২০১৬ সালে বইটি প্রকাশ করে অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটি প্রেস। বইটিতে লেখকরা সাংবাদিকতার অতীত, বর্তমান ও ভবিষ্যৎ নিয়ে আলোচনা করেছেন, বিশ্লেষণ করেছেন। সেই বই অনুসারে ধারাবাহিকভাবে অনুলিখন করছেন মিজানুর রহমান

আজকের বিষয়: সংবাদ প্রতিষ্ঠানের আয়ের উৎস কী?

(প্রিয়.কম) সংবাদ খুব ব্যয়বহুল। হ্যাঁ, ইন্টারনেটে অসংখ্য সংবাদ বিনামূল্যে শেয়ার করা যায়, কিংবা যে কেউ ইন্টারনেটে থাকা কোনো ছবি বা ভিডিও থেকে একটি সংবাদ লিখতে পারে এবং সেটি বিভিন্ন ব্লগে পোস্টও করতে পারে। কিন্তু প্রযুক্তির বাইরেও পেশাদার এবং দক্ষ সাংবাদিক, সংবাদ মাধ্যমের অবকাঠামো নির্মাণে প্রচুর অর্থের দরকার হয়। 

ডিজিটাল বিপ্লবের আগে আমরা জানতাম ছাপা পত্রিকা, টিভি কিংবা ম্যাগাজিনের অধিকাংশ আয়ই হয় বিজ্ঞাপন থেকে। পাঠকও এসব ক্রয়ের মাধ্যমে কিছু অর্থ পরিশোধ করে। তবে পাঠকের কাছ থেকে যে অর্থ আসে, সেটি তাদের মোট খরচের খুবই সামান্য একটি অংশ। কিন্তু শুধু সংবাদ কেন্দ্রিক বিজ্ঞাপন থেকে যে অর্থ আয় হতো, ডিজিটাল বিপ্লবের পর তা এখন রীতিমতো বিপর্যস্ত। যুক্তরাষ্ট্রে প্রায় ১৪০০ দৈনিক পত্রিকা আছে। গত এক দশকে এ পত্রিকাগুলোর বিজ্ঞাপন বাবদ আয় অর্ধেকে নেমে এসেছে। নিউজপেপার অ্যাসোসিয়েশন’র এক জরিপে দেখা গেছে, ২০০৩ সালে মার্কিন পত্রিকাগুলো বিজ্ঞাপন বাবদ আয় করত ৪৬ বিলিয়ন ডলার। ২০১৩ সালে তা কমে দাঁড়িয়েছে ২০.৭ বিলিয়ন ডলারে। পত্রিকাগুলোতে গাড়ি বাড়ি কেনাবেচাসহ বিভিন্নরকম ক্লাসিফায়েড বিজ্ঞাপনেও (শ্রেণীবদ্ধ বিজ্ঞাপন) ব্যাপক ধস নেমেছে এ সময়ে। ২০০৩ সালে ক্লাসিফায়েড বিজ্ঞাপন থেকে মার্কিন পত্রিকাগুলোর আয় ছিল ১৫ বিলিয়ন ডলার। ২০১৩ সালে তা মাত্র ৪ বিলিয়নে এসে ঠেকেছে।  এ সময়ের মধ্যে ক্রেইগসলিস্টস’র মতো ক্লাসিফায়েড বিজ্ঞাপনের বিভিন্ন ডিজিটাল প্রতিষ্ঠান দাঁড়িয়ে গেছে। 

