কুইক লিঙ্ক : মুজিব বর্ষ | করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব | প্রিয় স্টোর

উবারের নির্বাচিত নতুন প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা দারা খোশরোওশাহি। ছবি: সংগৃহীত।

উবারের নতুন সিইও দারা খোশরোওশাহি আসলে কে?

আরিফ আরমান বাদল
সহ-সম্পাদক, বিজনেস এন্ড টেক
প্রকাশিত: ৩১ আগস্ট ২০১৭, ১৮:১৬
আপডেট: ৩১ আগস্ট ২০১৭, ১৮:১৬

(প্রিয়.কম) উবারের নতুন প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা পদে দারা খোশরোওশাহিকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। উবার ২৭ আগস্ট রোববার এক্সপেডিয়ার সাবেক প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তাকে নতুন এ পদে আসীন করে। 

নতুন এ চাকরি গ্রহণ করলে তিনি বিশ্বের সবচেয়ে মূল্যবান বেসরকারি টেক স্টার্টআপকে শাসন করবেন। বর্তমানে উবারের বাজার মূল্য ৬০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। তবে সিইও হিসেবে দারা খোশরোওশাহিকে কিছু চ্যালেঞ্জও মোকাবেলা করতে হবে। কয়েক মাস ধরে প্রতিষ্ঠানটির বোর্ডে চলা বিতর্ক এবং তিক্ততা থেকে বেরিয়ে এসে ব্যবসাকে নতুন করে চাঙ্গা করার গুরু দায়িত্ব হাতে নিতে হবে দারাকে।

এখন প্রশ্ন হলো এই দারা খোশরোওশাহি আসলে কে?

খোশরোওশাহির বয়স ৪৮ বছর। তিনি ১২ বছর ধরে এক্সপেডিয়ার প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা হিসেবে কাজ করেছেন। এক্সপেডিয়া ওয়াশিংটন অঙ্গরাজ্যের বেল্লেভু শহরে অবস্থিত। অর্থাৎ, খোশরোওশাহির টেক ক্যারিয়ার সিলিকন ভ্যালিতে নয় সিয়াটলে গড়ে উঠেছে। তবে উভয় অঞ্চলই টেক ইন্ডাস্ট্রির পাওয়ার হাউজ বলে খ্যাত। তবে এই দুই অঞ্চলের মধ্যে প্রতিদ্বন্দিতাও হয়। এইচপি’র মেগ হোয়াইটম্যান কিংবা জিই সিইও জেফ ইমেল্ট উবারের সিইও হবে বলে শোনা যাচ্ছিল। কিন্তু সিইও হিসেবে খোশরোওশাহির নাম আসতেই অনেকেই ভ্রূ কুচঁকে জানতে চেয়েছেন কে এই লোক?

খোশরোওশাহি প্রযুক্তি বিশ্বের তারকা নন। তবে এক্সপেডিয়ার সিইও থাকাকালীন সুনামের সাথে প্রতিষ্ঠান পরিচালনা করেছেন তিনি। ২০০৫ সালে যখন তিনি এক্সপেডিয়ার দায়িত্ব গ্রহণ করেন তখন এর রাজস্ব ছিল ২.১ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। অথচ ২০১৬ সালে তা বেড়ে দাঁড়ায় ৮.৭ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। এক্সপেডিয়াকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সবচেয়ে বড় অনলাইন ট্রাভেল এজেন্সি বানিয়েছেন। এক্সপেডিয়ার অধীনে হোটেলস.কম, অরবিটজ, ট্রাইভাগো, হোমঅ্যাওয়ে, ট্রাভেলোসিটির মতো ট্রাভেল সাইট ছাড়াও গাড়ি ভাড়া দেওয়ার মতো সুবিধা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান আছে।

মার্কিন নাগরিক খোশরোওশাহি ইরানে জন্মগ্রহণ করেন। শৈশবে যুক্তরাষ্ট্রের নিউ ইয়র্কে পাড়ি জমান তিনি। তার লিঙ্কডইন অ্যাকাউন্টের তথ্যানুসারে তিনি ব্রাউন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইলেক্ট্রিকাল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে ডিগ্রী লাভ করেন। এক্সপেডিয়ার সিইও হওয়ার আগে আইএসি-এর সিএফও ছিলেন তিনি। আইএসি ২০০৩ সালে এক্সপেডিয়া কিনে নেয়। পরবর্তীতে ২০০৫ সালে এক্সপেডিয়া পরিচালনার দায়িত্ব পান খোশরোওশাহি।

আইএসিতে আসার আগে খোশরোওশাহি ইনভেস্টমেন্ট ব্যাংক অ্যালেন এ্যান্ড কো’তে সাত বছর ধরে ফিন্যান্সে কাজ করেন। ভালো নেতা হিসেবে তার সুনাম আছে। গ্লাসডোরে খোশরোওশাহির ৯৩ শতাংশ রেটিং আছে।

প্রযুক্তি যে বিশ্বকে গ্রাস করে ফেলছে তা বিশ্বাস করেন খোশরোওশাহি। গত মাসে ফিন্যান্সিয়াল টাইমসকে দেওয়া এক সাক্ষাতকারে তিনি জানান, ঘরে কয়েকটি ভয়েস অ্যাসিস্ট্যান্ট ব্যবহার করছেন তিনি। ভয়েস সার্চের ব্যাপারে তার আগ্রহ আছে। ভয়েসের মাধ্যমে ভ্রমণ সংক্রান্ত সব কিছু একদিন বুকিং দেওয়া সম্ভব হবে বলে স্বপ্ন দেখেন খোশরোওশাহি। ট্রাম্প ক্ষমতায় আসার পর ভ্রমণ সংক্রান্ত প্রতিষ্ঠানগুলো সমস্যায় পড়ে। কেননা ট্রাম্প যুক্তরাষ্ট্রে ভ্রমণে কড়াকড়ি আরোপ করেছেন। সেসময় ট্রাম্পের বিরুদ্ধে মুখ খুলতেও পিছপা হননি তিনি।

সূত্র: বিজনেস ইনসাইডার 

প্রিয় টেক/মিজান