কুইক লিঙ্ক : মুজিব বর্ষ | করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব | প্রিয় স্টোর

পানি দূষণের কারণে ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হওয়ার হার বাড়ছে রোহিঙ্গা শিবিরগুলোতে। ছবি: সংগৃহীত

রোহিঙ্গা শিবিরে নলকূপের পানি মাত্রাতিরিক্ত দূষিত, ইউনিসেফের উদ্বেগ

হাসান আদিল
সহ-সম্পাদক
প্রকাশিত: ২২ নভেম্বর ২০১৭, ১৭:০৪
আপডেট: ২২ নভেম্বর ২০১৭, ১৭:০৪

(প্রিয়.কম) কক্সবাজারের রোহিঙ্গা শিবিরগুলোতে নলকূপের পানিতে মাত্রাতিরিক্ত দূষণের উপাদান খুঁজে পাওয়ায় গভীর উদ্বেগ জানিয়েছে জাতিসংঘের সহযোগী সংস্থা জাতিসংঘ শিশু তহবিল (ইউনিসেফ)।

২১ নভেম্বর ইউনিসেফ এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, ‘সম্প্রতি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার একটি প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে যে, কক্সবাজারের রোহিঙ্গা ক্যাম্পগুলোতে ৬২ শতাংশ নলকূপের পানি ই-কলাইসহ বিভিন্ন ধরনের ব্যাকটেরিয়ার কারণে দূষিত।’

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, রোহিঙ্গা শিবিরগুলোতে প্রতিদিন ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হওয়ার সংখ্যা বেড়েই চলছে। এ রোগীদের ৪২ শতাংশের বয়স পাঁচ বছরের কম। সুনির্দিষ্ট কোনো কারণ খুঁজে পাওয়া না গেলেও খাদ্য সংকট ও পানি দূষণের কারণে ডায়রিয়ায় আক্রান্তের হার বাড়ছে। তবে স্বাস্থ্যবিধি মেনে না চলা, পানি পরিবহন ও সংরক্ষণে ময়লা ও নোংরা পাত্রের ব্যবহারের কারণেও ডায়রিয়ার প্রকোপ বাড়ছে। 

ইউনিসেফ সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলেছে, বিভিন্ন ক্যাম্পে তাড়াহুড়ো করে স্থাপিত নলকূপগুলোর গভীরতাও বেশি নয়। অনেক ক্ষেত্রে স্থান নির্বাচনও যথাযথ হয়নি। একইসঙ্গে ব্যাকটেরিয়ার দূষণ এড়ানোর পর্যাপ্ত ব্যবস্থাও নেওয়া হয়নি। এসব নলকূপের পানিতে মানুষের পয়োঃবর্জ্য মিশছে, ই-কলাইয়ের উপস্থিতিই তার প্রমাণ।  

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে রোহিঙ্গা শিবিরগুলোতে ইউনিসেফ কর্তৃক গৃহীত নানা পদক্ষেপের চিত্র তুলে ধরা হয়। এতে জানানো হয়-

* রোহিঙ্গা শিবিরে পানি বিশুদ্ধকরণ ট্যাবলেট সরবরাহ করছে সংস্থাটি।

* স্বাস্থ্যসম্মত অভ্যাসের বিষয়ে প্রচার অব্যাহত রেখেছে ইউনিসেফ।

* ইতোমধ্যে রোহিঙ্গা শিবিরগুলোতে ৪২০টি নলকূপ স্থাপন করেছে জাতিসংঘের এ সংস্থাটি।

* সংস্থাটির পক্ষ থেকে রোহিঙ্গাদের মাঝে প্রতিদিন প্রায় দুই লাখ লিটার পরিশোধিত পানি বিতরণ করা হয়।

এছাড়াও ইউনিসেফ পানিতে দূষণ এড়াতে নতুন করে নলকূপ স্থাপনে বাংলাদেশ কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কাজ করার আশ্বাস দিয়েছে। 

প্রসঙ্গত, গত ২৫ অগাস্ট থেকে ১১ নভেম্বর পর্যন্ত ইউনিসেফ ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হওয়ার মোট ৩৬ হাজার ৯৬টি ঘটনা তালিকাভুক্ত করেছে। যার মধ্যে ১০ জনের মৃত্যু হয়েছে। এর বাইরেও পানিতে মাত্রাতিরিক্ত দূষণের কারণে বিভিন্ন পানিবাহিত রোগে আক্রান্ত হচ্ছে কক্সবাজারের শিবিরগুলোতে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গারা।

উল্লেখ্য, গত ২৫ আগস্ট মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে রোহিঙ্গা নিধন অভিযান শুরুর পর প্রাণ বাঁচাতে বাংলাদেশে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গাদের সংখ্যা ইতোমধ্যে ৬ লাখ ৫০ হাজার ছাড়িয়ে গেছে বলে জানিয়েছে জাতিসংঘ। সম্প্রতি ও এর আগে বিভিন্ন সময়ে বাংলাদেশে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গার সংখ্যা প্রায় ১০ লাখ বলে জানা গেছে।

প্রিয় সংবাদ/শান্ত