ফলে সংবাদের খরচ কে পরিশোধ করছে বা কীভাবে কোথা থেকে সংবাদ প্রতিষ্ঠানের খরচ আসছে, সেই বিষয়ে নাটকীয় পরিবর্তন এসেছে। যেমন পত্রিকাগুলো এখন তাদের গ্রাহকদের কাছ থেকে বেশি অর্থ রাখছে। সবচেয়ে বেশি প্রচারিত দৈনিক পত্রিকাগুলোর প্রায় প্রতিটিরই এখন ডিজিটাল সংস্করণ আছে। এ পত্রিকাগুলো এখন তাদের ডিজিটাল মাধ্যমের পাঠকদের কাছেও অর্থ দাবি করছে। তারা প্রতি মাসে একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ কন্টেন্ট গ্রাহকদের জন্য ফ্রি দিচ্ছে, কিন্তু ওই নির্দিষ্ট সীমার বেশি সংবাদ কেউ পড়তে চাইলে তাকে অর্থ খরচ করতে হচ্ছে। যেমন দ্য ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল, শিকাগো ট্রিবিউন, লস অ্যাঞ্জেলেস টাইমস তাদের ছাপা পত্রিকা এবং ডিজিটাল ভার্সনের জন্য এক মাসের বান্ডেল অফার দেয়। অর্থাৎ গ্রাহকরা নির্দিষ্ট অর্থ দিয়ে এক মাসের সাবক্রিপশন কেনার পর তিনি যেমন ছাপা পত্রিকাও পড়তে পারবেন, আবার তাদের ডিজিটাল সংস্করণও পড়তে পারবেন। যাই হোক, এভাবে সাবস্ক্রিপশনের মাধ্যমে গ্রাহকের কাছ থেকে সরাসরি আয় প্রতিনিয়ত বাড়ছে। কিন্তু তা সত্বেও এখনও আমেরিকায় প্রিন্ট, ব্রডকাস্ট ও ডিজিটাল সাংবাদিকতায় যত অর্থ আয় হয়, তার দুই তৃতীয়াংশই আসে বিজ্ঞাপন থেকে। ২০১৪ সালে পিউ রিসার্চ জার্নালিজম প্রজেক্ট’র এক জরিপের তথ্য এটি।

ব্যাপক কাটছাঁটের পরও ছাপা পত্রিকা এখনও সবচেয়ে লাভজনক। তবে এ শিল্পের যে ভবিষ্যত দাঁড়িয়েছে এখন, তাতে দীর্ঘ পরিসরে বিনিয়োগ অনেকটাই ঝুঁকিপূর্ণ। মিডিয়া মুঘল রুপার্ট মারডকসহ বড় বড় শিল্প প্রতিষ্ঠান, যারা দীর্ঘদিন ধরে সংবাদপত্রে বিনিয়োগ করে আসছিলেন, সম্প্রতি ছাপা পত্রিকায় তাদের বিনিয়োগ হ্রাস করে লাভজনক টিভি বা অন্যান্য ক্ষেত্রে বিনিয়োগ করেছেন। ভবিষ্যত নিয়ে উদ্বিগ্ন অন্যান্য অনেক পত্রিকাও খোলাখুলিভাবে বিক্রির ঘোষণা দিচ্ছে।

তবে সম্প্রতি যারা নির্দিষ্ট কিছু পত্রিকার মালিকানা কিনেছেন, তারা সবাই কোটিপতি এবং তাদের সুনির্দিষ্ট উদ্দেশ্য আছে। ওয়ারেন বাফেটের মালিকানাধীন পত্রিকার সংখ্যা ছিল ৪১টি। কিন্তু ২০১১, ২০১২ এবং ২০১৩ সালে তিনি ছোট ও মাঝারি আকারের আরও ২৮টি পত্রিকার মালিকানা কিনেছেন। অ্যামাজনের প্রতিষ্ঠাতা জেফ বোজেস ২০১৩ সালে ওয়াশিংটন পোস্টের মালিকানা কিনেছেন। একই বছর নিউ ইয়র্ক টাইমস’র মালিকানাধীন দ্য বোস্টন গ্লোব পত্রিকা কিনেছেন বোস্টন রেড সক্স-এর মালিক জন হ্যানরি। মিনেসোটা টিম্বারওলবসের মালিক গ্লেন টেইলর কিনেছেন দ্য স্টার ট্রিবিউন।  

