কুইক লিঙ্ক : মুজিব বর্ষ | করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব | প্রিয় স্টোর

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ছবি: ফোকাস বাংলা

আমরা যুদ্ধ চাই না, আলোচনার মাধ্যমে সমাধান সম্ভব: শেখ হাসিনা

হাসান আদিল
সহ-সম্পাদক
প্রকাশিত: ১৬ অক্টোবর ২০১৭, ১৯:৩২
আপডেট: ১৬ অক্টোবর ২০১৭, ১৯:৩২

(প্রিয়.কম) চলমান রোহিঙ্গা সংকটের সমাধান যুদ্ধের মাধ্যমে নয়, আলোচনায় সম্ভব বলে মনে করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ১৬ অক্টোবর সোমবার প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকসের সদস্যভুক্ত ৩১টি ব্যাংকের পক্ষ থেকে প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ ও কল্যাণ তহবিলের জন্য চেক হস্তান্তর অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।

শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমরা যুদ্ধ চাই না। আমরা বিশ্বাস করি, আলোচনার মাধ্যমে সব সমস্যার সমাধান সম্ভব।’

রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দেওয়া প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘আমরাও শরণার্থী ছিলাম, এদের দুঃখ আমরা বুঝি।’

চেক গ্রহণের পর বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকসের উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘মানবিক কল্যাণে তারা সব সময় এগিয়ে আসে। সাম্প্রতিক বন্যার সময়ও তারা জনগণের পাশে ছিল। এখন মিয়ানমার থেকে অত্যাচারিত হয়ে যারা বাংলাদেশে এসেছে, তাদের সাহায্যেও এগিয়ে এসেছে।’

বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকসের সভাপতির হাত থেকে চেক গ্রহণ করছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ছবি: ফোকাস বাংলা

বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকসের সভাপতির হাত থেকে চেক গ্রহণ করছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ছবি: ফোকাস বাংলা

১৯৭১ সালে পাকিস্তানি বাহিনীর বর্বরতার কথা স্মরণ করিয়ে দিয়ে তিনি বলেন, ‘১৯৭১ সালে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী যেমন অত্যাচার করেছিল, এরাও একই রকমের অত্যাচারের শিকার। ওই সময় তিন কোটি বাঙালি গৃহহারা হয়েছিল, আর এক কোটি শরণার্থী হয়েছিল।’

মানবিক দৃষ্টিকোণ থেকেই রোহিঙ্গাদের পাশে দাঁড়ানোর কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘এই ধরনের বিপদে মানুষ মানুষের পাশে না দাঁড়ালে সেটা হবে অমানবিক। আমাদের দেশের মানুষের মানবিক গুণ আছে। প্রত্যন্ত এলাকা থেকে সাহায্য নিয়ে তারা রোহিঙ্গাদের পাশে দাঁড়িয়েছে।’

সেসময় তিনি জাতিসংঘে উপস্থাপিত তার পাঁচ প্রস্তাবে রোহিঙ্গা সমস্যার সুষ্ঠু সমাধানের পথ খুঁজে পাওয়া যাবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

উল্লেখ্য, গত মাসের ২৪ আগস্ট রাতে রাখাইন রাজ্যের প্রায় ৩০টি পুলিশ পোস্টে হামলার পরিপ্রেক্ষিতে অভিযানে নামে মিয়ানমারের সেনাবাহিনী। দেশটির সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধগণহত্যার অভিযোগ তুলেছে বিভিন্ন দেশ এবং মানবাধিকার সংস্থা। মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর হামলায় এখন পর্যন্ত প্রায় ৫ লাখেরও বেশি রোহিঙ্গা বাংলাদেশে পালিয়ে এসেছে। রাখাইনের রোহিঙ্গা অধ্যুষিত প্রায় ২১৪টি গ্রাম পুড়িয়ে দিয়েছে দেশটির সেনাবাহিনী। 

প্রিয় সংবাদ/শান্ত