কুইক লিঙ্ক : মুজিব বর্ষ | করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব | প্রিয় স্টোর

এবি ডি ভিলিয়ার্স ও জন্টি রোডস। ছবি: সংগৃহীত

জন্টি রোডসের অনুপ্রেরণায় আজকের ‘মারকুটে’ ভিলিয়ার্স

সামিউল ইসলাম শোভন
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ২৭ অক্টোবর ২০১৭, ১১:৫৭
আপডেট: ২৭ অক্টোবর ২০১৭, ১১:৫৭

(প্রিয়.কম) বৃহস্পতিবার রাতে ব্লুমফন্টেইনে এক রানের জন্য হাফ সেঞ্চুরি হল না এবি ডি ভিলিয়ার্সের। বাংলাদেশের বিপক্ষে দুই টি-টোয়েন্টির প্রথম ম্যাচে তাই পুরনো হতাশাই ফিরল এই প্রোটিয়া ব্যাটসম্যানের মনে। জানালেন, অতীতে এভাবেই আউট হতেন বারবার। পরবর্তীতে কিংবদন্তি জন্টি রোডস থেকে অনুপ্রেরণা পেয়ে নিজের ব্যাটিং শুধরেছেন।

মেহেদী হাসান মিরাজের বলে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের হাতে যখন ক্যাচ তুলে দিয়ে ফিরলেন ভিলিয়ার্স, তখন মাত্র ৩৯ বলে ৪৯ রান করেছেন তিনি। ব্যাট হাতে তার দল ১৯৬ রানের লক্ষ্য দিয়ে ২০ রানের ব্যবধানে ম্যাচও জিতল বটে, কিন্তু ভিলিয়ার্সের মন থেকে গেল না ৪৯ রানের আক্ষেপ। ম্যাচ শেষে জানালেন, এই ৪৯ রান যেন তার ক্যারিয়ারে ‘বিষ’ হয়ে আছে। ৪৯ রানে আউট হলে হতাশা ঘিরে ধরত তাকে। পরবর্তীতে জন্টি রোডসই তাকে অনুপ্রাণিত করেছে।

ভিলিয়ার্স বলেন, ‘আমি যখন বড় হই, তখন জন্টি রোডস আমাকে ক্রিকেটার হতে অনুপ্রাণিত করেছে। আমি ৪৯ রানে আউট হলে খুব হতাশ হতাম। সবসময় ৭০ রানের বেশি করতে চাইতাম। মাঠের বাইরে বসে কন্ডিশন বোঝার ব্যাপারে খুব আগ্রহী ছিলাম, বিশ্বাসও করতাম। সে কারণেই আমি গতি, বাউন্স ও স্পিন ব্যাপাগুলো ধরতে পারতাম।’

ক্যারিয়ারের শুরু থেকে এসব গুণগুলোই অভিজ্ঞ করেছে তাকে। সেই ধারাবাহিকতা বজায় ছিল বাংলাদেশের বিপক্ষেও। চার পেসার নিয়ে খেলতে নামা বাংলাদেশের বিপক্ষে কিভাবে ব্যাটিং করতে হবে শুধু সেটাই নয়, রুবেল-তাসকিনদের ভুলগুলোও ধরতে পেরেছেন ভিলিয়ার্স।

বলেছেন, ‘বাংলাদেশ দলের পেসাররা অনেককিছু করার চেষ্টা করছিল। তারা অনেক স্লোয়ার দিয়েছে, আমরাও মোকাবেলা করেছি। আমরা উত্তজিত হইনি দেখেই তারা তাল হারিয়েছে। টি-টোয়েন্টিতে তিন নম্বরে ব্যাট করাটা সত্যিই খুব উপভোগ করি। ডিপ লেগে দাঁড়িয়ে ক্যাচ ধরতেও পছন্দ করি।’

এখন পর্যন্ত সবমিলিয়ে ৭৭টি আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলেছেন ভিলিয়ার্স। ২৬.২২ গড়ে তার মোট রান ১৬৫২। সর্বোচ্চ ৭৯ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলা এই ব্যাটসম্যানের ১০টি হাফসেঞ্চুরি রয়েছে। পরিসংখ্যান বলছে, এই ফরম্যাটে সর্বোচ্চ রান করা ব্যাটসম্যানদের তালিকায় দশম স্থানে রয়েছেন এই দক্ষিণ আফ্রিকান ক্রিকেটার।