হ্যানরি ও টেইলর দু’জনই নতুন পত্রিকাগুলো ক্রয় প্রসঙ্গে বলেছেন, তারা চান দ্য বোস্টন গ্লোব এবং দ্য স্টার ট্রিবিউন আগের মতোই গুরুত্বপূর্ণ পত্রিকা হিসেবে টিকে থাকুক। বোস্টন গ্লোব-এর পাঠকদের হ্যানরি বলেছেন, ‘বোস্টনের ভালোর জন্য যারা লড়াই করছে, বোস্টন গ্লোব পত্রিকাও তার অন্যতম। আমি চাই এটি টিকে থাকুক।’

ওয়াশিংটন পোস্ট-এর মালিক জেফ বোজেস পত্রিকাটির নিউজরুম মিটিংয়ে সাংবাদিকদের বলেছেন, তিনি এটিকে স্থানীয়, জাতীয় ও আন্তর্জাতিক সংবাদের জন্য মাল্টিমিডিয়া সংবাদমাধ্যম হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে চান। তিনি বলেন, ‘মুক্ত সমাজ গঠনে অগ্রণী ভূমিকা পালনকারী একটি প্রতিষ্ঠানের অংশ হতে পারা আমার জন্য একটি উত্তেজনাকর অভিজ্ঞতা।’

স্থানীয় পাঠকদের চাহিদা আছে এবং কিছু বিজ্ঞাপনও অছে, এমন পত্রিকা ক্রয় করা প্রসঙ্গে ওয়ারেন বাফেট বলেন, নির্দিষ্ট কমিউনিটির পাঠকদের জন্য এসব পত্রিকাগুলো এখনও ব্যাপক সংবাদ সরবরাহ করছে। এখন ডিজিটাল কৌশল ঠিকভাবে বাস্তবায়ন করলে এ পত্রিকাগুলো আরও অনেকদিন টিকে থাকতে পারবে।

কার্লাইল গ্রুপের মালিক বিলিওনিয়ার ডেভিড রুবেন্সটেইনের স্ত্রী অ্যালিস রোগোফ ২০০৯ সালে আলাস্কা ডিসপাস ডিজিটাল নিউজ সাইটটি কিনে নেন। এরপর পত্রিকাটির প্রিন্ট ও ডিজিটাল সংস্করণ ব্যাপক রদবদল করেন তিনি। এখন এটি আলাস্কার প্রভাবশালী অন্য যেকোনো সংবাদমাধ্যমের চেয়ে বহুগুণ এগিয়ে রয়েছে।  ২০১৪ সালে অ্যাঙ্কোরেজ ডেইলি নিউজের মালিকানাও কিনেন অ্যালিস।

স্থানীয় পত্রিকার মালিকানা ধনীদের হাতে থাকা দীর্ঘদিনের মার্কিন ঐতিহ্য। তারা প্রতিষ্ঠিত সংবামাধ্যমকে বাতিলের হাত থেকে রক্ষা করতে পারে, তবে একইসঙ্গে প্রভাবশালী ধনীরা নতুন নতুন পত্রিকা কিনে নেওয়ায় এসব পত্রিকাগুলোর সংবাদের গ্রহণযোগ্যতা নিয়েও প্রশ্ন উঠতে পারে। জেফ বেজোস ও অ্যামাজন প্রসঙ্গে ওয়াশিংটন পোস্ট, টিম্বসওলবস প্রসঙ্গে দ্য স্টার ট্রিবিউন এবং দ্য গ্লোব, কার্লাইল গ্রুপ প্রসঙ্গে আলাস্কা ডিসপাস নিউজ কীভাবে সংবাদ কাভার করছে, তার দিকে পাঠকরা সতর্ক দৃষ্টি রাখছে।

