কুইক লিঙ্ক : মুজিব বর্ষ | করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব | প্রিয় স্টোর

রোহিঙ্গা শরণার্থীদের জন্য পাঠানো বিএনপির ট্রাক। ফাইল ছবি

‘বিএনপির ট্রাকে কি ত্রাণ আছে, নাকি অস্ত্র’

সজিব ঘোষ
সহ-সম্পাদক, নিউজ এন্ড কারেন্ট অ্যাফেয়ার্স
প্রকাশিত: ১৬ সেপ্টেম্বর ২০১৭, ১৭:১৬
আপডেট: ১৬ সেপ্টেম্বর ২০১৭, ১৭:১৬

(প্রিয়.কম) রোহিঙ্গাদের সহায়তা করার নামে বিএনপির পাঠানো ট্রাকে সহিংসতা করানোর জন্য অস্ত্র ছিল কি-না, এমন প্রশ্ন তুলেছেন প্রধানমন্ত্রীর উপ প্রেস সচিব আশরাফুল আলম খোকন। ১৪ সেপ্টেম্বর বৃহস্পতিবার রাতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে তিনি এমন শঙ্কার কথা জানান।

আশরাফুল আলম খোকন লেখেন, ‘কাল (বুধবার) কয়েকটি ট্রাক নিয়ে (বিএনপির প্রতিনিধিদল) গিয়েছেন রোহিঙ্গাদেরকে সহায়তা করতে, তবে ওখানে কি ত্রাণ আছে, নাকি ত্রাণের নাম দিয়ে সহিংসতা করানোর জন্য অস্ত্র আছে তা কিন্তু এখনও নিশ্চিত না।’

তিনি বলেন, ‘পত্রপত্রিকায় কিছু খবর বের হচ্ছে দেশে সহিংসতা করানোর জন্য রোহিঙ্গাদের সাথে কিছু অস্ত্র দেশে ঢুকানোর অপচেষ্টা করছে একটা গোষ্ঠী। বিএনপি জামাতের অতীত ইতিহাস তাই বলে। সারাদেশে বন্যার্তদের জন্য বিএনপির বরাদ্ধ ছিল মাত্র দুই ট্রাক ত্রাণ, আর রোহিঙ্গাদের জন্য নিয়েছেন ২২ ট্রাক (অস্ত্র)।’

আশরাফুল আলম খোকন। সংগৃহীত ছবি  আশরাফুল আলম খোকন। সংগৃহীত ছবি  

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার চিকিৎসা প্রসঙ্গে তিনি লেখেন, ‘প্রধানমন্ত্রী গত সপ্তাহেও গাজীপুরের শেখ ফজিলাতুন্নেসা মুজিব মেমোরিয়াল কেপিজে বিশেষায়িত হাসপাতালে টিকেট কেটে নিজের চেকআপ করালেন। এর আগে ব্যক্তিগত কর্মকর্তাদের বলেও দিয়েছেন, ওনাকে যেন দেশেই চিকিৎসা করানো হয়।’

প্রধানমন্ত্রীর উপ প্রেস সচিব বলেন, ‘বেগম জিয়া কিন্তু লন্ডনে আছেন। দুইমাস ধরে ওখানেই চিকিৎসা করাচ্ছেন। যুক্তরাষ্ট্রসহ বিভিন্ন দেশে যে দুর্নীতিবাজ হিসেবে এখনও তালিকাভুক্ত সেই ছেলে তারেক রহমানকে সঙ্গে নিয়ে আইএসআইয়ের সাথে বসে দেশবিরোধী ষড়যন্ত্র করছেন।’

‘আর এদিকে ওনার দলের মির্জা ফখরুল-রিজভীরা ব্যস্ত দলের অফিসে বসে মিডিয়া কাভারেজ দিতে। ওখানে বসে বসে দেশ জাতি উদ্ধার করা নিয়ে। দেশে ব্যাপক বন্যার সময়ও সকাল-বিকেল-সন্ধ্যা মিডিয়া ব্রিফিং নিয়ে ব্যস্ত ছিলেন। রোহিঙ্গা সমস্যার সময়ও একই অবস্থা’, উল্লেখ করেন তিনি।

প্রসঙ্গত, ১৩ সেপ্টেম্বর রোহিঙ্গাদের জন্য ত্রাণ সামগ্রী নিয়ে কক্সবাজার সদর থেকে উখিয়ায় যাওয়ার পথে বিএনপির কেন্দ্রীয় প্রতিনিধিদলকে মাঝপথে আটকে দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

ফখরুল বলেন, ‘কক্সবাজারে আমাদের যে কেন্দ্রীয় রিলিফ টিম ২০টি ট্রাক নিয়ে গিয়েছিল জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাসের নেতৃত্বে। তাদেরকে উখিয়াতে প্রশাসন যেতে দিচ্ছে না, পুলিশ ট্রাক আটকে দিয়েছে।’

শুধু তাই নয়, কক্সবাজারে আমাদের বিএনপি অফিস পুলিশ ঘিরে রেখেছে এবং আমাদের শীর্ষস্থানীয় নেতারা অফিস ঘরে আটকা পড়ে আছেন বলেও জানান বিএনপির এই নেতা।

এদিকে ১৫ সেপ্টেম্বর শুক্রবার সকালে রাজধানীর ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভানেত্রীর রাজনৈতিক কার্যালয়ে দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘রোহিঙ্গা শরণার্থী ক্যাম্পে ত্রাণ দেওয়ার নিয়ম না মানায় বিএনপিকে সেখানে যেতে দেওয়া হয়নি।’  

বিএনপির ত্রাণ দিতে যাওয়ার উদ্দেশ্য নিয়ে প্রশ্ন তুলে তিনি বলেন, ‘বিএনপি তো ত্রাণ দিতে যায় না, তারা যায় কয়েকটা নিউজ আর ছবির জন্য যায়। কয়েকটা ট্রাক নিয়ে গিয়েছিল। সেখানে ত্রাণ ছিল কিনা, অনেক কিছু থাকলেও থাকতে পারে। এতে বিস্মিত হওয়ার কিছু নেই।’

প্রিয় সংবাদ/শান্ত