কুইক লিঙ্ক : মুজিব বর্ষ | করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব | প্রিয় স্টোর

প্রতীকী ছবি।

জান্নাতে একজন নারী কী পাবে এবং কী হবে তার অবস্থান?

মিরাজ রহমান
সাংবাদিক ও লেখক
প্রকাশিত: ১৯ নভেম্বর ২০১৭, ১১:১৩
আপডেট: ১৯ নভেম্বর ২০১৭, ১১:১৩

(প্রিয়.কম) জান্নাতি নারীরা শুধু তার স্বামীকেই পাবে তারা তার থেকে ভালো আর কাউকে দেখতে পাবেন না। এই বিষয়ে পবিত্র কুরআনে মহান আল্লাহপাক ইরশাদ করেছেন, এসব নিয়ামতের মধ্যে থাকবে লজ্জাবনত চক্ষু বিশিষ্ট ললনারা যাদেরকে এসব জান্নাতবাসীদের আগে কোনো মানুষ বা জিন স্পর্শ করেনি। (সূরা- আর রাহমান, আয়াত-৫৬)

এই আয়াতের ব্যাখ্যায় বলা হয়েছে, নারীর প্রকৃত সৌন্দর্য হচ্ছে লজ্জাহীনা ও বাচাল না হওয়া এবং সলজ্জ দৃষ্টি সম্পন্ন হওয়া। এ কারণে জান্নাতের নিয়াতমসমূহের অন্যতম নিয়ামত নারী সম্পর্কে বলতে গিয়ে আল্লাহপাক সর্বপ্রথম তার রূপ ও সৌন্দর্যের কথা না বলে তার লজ্জাশীলতা ও সতীত্বের প্রশংসা করেছেন।

পার্থিব জীবনে কোনো নারী কুমারী অবস্থায় মৃত্যুবরণ করে থাকুক কিংবা কারো স্ত্রী থেকে থাকুক, যৌবনে মৃত্যুবরণ করে থাকুক কিংবা বৃদ্ধাবস্থায় দুনিয়া ছেড়ে যেয়ে থাকুক, এসব নেককার নারীরা আখেরাতে যখন জান্নাতে প্রবেশ করবে তখন তাদেরকে যুবতী ও কুমারী বানিয়ে দেওয়া হবে। সেখানে তাদের মধ্য থেকে যাকেই কোনো নেককার পুরুষের জীবনসঙ্গিনী বানানো হবে জান্নাতে সে তার জান্নাতী স্বামীর পূর্বে আর কারো সাহচর্য লাভ করবে না।

এ আয়াত থেকে একথাটিও জানা যায় যে, নেককার মানুষের মতো নেককার জিনরাও জান্নাতে প্রবেশ করবে এবং সেখানে মানুষ ও পুরুষের জন্য যেমন মানুষ হুর থাকবে তেমনি জিন পুরুষদের জন্য জিন হুরও থাকবে। কোনো ভিন্ন প্রজাতির সৃষ্ট জীবের সাথে তাদের জোড়া বাঁধা হবে না। কারণ প্রকৃতিগতভাবেই তারা তাদের সাথে নিজেদের খাপ খাওয়াতে সক্ষম নয়। তাদের পূর্বে কোনো মানুষ বা জিন তাদের স্পর্শ করবে না

এ আয়াত থেকে একথাটিও জানা যায় যে, জান্নাতে নারীরা সবাই হবে মানুষ এবং তাদের জান্নাতি স্বামী স্পর্শ করার পূর্বে তারা কোনো মানুষ বা জিনের স্পর্শ লাভ করবে না। একথার প্রকৃত অর্থ হলো- জান্নাতে জীন ও মানুষ উভয় প্রজাতির হুর থাকবে। তারা সবাই হবে লজ্জাশীলা ও অস্পর্শিত। কোনো জিন হুরও তার জান্নাতী স্বামীর পূর্বে অন্যকোনো জিন পুরুষ কর্তৃক স্পর্শিত হবে না, কোনো মানুষ হুরও তার জান্নাতী স্বামীর পূর্বে অন্য কোনো মানুষ পুরুষ কর্তৃক স্পর্শিত ও অপবিত্রা হবে না।

পবিত্র কুরআনে আল্লাহপাক আরো বলেছেন, পুরুষ বা নারী যে-ই সৎকাজ করবে, সে যদি মুমিন হয়, তাহলে তাকে আমি দুনিয়ায় পবিত্র-পরিচ্ছন্ন জীবন দান করব এবং (আখেরাতে) তাদের প্রতিদান দেবো তাদের সর্বোত্তম কাজ অনুসারে। (সূরা- নাহর, আয়াত-৯৭)

প্রিয় ইসলাম/আশরাফ