সোশাল আপলিফমেন্ট সোসাইটির সদস্যের সঙ্গে ওয়্যারহাউজের কারুশিল্পী তাসনিম ফেরদৌস। ছবি: রিপন, প্রিয়.কম
পিকেএসএফ মেলায় ওয়্যারহাউজের প্রদর্শনী
আপডেট: ০২ নভেম্বর ২০১৭, ২২:২৪
(প্রিয়.কম) পোশাক এবং টুকটাক হাতে আঁকা জিনিসপত্রের অনলাইন পেইজের নাম 'ওয়্যারহাউজ'। নামটা শুনেই কেমন যেন নস্টালজিয়ায় ভরে যাচ্ছে মন, তাই না? জ্বি, তাদের সৃষ্টি করা একেকটি পোশাক, কাপড়, ব্যাগ সবই আপনাকে এক অপূর্ব মুগ্ধতায় ভরিয়ে দেবে।
সাস এবং ওয়্যারহাউজের স্টলে দর্শনার্থীদের ভিড় ছিল চোখে পড়ার মত। ছবি: রিপন, প্রিয়.কম
তাদের প্রধান লক্ষ্যই হচ্ছে রঙিন বিভিন্ন পোশাক এবং পণ্য নিয়ে কাজ করা এবং চিরাচরিত ডিজাইনের বাইরে যেয়ে নিজস্ব কিছু কাজ করা। এছাড়া আপনার মাথায় কোন দারুণ ডিজাইন খেলছে? কালক্ষেপণ না করে তাদের জানান, একদম সেভাবেই আপনার পোশাক তৈরি করে দোরগোড়ায় পৌঁছে দেবে ওয়্যারহাউজ। কর্মক্ষেত্রেও যেন আপনি স্বাচ্ছন্দ্যে কাজ করতে পারেন সেদিকেও তারা বেশ মনোযোগ প্রদান করে।
নারী জাগরণের এক অন্যতম পথিকৃৎ হিসেবে কাজ করছে এনজিওটি, ছবি: রিপন, প্রিয়.কম
ওয়্যারহাউজের ফ্যাশন ডিজাইনার ও কারিগরদের কাজই হলো স্থানীয় প্রক্রিয়ায় নিজস্ব মানুষদের দিয়েই পোশাক তৈরি করা। এর ফলে তারা সাভারের একটি নামকরা এনজিও 'সোশাল আপলিফমেন্ট সোসাইটি' এর নজরে আসে। অতঃপর তারা নিমন্ত্রণ পায় পল্লী কর্মী সহায়ক ফাউন্ডেশন আয়োজিত একটি মেলায় যেটি কিনা অনুষ্ঠিত হচ্ছে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে।
মেলা শুরু হয় অক্টোবর মাসের ২৯ তারিখে এবং চলবে নভেম্বর মাসের ৩ তারিখ পর্যন্ত। ওয়্যারহাউজ তাদের নতুন এবং পুরাতন বিভিন্ন সংগ্রহ নিয়ে এসে পসার জমিয়েছে মেলায় তাদের স্টলে। কুর্তির বিশাল কালেকশন রয়েছে, যেগুলো এখনো অনলাইনেও দেখানো হয়নি। তারা তাদের ফল ২০১৭ কালেকশনের শিরোনাম দিয়েছে 'শি ফ্লাইস উইথ ব্রেভ উইংস'। এগুলো অনলাইনে পাবার আগে এখানেই পেয়ে যাবেন ১০% ডিসকাউন্টে!
উৎসুক ক্রেতাদের একাংশ, ছবি: রিপন, প্রিয়.কম
ওয়্যারহাউজ মূলত অনলাইন বেজড একটি শপ, সুতরাং এখানের কারুশিল্পীগণ সরাসরি ভোক্তা ও ক্রেতাদের সঙ্গে মত বিনিময় করতে পারেন না। কিন্তু মেলায় আসলে সে আকর্ষণীয় সুযোগটি কিন্তু আপনি পেয়েই যাচ্ছেন। আপনার যা ভালো লাগে কিংবা তাদের কাজ সংশ্লিষ্ট যেকোন মতামত আপনি নির্দ্বিধায় পেশ করতে পারেন, এতে কোন বাঁধা নেই।
এখনো তাদের মেলায় যাননি? না কোন সমস্যা নেই। সময় আছে এখনো। ৩রা নভেম্বর, ২০১৭ সকাল দশটা থেকে রাত ৮টার মধ্যে যেকোন একটি সময় বের করে চলে যান তাদের স্টলে, স্টল নং ১১৪।
প্রিয় লাইফ/ কে এন দেয়া