অজু করার অটোমেশিন। ছবি: সংগৃহীত
অটোমেশিন দিয়ে অজু করার বিধান কী?
আপডেট: ০৭ নভেম্বর ২০১৭, ১২:৪৫
(প্রিয়.কম) নামাজ ইসলামের অন্যতম একটি স্তম্ভ। নামাজ সঠিকভাবে আদায় করার প্রথম ও প্রধান শর্ত হলো অজু করা। অজু ছাড়া নামাজ গ্রহণযোগ্য নয়। আমরা বিভিন্ন জন বিভিন্নভাবে অজু করে থাকি। প্রয়োজনের তাগিদে কখনো বসে আবার কখনো দাঁড়িয়ে অজু করে থাকি। আর এইভাবে অজু করতে গিয়ে আমাদের অনেক পানি নষ্ট হয়ে যায়। অপচয়কারীকে আল্লাহপাক পছন্দ করেন না। অজুর সময় পানিও অপচয় রোধে বাজারে এসেছে অজু করার নতুন অটোমেশিন। এই অটোমেশিনে অজু করলে পালন করা যাবে সকল সুন্নাত কিন্তু অপচয় হবে না পানি।
অটোমেশিনটি অজুর সময় পানি নষ্ট না করে মুসলমানদেরকে অজু করার ক্ষেত্রে সাহায্য করবে। আর ইসলাম অজু করার ক্ষেত্রে পানি অল্প করে ব্যবহার করতে বলেছে এবং পানির অপচয় করতে নিষেধ করেছে। এই অটোমেশিনের বর্ণনা অনুযায়ী, আমি মনে করি যে, অজুতে এটি ব্যবহার করলে সামান্য কিছুটা হলেও উপকৃত হবে মানুষ।
হাদিসে এসেছে, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, আমার জাতি থেকে এমন লোক থাকবে যারা নিজেদের নামাজ আদায় ও নিজেদের শুদ্ধ করে ফেলবে (আহমদ, আবু দাউদ ও আনাসাই)। রাসূল (সা.) নিজে এক মুদ (একটি পরিমাণ পানি যা দুই হাত একসঙ্গে পূরণ করে) পানি দ্বারা অজু করতেন । হাদিসটি মুসলিম শরিফে বর্ণিত। ইমাম বুখারী বলেন, রাসূল (সা.) অজুতে যে পানি ব্যবহার করতেন, তা দ্বারা অজু করাকে মুসলিম স্কলারগণ অনুমতি দান করেননি।
হজরত ইবনে আব্বাস (রা) থেকে বর্ণিত, এক লোক বললেন, অজুতে আমি কতটুকু পানি খরচ করতে পারি? তিনি উত্তরে বললেন, এক মুদ (আধুনিক হিসাবে প্রায় ১ লিটার বা ৭৯৬ মিলি) সমপরিমাণ। তিনি আবার বললেন গোসলের জন্য কি পরিমাণ পানি ব্যবহার করতে পারি? তিনি উত্তরে বললেন, এক সা পরিমাণ (প্রায় ৪ লিটার)। লোকটি তখন বলল, এতটুকু আমার জন্য যথেষ্ঠ নয়। একথা শুনে তিনি (তাকে সর্তকতামূলক তিরস্কার করে) বললেন, তোমার চেয়ে উত্তম যিনি (রাসুল সা.) তার জন্য এতটুকু পানি যথেষ্ট ছিল। [হাদিস নং ২৬৩২ (ইফা-২১৪)]
গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো- অজু করার জন্য নির্মিত এই অটোমেশিন দ্বারা অজু করার ক্ষেত্রে কোনো বাধা নিষেধ নেই। বরং এই মেশিন ব্যবহারের মাধ্যমে যদি কিছুটা হলেও পানির অপচয় রোধ সম্ভব হয় তাহলে সেটা হবে প্রশংসনীয়।
প্রিয় ইসলাম/আশরাফ