স্থানীয় টেলিভিশন চ্যানেলগুলোর মালিকানা সাধারণত থাকে বড় বড় কর্পোরেশনগুলোর হাতে।  যেমন সিনক্লেয়ার গ্রুপ একাই ১৬০টি টেলিভিশন চ্যানেলের মালিক এবং যুক্তরাষ্ট্রের জনসংখ্যার ৪০ শতাংশকেই তারা তাদের নেটওয়ার্কের মধ্যে নিয়ে এসেছে। এসব চ্যানেলের অনেকগুলোই মালিকের স্বার্থসংশ্লিষ্ট নিউজ কাভার করার সময় নিরপেক্ষতা বজায় রাখেনি। সিনক্লেয়ার তাদের চ্যানেলগুলোকে উগ্র রক্ষণশীল মতাদর্শ প্রচারের কাজে ব্যবহার করে। এবিসি (দ্য ওয়াল্ট ডিজনি কোম্পানি), সিবিএস (সামার রেডস্টোনস ন্যাশনাল অ্যামিউজমেন্টস), এনবিসি (কোমকাস্টস এনবিসি ইউনিভার্সাল) এবং ফক্স (রুপার্ট মারডকস টুয়েন্টিনথ সেঞ্চুরি ফক্স) এর মতো স্থানীয় চ্যানেলগুলো বড় বড় প্রতিষ্ঠিত বিনোদন কোম্পানি দ্বারা পরিচালিত।

আগের মতো গত কয়েক বছরে টিভি বিজ্ঞাপন থেকে এত অর্থ পাওয়া না গেলেও এখনও বিজ্ঞাপন ও ক্যাবল কোম্পানি থেকে প্রাপ্ত অর্থে টিভি চ্যানেলগুলো লাভজনক অবস্থাতেই আছে। রেডিও, টেলিভিশন ডিজিটাল নিউজ অ্যাসোসিয়েশন’র তথ্যমতে, টিভি চ্যানেলগুলোর অর্ধেক আয় আসে টিভিতে ও তাদের ওয়েবসাইটের সংবাদ কেন্দ্রিক অনুষ্ঠানগুলো থেকে। কারণ স্থানীয় টিভি চ্যানেলের সংবাদে স্থানীয় বিজ্ঞাপন দেওয়ার প্রবণতা এখনও উল্লেখযোগ্য পরিমাণে বিদ্যমান। অনেক টিভি চ্যানেল নিউজ রিপোর্টিং, ভিডিও এমনকি পুরো অনুষ্ঠানই একে অন্যের সঙ্গে ভাগাভাগির মাধ্যমে খরচ কমাচ্ছে।

মিডিয়া উদ্যোক্তারা বাজ ফিড, ভাইস, ভক্স, পলিটিকো, টিএমজেড এর মতো সম্পূর্ণ নতুন ভাবধারার লাভজনক প্রতিষ্ঠান চালু করেছেন, যেগুলো নিউজ, ব্লগ, গসিপ, পপ কালচারকে আরও ডিজিটাল উপায়ে উপস্থাপন করছে। এসব প্রতিষ্ঠানগুলোর প্রতিদ্বন্দ্বিতা মূলত ইয়াহু নিউজ, হাফিংটন পোস্ট, এওএল নিউজ এর মতো পুরানো নিউজ অ্যাগ্রিগেটর প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে। ইয়াহু নিউজ, হাফিংটন পোস্ট’র মতো প্রতিষ্ঠানগুলো এখন মূলধারার সংবাদিকতার পেছনে অর্থ লগ্নি করা শুরু করেছে। কিন্তু বাজ ফিড, ভাইস, পলিটিকোর মতো প্রতিষ্ঠানগুলো প্রতিষ্ঠিত ও পুরানো সংবাদমাধ্যম থেকে অভিজ্ঞ সাংবাদিকদের এনে জাতীয়, আন্তর্জাতিক, রাজনীতি, জাতীয় নিরাপত্তা, বিনোদন, খেলাসহ সব বিভাগেই নতুন ধারার ভিজ্যুয়াল ও মতামতভিত্তিক সাংবাদিকতা চালু করেছে। এদের আয় আসে বিজ্ঞাপন, ডিজিটাল সাবস্ক্রিপশন, ইন্টারনেট মার্কেটিং এবং কনসাল্টিং সার্ভিস থেকে। আবার বাজ ফিডভাইসসহ অনেক প্রতিষ্ঠান অনেক ভেঞ্চার ক্যাপিটালিস্ট থেকেও বিনিয়োগ পায়। 

এছাড়া বিভিন্ন ফাউন্ডেশন, বিশ্ববিদ্যালয়, সমাজসেবী এবং দাতারা বিভিন্ন অলাভজনক সংবাদমাধ্যমে বিনিয়োগ করছে, যাতে করে তারা তাদের ছোট গণ্ডি পেরিয়ে আমেরিকার সংবাদিকতাকে আরও বড় পরিসরে উপস্থাপন করতে পারে। অলাভজনক কিছু সংবাদমাধ্যম যেমন ভয়েস অব সান ডিয়েগো  স্থানীয় সংবাদের ওপর গুরুত্ব দেয়, টেক্সাস ট্রিবিউন রাষ্ট্রীয় বিষয়ে, প্রো পাবলিকা জাতীয় স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয়ে গুরুত্ব দিয়ে থাকে। এই ধরনের অলাভজনক সংবাদমাধ্যমগুলো নিজেরা নিজেদের সঙ্গে এবং বড় বড় টিভি ও সংবাদমাধ্যমগুলোর সঙ্গে সেংবাদ ভাবাগাভাগি করছে, যাতে তাদের সংবাদকে আরও বেশি মানুষের কাছে পৌঁছানো যায়। 

তবে সব অলাভজনক সংবাদমাধ্যমের বিনিয়োগই ভঙ্গুর অবস্থায় আছে। এসব প্রতিষ্ঠানকেই সরকারি, বেসরকারি ও ব্যক্তি অনুদানের ওপর নির্ভর করতে হয়। একে অন্যের সঙ্গে নিউজ শেয়ার করেও তারা কিছু অর্থ আয় করতে পারে। কিছু সংবাদমাধ্যম আছে যারা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অনুদান পায়, তাদের সে বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংবাদিকতার শিক্ষার্থীরা সাংবাদিকতার চর্চা করতে পারে। কিছু সংখ্যক পাবলিক রেডিও স্টেশনের ১০ শতাংশ বা তার বেশি কিছু আয় আসে রাষ্ট্রীয় কোষাগার থেকে, যেটি আবার পাবলিক ব্রডকাস্টিং করপোরেশনের মাধ্যমে অনুদিত হয়ে আসে। 

লাভজনক বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে বিভিন্ন ফাউন্ডেশনের বিনিয়োগের ঘটনাও আছে। সম্প্রতি ‘নাইট ফাউন্ডেশন’  ও ‘ফোর্ড ফাউন্ডেশন’ বেশ কিছু লাভজনক সংবাদমাধ্যমে বিনিয়োগ করেছে। ২০১২ সালে ফোর্ড ফাউন্ডেশন লস অ্যাঞ্জেলেস টাইমসকে সংখ্যালঘু এবং প্রিজন ইস্যূুতে আরও জোর দেওয়ার জন্য এক মিলিয়ন ডলার এবং ’সরকারের দায় দায়িত্ব’ বিষয়ে রিপোর্টিংয়ের মান বাড়ানোর জন্য ওয়াশিংটন পোস্টকে ৫ লাখ ডলার অনুদান দেয়। ২০১৪ সালে ওয়াশিংটন পোস্ট, নিউ ইয়র্ক টাইমস, শিকাগো ট্রিবিউনকে নির্বাচনী প্রচারণার খবর প্রচার করার জন্য সৃজনশীল ডাটাবেজ ও বিশ্লেষণের জন্য অনুদান দিয়েছিল নাইট ফাউন্ডেশন। 

তবে যত যাই হোক, ডিজিটাল সংবাদের জন্য বিভিন্নভাবে যত অর্থই আসুক না কেন, আগে বিজ্ঞাপন থেকে যে পরিমাণ অর্থ আসত, সেটি তার তুলনায় এখনও অনেক কম।